সমুদ্র অর্থনীতির প্রতি নজর দিলে বাংলাদেশ আক্ষরিক অর্থে অল্প দিনেই ইনশাআল্লাহ হতে পারবে সত্যিকারের সোনার বাংলা
, ১৬ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৪রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১৯ ভাদ্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মন্তব্য কলাম
বাংলাদেশের জন্য সমুদ্রে উন্মুক্ত অধিকার বিশাল সুযোগ যা আন্তর্জাতিক ব্যবসায় ও বাণিজ্যের বিস্তারের পাশাপাশি সামুদ্রিক সম্পদের ব্যাপ্তি ও বৈচিতর্্েযও বাংলাদেশের অধিকারকে আরো বিস্তৃত করে। বঙ্গোপসাগরের সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনা বিবেচনায় রেখে সমুদ্রে বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে সমুদ্র বিজয় অভিযাত্রার সূচনা করেন। বাংলাদেশ সংবিধানের ১৪৩ অনুচ্ছেদের ২ নম্বর ধারা অনুযায়ী সমুদ্র অঞ্চলের সীমা নির্ধারণ, সমুদ্র সীমানায় বিভিন্ন কর্মকা- পরিচালনা, সমুদ্রসম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে সর্বপ্রথম ‘দি টেরিটোরিয়াল ওয়াটার্স এ্যান্ড মেরিটাইম জোন অ্যাক্ট' প্রণয়ন করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ১৯৭৪ সালের আইনটি প্রয়োজনীয় সংশোধনপূর্বক 'টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২১' প্রণয়ন করে। ওই বিলে 'ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন অন দ্য ল অব দ্য সি (আনক্লোস, ১৯৮২)' ছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আইন এবং সমুদ্রসীমা নির্ধারণ সংক্রান্ত মামলার রায়ের যথাযথ প্রতিফলন ঘটানো হয়।
প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়নামার ও ভারতের সাথে যথাক্রমে ২০১২ ও ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক আদালতে সমুদ্র-সীমা বিরোধের চুড়ান্ত রায়ে বাংলাদেশ তার এলাকাভুক্ত সমুদ্রের অংশ, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও মহীসোপান সমন্বয়ে বঙ্গোপসাগরের ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের সমপরিমাণ টেরিটোরিয়াল সমুদ্র এলাকায় বাংলাদেশের নিরঙ্কুশ অধিকার ও সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়, যা মূল ভূখ-ের ৮০ দশমিক ৫১ শতাংশ। সমুদ্র বিশ্লেষকরা মতামত দিয়েছেন সমুদ্র বিজয় মূলতঃ জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ বজায় রেখে সমুদ্র সম্পদের টেকসই ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, উন্নত জীবিকা এবং কর্মসংস্থানের এক নতুন দুয়ার উন্মোচন করেছে। গবেষকরা মনে করেন, ব্লু-ইকোনমি বা সুনীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি দেশ। দেশের স্থলভাগের প্রায় সমপরিমাণ সমুদ্রসীমা এখন মূল্যবান সম্পদের ভান্ডার। এসব সম্পদ ও সম্ভাবনার যথাযথ ব্যবহারে সামুদ্রিক অর্থনীতি বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে মর্মে বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন। সমুদ্র নির্ভর ব্লু-ইকোনমির সফল পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যাবে এবং বিশাল সমুদ্রসীমা থেকে ব্যাপকভিত্তিক সম্পদ আহরণ করে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী করা যাবে। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল এবং মহীসোপান প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর তাই টেকসই উন্নয়নকে বিবেচনায় রেখে উন্নত বাংলাদেশ এর লক্ষ্য অর্জন করতে সুনীল অর্থনীতিকে অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে বাস্তবসম্মত মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশের জিডিপিতে সুনীল অর্থনীতির এ অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে আমাদের প্রয়োজন হবে সামুদ্রিক সম্পদের অনূসন্ধান ও উন্নয়ন, সমুদ্র ও উপকূলীয় স্থানের যথোপযুক্ত ব্যবহার,সামুদ্রিক পণ্যের ব্যবহার, সামুদ্রিক কর্মতৎপরতার সমর্থনে পণ্য ও সেবা সহায়তা দান এবং সামুদ্রিক পরিবেশের সুরক্ষা করা।
বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্লু ইকোনমির অবদান (গ্রস ভ্যালু এডেড) মাত্র ৯.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা মোট অর্থনীতির মাত্র ৬ শতাংশ। সমুদ্র সম্পদ যথা গ্যাসসহ অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ উত্তোলন, মৎস্যসম্পদ আহরণ, বন্দরের সুবিধা সম্প্রসারণ ও পর্যটনের ক্ষেত্রে পরিকল্পনামাফিক কার্যক্রম পরিচালনা করা গেলে ২০৩০ সাল নাগাদ প্রতি বছর আড়াই লাখ কোটি ডলার আয় করা সম্ভব মর্মে অর্থনীতিবদরা মতামত দিয়েছেন।
সমুদ্র নির্ভর সুনীল অর্থনীতিকে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে সুনীল অর্থনীতি হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। এছাড়া, সুনীল অর্থনীতি রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা, দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূণতা অর্জন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, পানিবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলাসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকা-ে সমুদ্রসম্পদের অপরিসীম ভূমিকা রাখার পাশাপাশি ইনশাআল্লাহ খুলে দেবে বাংলাদেশের অপরাপর সম্ভাবনার দুয়ার।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পেয়াজ, সরিষা, ধান এমনকি ভরা মৌসুমে আলুর নিম্নমানের বীজে মহা ক্ষতির মুুখে চাষিরা। বহুদিন ধরে বিভিন্ন কোম্পানীর বীজে প্রবঞ্চিত হবার পর এখন খোদ সরকারের প্রণোদনার বীজেও প্রতারিত কৃষক। কৃষিপ্রধান দেশে কৃষক ও কৃষিপণ্য নিয়ে এমন ছিনিমিনি খেলা আর কতদিন চলবে?
