সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার তাক্বওয়া পরহেযগারী: সাত বছর ছাগলের গোশত খেলেন না!
, ২২ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৬ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২০ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম
লোকেরা বলল, সর্বোচ্চ সাত বছর।
এরপর সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম আবু হানিফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কূফায় অবস্থানকালে সাত বছর পর্যন্ত ছাগলের কোনো গোশত খেলেন না। কারণ, উনার কাছে লুটের ছাগলের গোশত চলে আসতে পারে। সুবহানাল্লাহ!
ঋণগ্রহিতার ছায়াতেও বসলেন না!
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম আবু হানিফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যার কাছে টাকা-পয়সা পেতেন তার গাছের ছায়াতেও বসতেন না। কারণ, তিনি বলতেন, যে ঋণ থেকে কোনো ধরনের উপকার বা সুবিধা গ্রহণ করা হয় তা সুদ বলে গণ্য।
ইয়াযিদ ইবনে হারুন বলেন, আমি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম আবু হানিফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার চেয়ে বেশি পরহেযগার আর কাউকে দেখিনি। একদিন আমি উনাকে এক লোকের ঘরের সামনে রোদের মধ্যে বসে থাকতে দেখলাম। আমি উনাকে বললাম, হে সম্মানিত ইমামে আ’যম! ঘরের ছায়াতে তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করুন।
তিনি বললেন, এই ঘরের মালিক আমার কাছ থেকে ধার নিয়েছেন। আমি চাই না, তার কোনো কিছু থেকে আমি উপকৃত হই। কারণ, এটাও ঋণের বিনিময়ে এক ধরনের উপকৃত হওয়া, যা আমার মতে সুদ বলে গণ্য। তবে আমি সব মানুষের জন্য এটা আবশ্যক মনে করি না। হ্যাঁ, একজন আলেমের জন্য ওই হুকুম পালন করা উচিত। কারণ, তিনি লোকজনকে দ্বীনি কথাবার্তা নছীহত মুবারক করে থাকেন।
নছীহত মুবারক:
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো, যেমন উনাকে ভয় করা উচিত।”
হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে পেশ করা হলো, “সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি কে?” তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, “যিনি সবচেয়ে বেশি মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করেন, তিনি সবচেয়ে বেশি সম্মানিত।”
উপরোক্ত সম্মানিত আয়াত শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক ছিলেন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম আবু হানিফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি। উনার তাক্বওয়া পরহেযগারী ছিলো বেমেছাল। সামান্যতম সন্দেহ থেকেও তিনি পরহেযগারিতা অবলম্বন করতেন। সুবহানাল্লাহ!
-উম্মু মুদ্দাসসির