আইন
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম
, ০২ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১১ ছানী, ১৩৯২ শামসী সন , ০৯ জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ২৫ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) আইন ও জিহাদ
মুসলমানদের চিরশত্রু ইহুদী, নাসারা, হিন্দু, বৌদ্ধসহ সমস্ত কাফির, বেদ্বীন, বদদ্বীনরা ছলে, বলে, কৌশলে মুসলমানদের জাহিরী-বাতিনী তথা সর্বোত ক্ষতি সাধনে তৎপর। যার বাস্তবতা দেখতে পাই আমাদের দেশেও। এদেশ থেকে ইসলামী অনুশাসন, তাহযীব-তামাদ্দুন উঠিয়ে দিয়ে মুসলমানদেরকে কোনঠাসা করার লক্ষ্যে এই কাফির গোষ্ঠী কখনো মিডিয়াকে, কখনো শাসক শ্রেণীকে এবং কখনো আদালতকে ব্যবহার করে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করে যাচ্ছে। এমনকি শাসক শ্রেণী কোন বিষয়ে সম্মত না হলে, আনুগত্যতা না দেখালে তাদের পরিবর্তনেও সা¤্রাজ্যবাদীরা দেশের আদালতকে ব্যবহার করছে।
তাই, বর্তমান সময়ের যিনি সম্মানিত ইমাম ও মুজাদ্দিদ, ছহিবু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, সুলত্বানুন নাছীর, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বইয়ুমুয্যামান, ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মহাসম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থ বিরোধী কাফির ও মুনাফিকদের যাবতীয় ষড়যন্ত্র ও কূট কৌশল নস্যাৎ করে সত্যিকার অর্থেই ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠায় বহুমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন। সেগুলোর অন্যতম “আইনী কার্যক্রম”। সুবহানাল্লাহ। যা উনার ঐতিহাসিক অভূতপূর্ব আজিমুশ্বান তাজদীদ মুবারক।
এ তাজদীদী কার্যক্রমের সফলতা আজ দিবালোকের চেয়েও সুস্পষ্ট। ফলশ্রুতিতে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থ বিরোধী কাফির ও মুনাফিকদের অনেক ষড়যন্ত্র ও কূট কৌশল নস্যাৎ হয়েছে, হচ্ছে এবং হতেই থাকবে। ইনশাআল্লাহ!
পাঠকের উপলব্ধির স্বার্থে নীচে বিশেষ কিছু আইনী কার্যক্রমের তালিকা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হল।
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
কারখানার কর্মীদের নামায পড়ানো বিষয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: আইনমন্ত্রীকে লিগ্যাল নোটিশ
মুসলমানদের দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আল ইহসান ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার সম্পাদক মুহম্মদ মাহবুব আলমের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী এডভোকেট শেখ ওমর শরীফ রেজিস্টার্ড ডাকযোগে লিগ্যাল নোটিশটি পাঠান।
লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণের কারণ হিসেবে জানা যায়, গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় ২০২০ সালের ০৯ ফেব্রুয়ারী মুসলিম কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের জন্য তিন ওয়াক্ত নামায মসজিদে পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে বিবিসি বাংলার প্রতিবেদক শাহনাজ পারভীনের একটি প্রতিবেদন প্রচার করে বিবিসি বাংলা। প্রতিবেদনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মন্তব্য প্রচার করা হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশের আইনে এরকম কোন বাধ্যবাধকতা দেয়া যায় না। বাংলাদেশের আইন কেন, সংবিধানেই তো বলা আছে ধর্ম কারো উপর চাপিয়ে দেয়া যাবে না। ইসলাম ধর্মও বলে না কারো উপরে ধর্ম চাপিয়ে দেয়া যাবে।
আইনমন্ত্রীর এধরণের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, কারখানার মুসলিম কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য মসজিদে নামায বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। বাংলাদেশে প্রচলিত শ্রম আইন, ২০০৬ আওতায় এই ধরনের শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নেয়ার এখতিয়ার কারখানা কর্তৃপক্ষের আছে। গাজীপুরের সেই কারখানা কর্তৃপক্ষ স্পষ্টই বলেছিল, কর্মীদের মধ্যে মতভেদ-দূরত্ব কমানোর একটি উপায় হিসাবে কারখানায় নামায বাধ্যতামূলক করার ওই সিদ্ধান্তটি তারা নিয়েছিলেন।
শ্রমিকদের জন্য মসজিদে নামায বাধ্যতামূলক করার মাধ্যমে কারখানা কর্তৃপক্ষ কেবল ইসলামী শরীয়তের নির্দেশ পালন করেছিলেন মাত্র এতে বাংলাদেশে প্রচলিত আইন বা সংবিধানের কোনো লঙ্ঘন হয়নি। বরং শ্রম আইন, ২০০৬ এবং সংবিধানে উল্লেখিত ধর্মপালনের স্বাধীনতার সীমার মধ্যেই এসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল। অথচ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কারখানা কর্তৃপক্ষের সেই ধর্মপালনের সিদ্ধান্তকে আইন ও সংবিধান বিরোধী হিসেবে উপস্থাপন করেছেন, এমনকি এটাকে দ্বীন ইসলাম পরিপন্থীও বলেছেন। বাংলাদেশের আইন ও সংবিধানসম্মত একটি ইসলামী ইবাদতকে আইন ও সংবিধান বিরোধী হিসেবে উপস্থাপন করে আইনমন্ত্রী মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছেন।
নোটিশে বলা হয়, নোটিশ পাওয়ার ৭ কার্যদিবসের মধ্যে নোটিশগ্রহীতাকে সুস্পষ্ট বিবৃতি দিয়ে নামায বিষয়ক মন্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে এবং নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় নোটিশদাতা আইনের আশ্রয় নেবেন বলে নোটিশে বলা হয়েছে।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত জিহাদের ময়দানে ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বীরত্ব মুবারক (২)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২২৬৩)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত জিহাদ মুসলমানদের একটি বিশেষ ফরয ইবাদত
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২২৬২)
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত জিহাদ উনার ময়দানে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুমগণ একজন অপরজনকে প্রাধান্য দেয়ার বেমেছাল দৃষ্টান্ত মুবারক
২৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার সনদ (৯)
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনারা সম্মানিত জিহাদ করলেন ৬০ হাজার কাফিরের বিরুদ্ধে (৭)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার সনদ (৮)
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনারা সম্মানিত জিহাদ করলেন ৬০ হাজার কাফিরের বিরুদ্ধে (৬)
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার সনদ (৭)
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনারা সম্মানিত জিহাদ করলেন ৬০ হাজার কাফিরের বিরুদ্ধে (৫)
০৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার সনদ (৬)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)