সরকারের পক্ষ থেকে অনেক কিছু করার কথা বলা হলেও বাড়ছে শিশুশ্রম, বাড়ছে শিশু দুর্ভোগ।
শিশুদের প্রতি সরকারের খাছ নজর দেয়া দরকার। প্রয়োজন রূহানী চেতনা ও নেক ছোহবত মুবারক।
, ১২ই জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৮ সাবি’, ১৩৯০ শামসী সন, ০৭ই ডিসেম্বর, ২০২২ খ্রি:, ২২ই অগ্রহায়ণ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মন্তব্য কলাম
বিবিএসের এক জরিপ বলছে, ১৭ লাখ শিশু পূর্ণকালীন শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। তাদের মধ্যে ১২ লাখ ৮০ হাজার শিশুই নিয়োজিত ঝুঁকিপূর্ণ কাজে। ২ লাখ ৬০ হাজার শিশু অপেক্ষাকৃত বেশি ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত।
অপর এক হিসেবে দেশের ৫ থেকে ১৭ বছরের শিশুদের ৬ দশমিক ৮ শতাংশ এখনো ঝুঁকিপূর্ণ শিশু শ্রমে জড়িত।
এরমধ্যে ৪ লাখ ২০ হাজার শিশু গৃহকর্মে নিয়োজিত আছে। দেশের শিল্প-কারখানাসহ ছোট ছোট কারখানায় নানা ধরনের কাজ করানো হয় ৮ থেকে ১২ বছর বয়সের শিশুদের দিয়ে। এক তথ্যমতে, বাংলাদেশে বর্তমানে শতকরা ৯৪ ভাগ শিশুশ্রমিক কৃষি ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করছে। প্রায় ৪৭ লাখ শিশুশ্রমিকের মধ্যে ৫ থেকে ১৪ বছরের সংখ্যা বেশি। আর ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সের প্রায় ৭৫ লাখ শ্রমজীবীর মধ্যে প্রায় ১৩ লাখ শ্রমিক সপ্তাহে ৪৩ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ধরে কাজ করে থাকে। দিনে প্রায় ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা কাজের বিনিময়ে এরা নামমাত্র বেতন পায়।
অথচ আন্তর্জাতিক শ্রম আইনে শ্রমিকদের দিনে ৮ ঘণ্টার বেশি খাটানো অপরাধ এবং ১৮ বছরের কম বয়সীদের দিয়ে এ ধরনের কাজ করানো সম্পূর্ণ নিষেধ। বিশ্ব শ্রমসংস্থার (আইএলও) এক সমীক্ষায় জানা যায়, বাংলাদেশে বর্তমানে ১৮ বছরের নিচে মোট শ্রমজীবীর সংখ্যা ৬৩ লাখ এবং এ সংখ্যা পৃথিবীর মোট শ্রমজীবী শিশুর ৫ শতাংশ। এসব শ্রমজীবী শিশু প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৪৮ ঘণ্টা কাজ করে এবং এদের প্রায় অর্ধেকই কোনো মজুরি পায় না (তথ্য: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো)। কারখানা মালিকদের অধিক মুনাফা লাভের আশায় সেখানে চলে অমানবিক শিশুশ্রম।
সংবিধান ও জাতীয় শিশুনীতিতে শিশুশ্রম বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও দেশে বিপুলসংখ্যক শিশু বিভিন্ন পেশায় নিযুক্ত থাকার বিষয়টি দুঃখজনক। সারা দেশে কত শিশু ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিযুক্ত রয়েছে, রাজধানীর পরিবহন শ্রমিকদের দিকে দৃষ্টি দিলেই তা স্পষ্ট হয়। দারিদ্র্য ও জনগণের অসচেতনতার কারণে দেশে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা কমছে না। দারিদ্র্য দূরীকরণের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে যথাযথ কর্মসূচি গ্রহণ করা হলে দেশে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা কাঙ্খিতহারে কমতে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিযুক্ত শিশুরা দুর্ঘটনায় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হারালে তাদের সারাজীবন অন্যের উপর নির্ভরশীল থাকার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই শিশুশ্রম রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া দরকার। পাশাপাশি হতদরিদ্র পরিবারের শিশুদের কল্যাণে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। নয়তো বিপুলসংখ্যক শিশুকে না খেয়ে দিন কাটাতে হবে। অর্ধাহারে-অনাহারে যেসব শিশুর দিন কাটে, তাদের বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। আর্থিক অনটনের কারণে যেসব শিশু বিভিন্ন শ্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়, তারা স্কুলে গেলেও দ্রুত এসব শিশু ঝরে পড়ে। তাই দরিদ্র পরিবারের অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা দূর করতে স্থায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সরকার এখনো ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম খাতগুলো চিহ্নিত করতে পারেনি। তবে বিভিন্ন সংস্থা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হিসেবে মোটর ওয়ার্কশপ, ওয়েল্ডিং, গ্লাস কারখানা, বেলুন কারখানা, লেদ মেশিন, রিকশা চালানো, মাদক বাহক, বিড়ি শ্রমিক, বাস-ট্রাকের হেলপার, নির্মাণ শ্রমিক, গৃহ শ্রম, অ্যামব্রয়ডারি, জাহাজ শিল্প, চিংড়ি হ্যাচারি, শুঁটকি তৈরি, লবণ কারখানা, কৃষিকাজ, বেডিং স্টোরের শ্রমিক, ইট ভাঙা, কুলি ইত্যাদি খাতকে চিহ্নিত করেছে।
উল্লেখ্য, যে বয়সে শিশুদের ইলম শেখার কথা সে সময়ে তারা জীবিকার জন্য শ্রম দেবে এটি দুর্ভাগ্যজনক। তাদের ইলমমুখী করে তুলতে হবে তাদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্যই। শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ শ্রম থেকে দূরে রাখতে সামাজিক আন্দোলনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। শিশুশ্রম দূর করতে সরকারি ও বেসরকারিভাবে অনেক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তারপরও দেশে শিশুশ্রম চলছে এবং এবং মজুরির ক্ষেত্রেও তারা নির্দয়ভাবে নিষ্পেষিত হচ্ছে।
