সম্মানিত উহুদ জিহাদ: (৩৩ পর্ব)
, ২৮শে রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২২ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন , ২০ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ০৬ ফাল্গুন, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) আইন ও জিহাদ
হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন, সম্মানিত উহুদ জিহাদের দিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সামনের নূরুল্লাহ তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দাঁত মুবারক শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। উনার নূরুর রহমত তথা মহাসম্মানিত চেহারা মুবারকও যখমী শান মুবারক প্রকাশ করেন, উনার নূরুল হুদা তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল হুদা বা মাথা মুবারকের যখমী শান মুবারক হতে নূরুন নাজাত তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রক্ত মুবারক প্রবাহিত হতে থাকেন এবং তিনি এই বলে নূরুন নাজাত তথা মহাসম্মানিত রক্ত মুবারক মুছতে থাকেন, আর ইরশাদ মুবারক করতে থাকেন-
كَيْفَ يُفْلِحُ قَوْمٌ خَضَّبُوا وَجْهَ نَبِيِّهِمْ بِالدَّمِ، وَهُوَ يَدْعُوهُمْ إِلَى رَبِّهِمْ
অর্থ: “ঐ জাতি কিভাবে কামিয়াবী তথা সফলকাম হতে পারে, যারা তাদের হযরত নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুর রহমাত তথা মহাসম্মানিত চেহারা মুবারক উনাকে নূরুন নাজাত বা মুবারক রক্তে রঞ্জিত করে দিয়েছে। নাউযূবিল্লাহ! নাউযূবিল্লাহ! নাউযূবিল্লাহ! অথচ তিনি তাদেরকে তাদের রব মহান আল্লাহ পাক উনার দিকে আহ্বান করছেন।” (মুসনাদে আহমদ, শরহুস সুন্নাহ, সুনানে ইবনে মাজাহ)
হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত রুবাইহ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে আবূ সায়ীদ খুদরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার পিতা থেকে। তিনি হযরত আবূ সায়ীদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে এ তথ্য বর্ণনা করেছেন যে, নিশ্চয়ই কাট্টা কাফির উতবা ইবনে আবূ ওয়াক্কাছ সেদিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর পাথর নিক্ষেপ করে, নাউযুবিল্লাহ! তখন উনার সামনের ডান দিকের নীচের নূরুল্লাহ তথা মহাসম্মানিত দাঁত মুবারক শাহাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন এবং নীচের নূরুল হামরা বা ঠোঁট মুবারক যখমী শান মুবারক প্রকাশ করেন। আর নিশ্চয়ই কাট্টা কাফির আব্দুল্লাহ ইবনে শিহাব যুহরীর কারণে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুল মালাহাহ্ তথা মহাসম্মানিত ললাট মুবারক যখমী শান মুবারক প্রকাশ করেন। নাউযূবিল্লাহ! আর কাট্টা কাফির ইবনে কামিয়া নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুর রহমাত তথা মহাসম্মানিত চেহারা মুবারক উনার উপরি অংশে এমন ভাবে আঘাত করে যে, উনার মুবারক শিরস্ত্রাণের দু’টি কড়া উনার নূরুল হুদা তথা মহাসম্মানিত মাথা মুবারক উনার ভিতর ঢুকে যায় এবং তিনি একটি নীচু স্থানে তাশরিফ মুবারক গ্রহণ করেন। এই নীচু স্থানটা কাট্টা কাফির আবূ আমির নামক জনৈক মুশরিক খনন করেছিল, যাতে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা না জেনে নীচু স্থানে যেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হন। নাউযুবিল্লাহ! এ সময় সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুল মাগফিরাহ তথা মহাসম্মানিত হাত মুবারক ধরেন, হযরত ত্বলহা ইবনে উবাইদুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনাকে ভর দিয়ে নীচু স্থান থেকে উপরে তাশরীফ মুবারক আনেন। হযরত আবূ সায়ীদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার পিতা হযরত মালিক ইবনে সিনান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুর রহমাত তথা মহাসম্মানিত চেহারা মুবারক থেকে নূরুন নাজাত তথা মহাসম্মানিত রক্ত মুবারক চুষে চুষে পান করতে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
مَنْ مَسّ دَمِي دَمَهُ لَمْ تُصِبْهُ النّارُ
অর্থ: “আমার নূরুন নাজাত তথা মহাসম্মানিত রক্ত মুবারক যার রক্তের সাথে মিশেছেন, জাহান্নামের আগুন উনাকে স্পর্শ করবে না। সুবহানাল্লাহ! সুবহানা রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! (উমদাতুল ক্বরী, শরহে কুসত্বলানী, উয়ূনুল আছার, আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়াহ, সীরাতুল হালাবিয়্যাহ)
-আল্লামা সাইয়্যিদ শাবীব।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত জিহাদের ময়দানে ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বীরত্ব মুবারক (২)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২২৬৩)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত জিহাদ মুসলমানদের একটি বিশেষ ফরয ইবাদত
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২২৬২)
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত জিহাদ উনার ময়দানে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুমগণ একজন অপরজনকে প্রাধান্য দেয়ার বেমেছাল দৃষ্টান্ত মুবারক
২৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার সনদ (৯)
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনারা সম্মানিত জিহাদ করলেন ৬০ হাজার কাফিরের বিরুদ্ধে (৭)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার সনদ (৮)
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনারা সম্মানিত জিহাদ করলেন ৬০ হাজার কাফিরের বিরুদ্ধে (৬)
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার সনদ (৭)
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনারা সম্মানিত জিহাদ করলেন ৬০ হাজার কাফিরের বিরুদ্ধে (৫)
০৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার সনদ (৬)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)