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমানের সংজ্ঞা কতজন মুসলমান জানে? প্রকৃত মুসলমান না হয়ে শুধু বাহ্যিক মুসলমান দাবি কী অন্যায় নয়? মুসলমান মাত্রই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করতে হবে।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ডিজিটালাইজেশনের নামে শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। দেশের ইন্টারনেট জগতে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় শিশু-কিশোররা আক্রান্ত হচ্ছে অশ্লীলতায়। শিখছে অনৈতিকতা, বেহায়াপনা, হিংস্রতা। সরকারের উচিত- দ্রুত দেশের ইন্টারনেট জগতে কন্টেন্ট ফিল্টারিংয়ের ব্যবস্থা করা। বিশেষ করে শিশু কিশোরদের ইন্টারনেট আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুশাসন প্রচার প্রসার করা।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রতিবছর ২৫ লাখ বাংলাদেশী রোগী ভারতে গিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা অপচয় করে এর পেছনে রয়েছে ভারতের মেডিক্যাল টুরিজমের ফাঁদ, এদেশের হাসপাতালের হিন্দুবাদী ডাক্তারদের ষড়যন্ত্র এবং কিছু লোকের অজ্ঞতা ও তথাকথিত স্ট্যাটাস প্রবণতা এবং হিন্দু বিদ্বেষী ঈমানী চেতনা না থাকা
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালন করা কী অপরাধ? সংবিধান কী পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের সুযোগ দেয়নি? পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে কী বেপর্দা ও ছবির বিরুদ্ধে বলা হয়নি? তাহলে কী রাষ্ট্রযন্ত্রের উচিত নয়- ছবি না তুলে, বেপর্দা না হয়ে দ্বীনদার মুসলমানরা যাতে সাংবিধানিক সুযোগ পায় সে অধিকার সংরক্ষিত করা। প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করা।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতিবছর ২৫ লাখ বাংলাদেশী রোগী ভারতে গিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা অপচয় করে এর পেছনে রয়েছে ভারতের মেডিক্যাল টুরিজমের ফাঁদ, এদেশের হাসপাতালের হিন্দুবাদী ডাক্তারদের ষড়যন্ত্র এবং কিছু লোকের অজ্ঞতা ও তথাকথিত ষ্ট্যাটাস প্রবনতা এবং হিন্দু বিদ্বেষী ঈমানী চেতনা না থাকা ভারতের সেবাদাস- পতিত সরকার ভারতের কুপরামর্শে- দেশের চিকিৎসাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ, স্বচ্ছ ও সমৃদ্ধ হতে দেয়নি অবিলম্বে চিকিৎসা খাতকে সমৃদ্ধ এবং দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে ইনশাআল্লাহ (প্রথম পর্ব)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (তৃতীয় পর্ব)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘ইসলামভীতি মোকাবেলায় জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস’ হলেও কার্যকরী কিছুই হচ্ছে না ইসরাইলকে সহযোগিতা করতে আমেরিকায় ইসলামোফোবিয়ার বিস্তার আরো বাড়ানো হচ্ছে
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা দরকার ইনশাআল্লাহ (প্রথম পর্ব)
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খাদ্যদ্রব্যে অতিরিক্ত ভেজাল মিশ্রণে হুমকির মুখে ৪৫ কোটি মানুষ। ভেজাল খাবারে দেশব্যাপী চলছে নীরব গণহত্যা। ভেজাল দমনে সম্মানিত ইসলামী মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: শিশুদের জন্য ইন্টারনেট নিরাপদ করতে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল গাইড লাইন তৈরি করছে সরকার নিয়ন্ত্রনহীন ইন্টারনেট জগতে প্রবেশ করে অশ্লীলতা, হিংস্রতা ও অপসংস্কৃতিতে লিপ্ত হচ্ছে শিশু কিশোররা সরকারের উচিত হবে এই গাইডলাইনে দীর্ঘসূত্রিতা না রেখে তা ত্বরিৎ বাস্তবায়ন করা।
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)