সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম
, ২২ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৯ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ০৮ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ২৩ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) আইন ও জিহাদ
পাঠকের উপলব্ধির স্বার্থে নীচে বিশেষ কিছু আইনী কার্যক্রমের তালিকা এখানে প্রকাশ করা হল।
সুইডেনে পবিত্র কুরআন শরীফ পোড়ানোর প্রেক্ষিতে চরম নিন্দা এবং তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সুইডেন দূতাবাসে স্মারকলিপি পেশ
সুইডেনে পবিত্র কুরআন শরীফ মানহানির প্রেক্ষিতে চরম নিন্দা এবং তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সুইডিশ দূতাবাসে স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে। চার্জ দ্য এফোয়ার্স জ্যাকব এটার মাধ্যমে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসনকে এড্রেস করে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৯ শে জুন সুইডেনের তুর্কী দুতাবাসের সামনে মূলত: সুইডেন সরকারের ছত্রছায়ায় পবিত্র কুরআন শরীফ পোড়ানোর ঘটনায় বাংলাদেশের প্রায় ৪০ কোটি দ্বীনদার মুসলমান চরম-পরম পর্যায়ের সংক্ষুব্ধ। বাংলাদেশের ৪০ কোটি মুসলমানদেরকে দ্বীনী অনুভূতিতে অবর্ণনীয় বীভৎসকর আঘাত দিয়েছে। ৪০ কোটি দ্বীনদার মুসলমানদের বরদাশতের বাইরে। যা বাংলাদেশের প্রায় ৪০ কোটি মুসলমান কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না এবং পারবে না।
উল্লেখ্য ইতোপূর্বেও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মানহানির ঘটনা সুইডেনে একের পর এক ঘটেছে এবং এখনো ঘটছে। কিন্তু তার বিপরীতে সুইডিশ কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। মূলত এহেন ঘৃণাপূর্ণ কর্মকা- পরিচালনার পিছনে আর কোন উদ্দেশ্যই নাই শুধুমাত্র বিশ্বব্যাপী মুসলমানদেরকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে চরম আঘাত দেয়া বা মুসমালনদের দ্বীনি অনুভূতিকে চরম আঘাতগ্রস্ত করা ছাড়া। পাশাপাশি এ ঘটনা সহিংসতাকে উস্কে দিবে এবং সুইডেনের জনতা এবং সরকারকে সরাসরি মুসলিম বিশ্বের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিবে।
প্রতিবাদপত্রে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি নির্দেশনা জানিয়ে বলা হয়, রাসমোস পালুদান এবং সালওয়ান মমিকাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মুখোমুখি করার জন্য এবং এ বিষয়ে সে যেন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
প্রতিবাদপত্রে ব্যক্ত করা হয়, সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী এই ধরনের ইসলামবিদ্বেষী কর্মকান্ড ও তৎপরতা ভবিষ্যতের জন্য চিরতরে নিষিদ্ধ করবে।
উপরোক্ত প্রতিবাদলিপিখানা বাংলাদেশস্থিত সুইডিস দূতাবাসের মাধ্যমে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরিত হয়।
দ্বীনী অনুভূতিতে আঘাতে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান চেয়ে আইনী নোটিশ
দ্বীনী অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে বিচারের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান বা আইন করার দাবিতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি আইনী নোটিশ পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে নোটিশে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিষয়ে কটুক্তি ও অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগেও সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করার দাবি জানানো হয়েছে।
গত ৪ঠা ছানী/১৩৯১ শামসী অনুযায়ী ৩রা জুলাই/২০২৩ ঈসায়ী আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, দ্বীনি মন্ত্রণালয়ের সচিব, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (ডিজি) ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) এ নোটিশ পাঠানো হয়।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার উদ্ধৃতি দিয়ে নোটিশে বলা হয়, একজন মুসলমানের জন্য দায়িত্ব হলো, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে তার সবকিছুর চেয়ে বেশি মুহব্বত করা। বিশ্বের অনেক দেশে ধর্মীয় অবমাননা, বিশেষ করে দ্বীন ইসলাম অবমাননার বিরুদ্ধে কঠোর আইন রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ‘কমিশন অন ইন্টান্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম’ এর ২০১৭ সালের রিপোর্টে ৭১টি দেশের তালিকা উঠে আসে, যেখানে ব্লাসফেমি আইন রয়েছে। এই আইনের অধীনে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-। যুক্তরাষ্ট্রের ‘লাইব্রেরি অব কংগ্রেস’ এর তথ্যানুযায়ী ২০১৭ সালে ৭৭টি দেশের আইনে ‘ব্লাসফেমী, ধর্ম অবমাননা, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও অনুরূপ আচরণকে অপরাধ হিসেবে চিিহ্নত করা হয়।
বাংলাদেশের আইনে বলা হয়েছে- ধর্ম অবমাননা এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। কোনো ধর্মীয় স্থানের ক্ষতি সাধন, অসম্মান করা, লিখিত বা মৌখিকভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা তৈরি, অসম্মান করার উদ্দেশ্যে ধর্মীয় স্থানে অনধিকার প্রবেশ বা ধর্মীয় বাক্য বা শব্দের বিকৃতি ধর্মীয় অবমাননা বলে গণ্য হবে।
তবে বাংলাদেশের আইনে ধর্মানুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে মামলা করার বা বিচার প্রক্রিয়ার শাস্তির উদাহরণ বেশি নেই।
ধর্ম অবমাননা কিংবা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অপরাধগুলো আমাদের বিদ্যমান আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়ে আসছে বহু বছর আগে থেকেই। দ-বিধি ও ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের বিভিন্ন ধারায় ধর্ম অবমাননার যে শাস্তি ছিল ২০০৬ সালে এসে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে সেই শাস্তি আরও বাড়ানো হয়েছে। তাই যৌক্তিক সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে যথাযথ আইন প্রণয়ন করতে নোটিশে অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় প্রতিকার চেয়ে নোটিশ প্রেরণকারী উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হাররার ঘটনা এবং ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির কুফরী কাজের ফিরিস্তি (৭)
০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয় (৫)
০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
হাররার ঘটনা এবং ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির কুফরী কাজের ফিরিস্তি (৬)
০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম
২৭ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয় (৪)
২৫ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হাররার ঘটনা এবং ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির কুফরী কাজের ফিরিস্তি (৫)
২৪ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হাররার ঘটনা এবং ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির কুফরী কাজের ফিরিস্তি (৪)
১৭ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয় (৩)
১৪ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম
১২ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বানূ নাযীরের সম্মানিত জিহাদ এবং ইহুদী গোত্রকে পবিত্র মদীনা শরীফ থেকে বিতাড়িত করা প্রসঙ্গে (২৩)
১২ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হাররার ঘটনা এবং ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির কুফরীমূলক কাজের ফিরিস্তি (৩)
১০ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয় (২)
০৭ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)