সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছামিন মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল খুছুছিয়ত মুবারক
, ২১ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০২ হাদী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ০১ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, ১৮ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
ইমামুল আউলিয়া, হাবীবে ওয়া মাহবুবে রহমান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছামিন মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আহলু বাইত শরীফ উনাদের ৮ম ইমাম। সুবহানাল্লাহ! উনার মুবারক নাম হযরত আলী আলাইহিস সালাম। কুনিয়াত আবুল হাসান। রিদ্বা উনার অন্যতম লক্বব মুবারক বা উপাধি।
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, আমি আমার কুনিয়াত মুবারক হযরত ইমামুছ ছামিন আলাইহিস সালাম উনাকে দিয়েছি। উনার মুবারক নাম উনার পিতা ‘মামুনুর রিদ্বা’ রেখেছিলেন এবং উনাকে বেলায়েত পদেরও ওসিয়ত করেছিলেন। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার নাম ‘আর রিদ্বা, রাখেন। কেননা, তিনি আকাশে মহান আল্লাহ পাক উনার রিদ্বা (সন্তুষ্টি) এবং পৃথিবীতে আখিরী রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রিদ্বা ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি এরূপ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ছিলেন যে, তিনি আপন মিত্রদের ন্যায় শত্রুদের প্রতিও সন্তুষ্ট থাকতেন।
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ আলাইহিস সালাম তিনি বলতেন, আমার সম্মানিত আওলাদকে তোমরা রিদ্বা বলে ডেকো। তিনি যখন উনাকে সম্বোধন করতেন, তখন বলতেন, হে আবুল হাসান আলাইহিস সালাম!
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছামিন আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র ১১ই যিলক্বদ শরীফ ইয়াওমুল আহাদ ১৪৮ হিজরী সনে পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
ইমামুল আউলিয়া, হাবীব ওয়া মাহবুবে রহমান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছামিন আলাইহিস সালাম উনার পিতা, ইমামুল মুসলিমীন, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ আলাইহিস সালাম। উনার সম্মানিত মাতা উনার অনেক নাম মুবারক রয়েছে- ওরভী, নাজমা, শাম্মানা ও উম্মুল বানীন আলাইহাস সালাম। (শাওয়াহিদুন নুবুওয়াত-২৬১, মিরায়াতুল আসরার-২১৫, ইকতিরাসূল আনওয়ার-১৪৮, সাফীনাতুন আউলিয়া-৪০)
বর্ণিত আছে, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ আলাইহিস সালাম উনার মা সাইয়্যিদাতুনা হযরত হামীদা আলাইহাস সালাম উনার খাদিমাহ অর্থাৎ মুহব্বতের পাত্রী ছিলেন হযরত নাজমা আলাইহাস সালাম। উনার মা এক রাতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্বপ্নে দেখেন যে, তিনি উনাকে বলছেন, হযরত নাজমা আলাইহাস সালাম উনার শাদী মুবারক আপন আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ আলাইহিস সালাম উনার সাথে সম্পন্ন করুন। কেননা, উনার রেহেম শরীফ থেকে এক সম্মানিত আওলাদ সন্তান পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করবেন, যিনি সমস্ত দুনিয়ার সকলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হবেন। সুবহানাল্লাহ!
উনার সম্মানিতা মাতা সাইয়্যিদাতুনা হযরত নাজমা আলাইহাস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, ইমামুছ ছামিন আলাইহিস সালাম তিনি আমার পবিত্র রেহেম শরীফ-এ অবস্থান করাকালীন সময়ে আমি কোন প্রকার বোঝা বা কষ্ট অনুভব করিনি। ঘুমের সময় আমার রেহেম শরীফ থেকে ‘সুবহানাল্লাহ’ ও ‘আল্লাহ’ আল্লাহ’ শব্দ শুনা যেত। সুবহানাল্লাহ! এতে আমি জাগ্রত হয়ে যেতাম। কিন্তু এরপর কোন আওয়াজ শুনতাম না। যমীনে তাশরীফ আনার সময় তিনি আপন মুবারক হাতদ্বয় মাটিতে এবং মুবারক মুখম-ল আকাশের দিকে রেখে মুবারক ঠোঁট নাড়তে থাকেন যেমন কথা বলা ও দোয়া করার সময় নাড়া হয়। সুবহানাল্লাহ!
ইমামুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, আমি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে মুবারক স্বপ্নে দেখেছি। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, আপনার আওলাদ ইমামুছ ছামিন আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি। তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার রহস্যবলী বর্ণনা করবেন। উনার অভিমত সঠিক হবে। এতে ভুলত্রুটি থাকবে না। তিনি হাকিম বা বিজ্ঞ হবেন। উনার মজলিশে ইমাম-মুজতাহিদ, আউলিয়ায়ে কিরামসহ দার্শনিক উপস্থিত থাকবেন। সুবহানাল্লাহ!