কোনো কোনো মহল দাবি করেন যে, মানবিক কারণেই শিশু শ্রমিকদের প্রতি নজর দিতে। বলাবাহুল্য, তথাকথিত মানবতাবাদীরা এসব সেøাগান বহু বছর যাবতই আওড়িয়ে যাচ্ছে কিন্তু কাঙ্খিত মূল্যবোধ তারা আদৌ তৈরি করতে পারছে না। এবং পারবে বলেও প্রতীয়মান হচ্ছে না। তার পিছনে কারণ এই যে, মানবতাবোধ, মানবাধিকার মূলত মানুষের অনুভূতি তথা আহবান থেকেই উৎসারিত।
কাজেই মানুষের প্রতি মানুষের আহবান যতটা আগে সঞ্চার করতে পারে, মানুষের স্রষ্টা মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র কালাম পাক এবং উনার হাবীব, আখিরী রসূল, হযরত নবী আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হাদীছ শরীফ, মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দা তথা উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম উনাদের উপর অনেক বেশি প্রভাব বিস্তার করে। এ প্রভাব ইহলৌকিক নয়। এ প্রভাব রূহানী। যা শুধু অধিক নিবেদিতই নয়, পাশাপাশি নির্ভেজাল এবং নিখুঁতও।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন
২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গ: হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া এবং হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে গুপ্তহত্যার মাধ্যমে শহীদ করা জায়নবাদী তথা বর্বর ইহুদীরা কাপুরুষতার প্রমাণ দিয়ে অতীত ইতিহাস থেকে একের পর এক গুপ্তহত্যা করে আসছে ইহুদীদের গুপ্তহত্যার অনেক নিন্দা, ধিক্কার এবং প্রচারণা ও প্রতিহতের প্রচেষ্টা দরকার (পর্ব-১)
১৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শুধু যুবকরাই নয় এখন এনার্জি ড্রিংকসে বুদ হচ্ছে শিশুরাও কর ফাঁকি দিতে অনেক এনার্জি ড্রিংকস হয়ে গেছে কোমল পানীয় জনস্বাস্থ্য রক্ষা করতে অবিলম্বে এনার্জি ড্রিংকস বন্ধ করতে হবে
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইহুদী-নাছারাদের ষড়যন্ত্রে পড়েই দুনিয়াদার মালানারা বেহেশত-দোযখের ওয়াজ শরীফ বাদ দিয়েছে। পর্নোগ্রাফি, মাদক থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে চাইলে বেহেশত-দোযখের ওয়াজ শরীফও বেশি বেশি করতে হবে।
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ডানে সেলফি বামে সেলফি, সেলফি সেলফি সেলফি উম্মাদনায় সমাজে ব্যাপকভাবে বেড়েছে হত্যা, আত্মহত্যা, সম্ভ্রমহরণ, সড়ক দুর্ঘটনাসহ নানা অপরাধ। বিভিন্ন দেশে সেলফি’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করলেও বাংলাদেশে কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
১৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দিন দিন বাড়ছে পারিবারিক সহিংসতা, খুন আর আত্মহত্যা মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং দ্বীন ইসলাম বৈরিতাই এর মুখ্য কারণ সরকারের উচিত জাতীয়ভাবে দ্বীন ইসলাম উনার আদর্শ ও শিক্ষা প্রচার ও প্রসার করে এই সামাজিক সমস্যাটি দূরিকরণ করা।
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
যথাযথ পদক্ষেপ নিলে ইনশাআল্লাহ আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের প্রথম ধনী দেশ। এক উত্তারাঞ্চলের খনিজ উত্তোলন করলেই গোটা দেশের চেহারা পাল্টে যাবে। সরকারের নিষ্ক্রিয়তা বরদাশতযোগ্য নয়।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অবহেলায় কৃষিতে ব্যবহৃত হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ও রাসায়নিক; বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি। বিলুপ্তির পথে ১৯২ জাতের উপকারী পোকা। সরকারের উচিত অবিলম্বে কীটনাশক ও রাসায়নিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করে জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও কৃষিকে বিষমুক্ত করা।
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালন করা কী অপরাধ? সংবিধান কী পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের সুযোগ দেয়নি? পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে কী বেপর্দা ও ছবির বিরুদ্ধে বলা হয়নি?
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রতি বছর ১ কোটি মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক “অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স নতুন আশঙ্কা এবং বেশিরভাগ অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা কমেছে”- এ তথ্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। নচেৎ সাধারণ অসুখেই প্রাণনাশ হতে পারে
১১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘ইসলামভীতি মোকাবেলায় জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস’ হলেও কার্যকরী কিছুই হচ্ছে না ইসরাইলকে সহযোগিতা করতে আমেরিকায় ইসলামোফোবিয়ার বিস্তার আরো বাড়ানো হচ্ছে
১০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রতারণার ফাঁদে নাগরিক জীবন। সরকারের নজরদারী নেই। রকমফের প্রতারণা বন্ধে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদর্শ মুবারক বিস্তারের বিকল্প নেই।
০৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)