সম্মানিত উহুদ জিহাদ: (৩৭ পর্ব)
, ১৩ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৬ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ০৬ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ২০ ফাল্গুন, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) আইন ও জিহাদ
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُ، قَالَ كَأَنـِّي أَنْظُرُ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَـحْكِي نَبِيًّا مِنَ الْأَنْبِيَاءِ ضَرَبَهُ قَوْمُهُ، وَهُوَ يَـمْسَحُ الدَّمَ عَنْ وَجْهِهِ، وَيَقُولُ ্রرَبِّ اغْفِرْ لِقَوْمِي فَإِنّـَهُمْ لَا يَعْلَمُونَগ্ধ،
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যেন আমি এখনও চাক্ষুষ দেখতে পাচ্ছি যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কোন এক নবীর ঘটনা বর্ণনা করছেন, উনার ক্বওম উনাকে আঘাত করেছে। অথচ তিনি নিজের নূরুর রহমত তথা মহাসম্মানিত মুখম-ল থেকে নূরুন নাজাত তথা মহাসম্মানিত রক্ত মুবারক মুছতে মুছতে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট এ দোয়া মুবারক করলেন, আয় বারী ইলাহী মহান আল্লাহ পাক! আমার ক্বওমকে আপনি ক্ষমা করে দিন। কেননা তারা আমাকে চিনতে পারেনি। অর্থাৎ তারা যে জঘন্যতম অপরাধ করেছে, তা তারা বুঝতে পারেনি। (মুসনাদে আহমদ শরীফ: পবিত্র হাদীছ শরীফ নং- ২৩৩, বুখারী শরীফ: পবিত্র হাদীছ শরীফ নং- ৩৪৭৭, মুসলিম শরীফ: পবিত্র হাদীছ শরীফ নং- ৪৪৯৭, ইবনে হাব্বান)
হযরত ইবনে জারীর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার তারিখ তথা ইতিহাস গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। হযরত সুদ্দী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, “কাট্টা কাফির ইবনে কামিয়া হারেছী সম্মানিত উহুদ জিহাদের ময়দানে উপস্থিত হয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে লক্ষ্য করে একটি পাথর নিক্ষেপ করে। যার ফলে উনার একটি নূরুল্লাহ (মহাসম্মানিত দাঁত মুবারক) শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন, উনার নূরুন আলা নূর (মহাসম্মানিত নাক মুবারক) ফেটে যান এবং নূরুর রহমত (মহাসম্মানিত মুখম-ল মুবারক) নূরুন নাজাত (রক্তাক্ত) শান মুবারক প্রকাশ করেন। তিনি প্রচ- ব্যথিত শান মুবারক প্রকাশ করেন। এদিকে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম এই পরিস্থিতিতে চিন্তিত হয়ে পড়েন।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে ডেকে বলছিলেন-
عِبَادَ اللَّهِ، إِلَيَّ عِبَادَ اللَّهِ فَاجْتَمَعَ إِلَيْهِ ثَلَاثُونَ رَجُلًا فَجَعَلُوا يَسِيرُونَ بَيْنَ يَدَيْهِ
অর্থ: ‘মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দাগণ! এদিকে আমার নিকটে আসুন। মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দাগণ এদিকে আমার নিকট আসুন! দেখা গেলো, ৩০ জন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সামনে এসে একত্রিত হলেন। অর্থাৎ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে হাযির হলেন।’ ইতিপূর্বে হযরত ত্বলহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত সাহল ইবনে হানীফ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারাও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে অবস্থান মুবারক করছিলেন। হযরত ত্বলহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার নিজ দেহ দ্বারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আড়াল করে রেখেছিলেন। হঠাৎ শত্রুপক্ষের একটি তীর এসে হযরত ত্বলহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার হাত মুবারকে বিদ্ধ হয়। ওই হাত মুবারক কাফিরদের তীরের আঘাতে অবশ হয়ে যায়।
কাট্টা কাফির উবাই ইবনে খালাফ জুমাহী সে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিকে অগ্রসর হয়। সে ক্বসম করেছিল যে, অবশ্যই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে শহীদ করবে। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আমিই বরং তাকে হত্যা করব। সুবহানাল্লাহ! সুবহানা রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! (চলবে)।
-আল্লামা সাইয়্যিদ শাবীব।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
‘জিহাদ’ মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ মুবারক
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জিহাদের ময়দান থেকে পলায়ন করা জায়িয নেই
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২২৬৫)
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত জিহাদের ময়দানে ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বীরত্ব মুবারক (২)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২২৬৩)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত জিহাদ মুসলমানদের একটি বিশেষ ফরয ইবাদত
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২২৬২)
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত জিহাদ উনার ময়দানে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুমগণ একজন অপরজনকে প্রাধান্য দেয়ার বেমেছাল দৃষ্টান্ত মুবারক
২৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার সনদ (৯)
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনারা সম্মানিত জিহাদ করলেন ৬০ হাজার কাফিরের বিরুদ্ধে (৭)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার সনদ (৮)
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনারা সম্মানিত জিহাদ করলেন ৬০ হাজার কাফিরের বিরুদ্ধে (৬)
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)