এক ডাকাত কোন ব্যবসায়ীকে কিরমানের পথে শীতকালে ধরে ফেলল। অতঃপর তার মুখ বরফের মধ্যে চেপে তাকে শুইয়ে দিল। ফলে, তার জিহ্বা বিকল হয়ে গেল। সে অনায়াসে কথা বলতে পারত না। সে খোরাসানে পৌঁছে জানতে পারল যে, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছামিন আলাইহিস সালাম তিনি নিশাপুর গমন করেছেন। সে মনে মনে বলল, উনি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সদস্য। উনার খিদমতে হাযির হলে সম্ভবত আমার চিকিৎসা সম্ভব হবে। ব্যবসায়ী রাতে স্বপ্নে দেখলো যে, সে আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছামিন আলাইহিস সালাম উনার খিদমতে উপস্থিত হয়ে আরোগ্য প্রার্থনা করছে। তিনি বললেন, কমুনী, মরু এলাকার পুদিনা ও লবণ নিয়ে এগুলো পানিতে ভিজিয়ে দু’তিন বার মুখে রাখ। এতে আরোগ্য লাভ করবে। জাগ্রত হওয়ার পর এ স্বপ্নের প্রতি তার তেমন বিশ্বাস হল না। সে নিশাপুর পৌঁছে জানতে পারল যে, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমামুছ ছামিন আলাইহিস সালাম তিনি বাইরে কোন সরাইখানায় অবস্থান করছেন। ব্যবসায়ী উনার খিদমতে হাযির হয়ে নিজের অবস্থা বর্ণনা করলো; কিন্তু স্বপ্নের উল্লেখ করলো না। হযরত ইমামুছ ছামিন আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, তোমার ঔষধ তাই, যা আমি স্বপ্নে তোমাকে বলেছিলাম। সে বললো, ইয়া ইবনা রসূলিল্লাহ! অনুগ্রহপূর্বক সেটি পুনরায় বলুন। অতঃপর তিনি পূর্বের ব্যবস্থাপত্রই বলে দিলেন। ব্যবসায়ী তদনুযায়ী আমল করে সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করল। (সুবহানাল্লাহ)
একদিন হযরত ইমামুছ ছামিন আলাইহিস সালাম তিনি এক ব্যক্তিকে দেখে বললেন, হে মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দা! যা ইচ্ছা ওছিয়ত কর এবং যা থেকে পলায়নের কোন পথ নেই তার জন্যে প্রস্তুত হও। একথা বলার পর তিনদিন অতিবাহিত হতেই লোকটি মারা গেল। (সুবহানাল্লাহ)
হযরত আবূ ইসমাঈল সিন্ধী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি যখন আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছামিন আলাইহিস সালাম উনার সাথে সাক্ষাত করতে যাই, তখন আরবী ভাষার আলিফ বা ও জানতাম না। আমি সিন্ধী ভাষায় উনাকে সালাম করি এবং তিনি সেই ভাষায়ই জাওয়াব দেন। এরপর আমি আমার ভাষায় কয়েকটি প্রশ্ন করলাম। তিনি একই ভাষায় সকল প্রশ্নের উত্তর দিলেন। আমি ফিরে আসার সময় আরয করলাম, আমি আরবী বলতে পারি না। আপনি দোয়া করুন, যেন মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে এ ভাষা ইলহাম করেন। তিনি নিজের পবিত্র হাত আমার ঠোঁটের উপর বুলালেন। আর আমি তখনি আরবীতে কথা বলতে শুরু করলাম। (সুবহানাল্লাহ)
অন্য একজন বর্ণনা করেন, আমি একদিন আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছামিন আলাইহিস সালাম উনার সাথে এক বাগানে আলাপ করছিলাম। হঠাৎ একটি পাখি এসে মাটিতে পড়ে গেল এবং অস্তির অবস্থায় চিঁচিঁ করতে লাগল। আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছামিন আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, তুমি জান সে কি বলছে? আমি বললাম, না জানিনা। তিনি বললেন, সে বলছে, এই ঘরে একটি সাপ প্রবেশ করেছে সে আমার বাচ্চাগুলোকে খেয়ে ফেলতে চায়। তিনি আমাকে বললেন, উঠ, এই ঘরে গিয়ে সাপটি মেরে ফেল। আমি গিয়ে সেটি মেরে ফেললাম। সুবহানাল্লাহ! (শাওয়াহিদুন নুবুওওয়াত-২৬৮, ইকতিরাসূল আনওয়ার-১৫০)
একজন রাবী বর্ণনা করেন, আমি আমার সন্তান সম্ভবা স্ত্রী সম্পর্কে আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমামুছ ছামিন আলাইহিস সালাম উনার খিদমতে নিয়ে গেলাম এবং আরজ করলাম, হুযূর! দোয়া করুন। মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন তাকে আওলাদ সন্তান দান করেন। তিনি বললেন, তোমার আহলিয়া রেহেমে দু’টি সন্তান রয়েছে। ফিরে আসার সময় মনে মনে সাব্যস্ত করলাম এক সন্তানের নাম রাখব মুহম্মদ এবং অপরটি আলী। তিনি আমাকে ডেকে বললেন, এক সন্তানের নাম আলী রাখবে এবং অন্যজনের নাম ওমর। দুটি সন্তানই ভূমিষ্ট হওয়ার পর দেখা গেল, একটি আওলাদ এবং অপরটি কন্যাসন্তান। তাদের নাম যথাক্রমে আলী ও উম্মে ওমর রাখা হলো। একদিন আমি মাকে জিজ্ঞাসা করলাম, উম্মে ওমর কেমন নাম? মা জাওয়াব দিলেন, আমার মায়ের নাম উম্মে উমর ছিল।
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন- ইমামুল আউলিয়া, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছামিন আলাইহিস সালাম তিনি ২০৮ হিজরী সনের ২১শে রমাদ্বান শরীফ জুমুয়াবার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। তিনি ৫৯ বছর ১০ মাস ১০ দিন দুনিয়াবী হায়াত মুবারক লাভ করেছেন। আর এটাই হচ্ছে বিশুদ্ধ মত। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত আহাল ও ইয়াল:
‘ইকতিবাসুল আনওয়ার’ কিতাবে আছে- ইমামুল আউলিয়া, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমামুছ ছামিন আলাইহিস সালাম উনার পাঁচজন ছেলে এবং একজন মেয়ে ছিলেন। অন্য বর্ণনায় রয়েছে- চারজন ছেলে এবং একজন মেয়ে ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! (মিরায়াতুল আসরার-২১৮)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ছহীহ্ তরজমা
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (১)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)