সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, বাহরুল উলূম, নূরে মদীনা, আফদ্বালুন নিসা, ফক্বীহাতুন নিসা, রাহনুমায়ে দ্বীন, আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম, মাশুকায়ে ইলাহী, হাদীয়ে যামান, ছহিবাতু ইলমে গইব, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুন নিসা, মুতহ্হারাহ্, মুতহ্হিরাহ্,
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহামূল্যবান নছীহত মুবারক থেকে সংগৃহীত
মহিমান্বিত দশ দিন ও দশ রাত্রি (পর্ব-১)
, ২৬ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৭ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ১৬ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ০১ আষাঢ়, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) আইন ও জিহাদ
إِنَّ عِدَّةَ الشُّهُوْرِ عِنْدَ اللهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِيْ كِتَابِ اللّٰهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ
অর্থ: “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আসমান এবং যমিন সৃষ্টির শুরু থেকে মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাবে গণনা হিসেবে মাসের সংখ্যা বারোটি। তন্মধ্যে চারটি হচ্ছে হারাম অর্থাৎ সম্মানিত মাস।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
وَعَنْ حَضْرَتْ أَبِيْ بَكْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبيِّ قَالَ إِنَّ الزَّمَانَ قَدِ اسْتَدَارَ كَهَيْئَتِه يَوْمَ خَلَقَ اللهُ السَّمَاوَاتِ والأَرْضَ اَلسَّنَةُ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ثَلَاثٌ مُتَوَالِيَاتٌ ذُو الْقَعْدَةِ وَذُو الْحِجَّةِ والْمُحَرَّمُ وَرَجَبُ مُضَرَ الَّذِيْ بَيْنَ جُمادٰى وَشَعْبَانَ (متّفق عليه)
অর্থ: হযরত আবূ বাকরাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন। তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই সময় তার তরতীব অনুযায়ী ঘুরে থাকে। আসমান এবং যমীন সৃষ্টির শুরু থেকে বারো মাসে এক বছর। চারটি হারাম বা সম্মানিত মাস। তন্মধ্যে তিনটি হলো ধারাবাহিক তথা একসাথে- পবিত্র যিলক্বদ শরীফ, পবিত্র যিলহজ্জ্ব শরীফ, পবিত্র মুহররম শরীফ। আর পবিত্র রজব শরীফ মাস যেটা মুদার গোত্র উনারা পবিত্র জুমাদাল উখরা শরীফ এবং পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনাদের মধ্যবর্তী মাস হিসেবে গণনা করেন”। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
উল্লেখিত চারটি হারাম মাস উনাদের মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্র যিলহজ্জ্ব শরীফ মাস। এই মহাসম্মানিত মাস উনার শুরুতেই বিশেষ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে; যার মাধ্যমে জ্বীন-ইনসান সহজেই বহু নেকী অর্জন করতে পারবে।
পবিত্র যিলহজ্জ্ব শরীফ উনার চাঁদ উঠার পর যা করণীয়:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ أُمِّ سَلَمَةَ عَلَيْهَا السَّلَامْ قَالَتْ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ مَنْ رَاٰي هِلَالَ ذِي الْحِجَّةِ وَ اَرَادَ اَنْ يُضَحِّيَ فَلَا يَاْخُذْ مِنْ شَعْرِه وَلَا مِنْ اَظْفَارِه.
অর্থ: হযরত উম্মুল মুমিনীন আছ সাদিছা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি পবিত্র জিলহজ্জ্ব শরীফ মাস উনার চাঁদ দেখলো এবং পবিত্র কুরবানী করার ইচ্ছা করলো, সে যেন (পবিত্র কুরবানী করা পর্যন্ত) তার শরীরের চুল, নখ ইত্যাদি না কাটে। (মুসলিম শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِيَ اللهُ تَعَالٰي عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ أُمِرْتُ بِيَوْمِ الْأَضْحٰي عِيْدًا جَعَلَهُ اللهُ لِهٰذِهِ الْأُمُّةِ قَالَ لَه رَجُلٌ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَرَأَيْتَ إِنْ لَمْ أَجِدْ إِلَّا مَنِيْحَةً أُنْثٰى أَفَأُضْحِيَّ بِهَا قَالَ لَا وَلٰكِنْ خُذْ مِنْ شَعْرِكَ وَأَظْفَارِكَ وَتَقُصَّ شَارِبَكَ وَتَحْلِقُ عَانَتَكَ فَذٰلِكَ تَمَامُ أُضْحِيَّتِكَ عِنْدَ اللهِ (ابو داود شريف)
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি এই মর্মে আদিষ্ট হয়েছি যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি এই উম্মতের জন্য পবিত্র কুরবানী উনার দিনকে ঈদ সাব্যস্ত করেছেন। এক ব্যক্তি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি কী বলেন, যদি আমি মানিহায়ে উনসা (দুধ খাওয়ার উটনী) ব্যতীত আর কোন পশু না পাই, তবে কি সেটাই কুরবানী করব? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, না। বরং আপনি (কুরবানীর দিন) আপনার চুল, নখ কাটবেন, গোঁফ খাটো করবেন এবং পশম কাটবেন তাহলে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট একটি পূর্ণ কুরবানীর সওয়াব লাভ করবেন”। সুবহানাল্লাহ! (আবূ দাঊদ শরীফ)
উল্লেখ্য, মানিহায়ে উনসা হলো এমন গাভী, উটনী যেগুলো ক্রয় করা ব্যতীত মালিকের কাছ থেকে শুধুমাত্র দুধ পান করার শর্তে নেয়া হয়। যে ব্যক্তি শুধুমাত্র দুধ পান করার শর্তে নিয়েছে, সে এধরণের পশু কুরবানী করতে পারবে না। কেননা এই পশু তার মালিকানায় থাকে না। আর কুরবানীর জন্য মালিকানা থাকা শর্ত।
উল্লিখিত দু’খানা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের থেকে প্রতিয়মান হয় যে, যারা কুরবানী করবে এবং যারা কুরবানী করবে না উভয়ই যদি পবিত্র জিলহজ্জ্ব শরীফ মাস উনার চাঁদ দেখা যাওয়ার আগে তাদের চুল, নখ ইত্যাদি কাঁটে এবং কুরবানীর পূর্ব পর্যন্ত এসব আর না কাঁটে তাহলে তারা একটি পূর্ণ কুরবানীর সওয়াব লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
প্রসঙ্গ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার সনদ (৮)
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনারা সম্মানিত জিহাদ করলেন ৬০ হাজার কাফিরের বিরুদ্ধে (৬)
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার সনদ (৭)
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনারা সম্মানিত জিহাদ করলেন ৬০ হাজার কাফিরের বিরুদ্ধে (৫)
০৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার সনদ (৬)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনারা সম্মানিত জিহাদ করলেন ৬০ হাজার কাফিরের বিরুদ্ধে (৪)
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনারা সম্মানিত জিহাদ করলেন ৬০ হাজার কাফিরের বিরুদ্ধে (৩)
২৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনারা সম্মানিত জিহাদ করলেন ৬০ হাজার কাফিরের বিরুদ্ধে (২)
২৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয় (১১)
১৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনারা সম্মানিত জিহাদ করলেন ৬০ হাজার কাফিরের বিরুদ্ধে (১)
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয় (১০)
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার সনদ (৩)
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)