সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার সম্পর্কে ইলিম অর্জন করা সকলের জন্য আবশ্যক (২)
, ২০ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০১ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, ১৭ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার বিচরণ কোথায়?
উনার জাহেরী বিচরণ যদিও পবিত্র রাজারবাগ শরীফে কিন্তু বাতেনী বিচরণ যে কোথায়, তা চিন্তার উর্দ্ধে। তবে বাতেনীভাবে তিনি যে মহান আল্লাহ পাক ও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সাথেই মিশে আছেন, তা বলার অপেক্ষাই রাখেনা।
বাহ্যিক শিশুকাল ও কৈশোরকালে সাদা কাপড়ের কোর্তা ও সেলোয়ার ব্যবহার করার পাশাপাশি সম্মানিত শরীয়ত সম্মত বিভিন্ন রঙ্গিন কাপড়ের কোর্তা ও সেলোয়ার তিনি পরিধান করতেন। এরপর একটা সময় থেকে তিনি রঙ্গিন পোশাক পরিধান করেননা। সাদাতেই তিনি সুশোভিত। তিনি রঙ্গিন কোর্তা পরিধান করেননা, বাবরী চুল মুবারক রেখেছেন, তাহলে এখনো কি তিনি শুধু সাদা পাগড়ী মুবারক-ই পরিধান করবেন!
নাকি মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার সাথে মিল রেখে কালো-সবুজ পাগড়ী মুবারকও পরিধান করবেন, এমনি বহু কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ১৪৩৯ হিজরীর পবিত্র ৯ই রমাদ্বান শরীফ তিনি কালো রঙের পাগড়ী মুবারক পরিধান করেন।
একটা সময়ে যদিও দ্বীনি সফরে বছরের অনেক দিন অতিবাহিত করতেন কিন্তু প্রেক্ষাপটের ভিন্নতায় পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফেই অবস্থান করতে থাকেন। সংযুক্ত হয় নতুন ব্যস্ততা। কিতাবাদী পাঠ, ইলমী অনুশীলন আর দরস-তাদরীসের সাথে সাথে গবেষণা ও তাজদীদী কাজেও তিনি ব্যাপক ভূমিকা রাখেন।
সংশোধন বা শুদ্ধকরণে উনার অভিযানে যেমন আছে সম্মানিত দ্বীনি বিষয়, তেমনি আছে দুনিয়াবী বিষয়। আছে যুগ যুগ ধরে চলে আসা অমিমাংসিত বিষয়গুলোর ফায়সালা।
ঈসায়ী ২০০৮ সালে “গণিত পরিক্রমা” নামক প্রকাশনায় “সমকোণ না লম্বকোণ” শিরোনামের প্রবন্ধে তিনি গণিতবিদদের মস্তিষ্কের জট খুলে দেন। জ্যামিতির বিষয়ে উনার এত সূক্ষ¥ ব্যাখ্যা পড়ে শুধু আশ্চর্যই নয় বরং নতুন সূত্র পায় গণিতে অত্যাধিক অভিজ্ঞ ও প্রসিদ্ধ গণিতবিদরা।
তিনি অবস্থান মুবারক করেন পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফে কিন্তু আন্তর্জাতিক অনেক বিষয় এমনভাবে আলোচনা করেন, যেন তিনি প্রত্যেকটি বিষয়ের প্রত্যক্ষদর্শী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানের প্রফেসর মুবারক খিদমতে মাত্র ৫ মিনিট অবস্থান করে জীববিজ্ঞান বিষয়ে উনার তাত্ত্বিক পর্যালোচনা শুনে বলেন, আমি উনার ছাত্র হওয়ারও যোগ্য নই। তিনি আমার চোখ কান খুলে দিলেন।
নিউইয়র্কে হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকা রাশেদ ছাহেব উনাকে স্মরণ করেন। পরক্ষণেই উনাকে চিকিৎসকের পোশাকে দেখতে পান। স্বপ্ন নয়, বাস্তবেই তিনি রাশেদ ছাহেবের অপারেশন সম্পন্ন করেন, অল্প সময়েই রাশেদ ছাহেবকে সুস্থ করে দেন। মূলত, উনার বিচরণ যে কোথায় কোথায়, বোধগম্য নয়।
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার অবদান এই উম্মাহর জন্য কতটুকু?
উম্মাহর কল্যাণে উনার অবদান গাণিতিক হারে নয়, জ্যামিতিক হারেও নয়, কোনভাবেই তা হিসেবে আনা সম্ভব নয়। তা অতুলনীয় মহাসমুদ্র।
শত শত বছর যাবত মুসাফিরের যাওয়ার দূরত্ব ৪৮ মাইল ধরে হিসাব করা হতো, তিনি এ ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ হিসাব বের করেন। তিনি বলেন, ৪৮ মাইল নয় বরং ৫৪ মাইল হবে। এতে মুসলিম উম্মাহ্র নামাজের বিষয়টি সংরক্ষিত হয়। মনে রাখতে হবে, পবিত্র নামাজ কিন্তু সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ভিত্তি।
পবিত্র ছদক্বাতুল ফিতর আদায় না করলে রোযা আসমান ও যমীনের মাঝে ঝুলে থাকে। মানুষ ফিতরা নির্ধারণ করে ১৬৫০ গ্রাম আটার দামে। এখানেও হিসাবের গলদ তিনি ঠিক করেন। ১৬৫০ গ্রাম নয় বরং ১৬৫৭ গ্রাম আটার দামে তিনি ফিতরার বিশুদ্ধ হিসাব প্রকাশ করেন। এতে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আরেকটা ভিত্তি রোযা কবুলেরও নিশ্চয়তা আসে।
কাফিরদের গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে মুসলমানরা নিজেদের ঈমানকে নড়বড়ে করছিল। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার মাসের সাথে নিসবত করে সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি তাক্বউইমুশ শামসী বা মুসলমানদের জন্য সৌর পঞ্জিকা প্রণয়ন ও প্রচলন করেন। এতে মুসলমানদের ঈমান, আমল, আক্বীদাহ, স্বকীয়তা, তাহযীব-তামাদ্দুন সুরক্ষিত হয়। মুসলিম উম্মাহর জন্য এটা যে কত মহান উনার অবদান তা বলার অপেক্ষাই রাখেন।
“বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান” এ কথাকে “বিজ্ঞানই মুসলমানদের অবদান” বাক্যে রুপান্তর করেন। এ রুপান্তরে মুসলমানদের আত্মিক অবস্থা যে কতটুকু রূপান্তরিত হয়েছে, তা হিসেবের উর্দ্ধে। উনার অবদান মুবারক লিপিবদ্ধ করা এ যেন মহাসমুদ্র হতে বিন্দু পরিমাণ পানি তুলে আনার প্রচেষ্টা।
সংকলনে: আহমদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাবারের পাত্র কাঠের বাটি বা পেয়ালা
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী চামড়ার বালিশ
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সুন্নত মুবারক পালনে কোন হীনম্মন্যতা নয়, বরং সব পরিবেশেই দৃঢ়চিত্ত থাকতে হবে
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার ইত্তেবা ও মুহাব্বত মুবারকে সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার বেমেছাল দৃষ্টান্ত মুবারক
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুতা-মোজা ঝেড়ে পরিস্কার করে পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী ফল ‘আঙুর’
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
চামড়ার মোজা পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সকল ধরণের সুন্নতী খাবার বরকতময় রোগমুক্ত শিফা দানকারী সুন্নতী খাদ্য “ভাত”
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০৩)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন খাছ সুন্নতী “টুপি
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০২)
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী ফল ‘ডুমুর’
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)