সমুদ্রে ভাসমান মরক্কোর ঐতিহাসিক দ্বিতীয় হাসান মসজিদ
, ১১ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৫ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন, ৩রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ২০ই মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) স্থাপত্য নিদর্শন

স্থাপনাটি ইসলামী স্থাপত্য এবং মরক্কীয় উপাদানগুলিকে মিশ্রিত করে এবং একটি শহুরে নকশার বৈশিষ্ট্যযুক্ত মুরীয় প্রভাবকে প্রতিফলিত করে। এটিতে অন্যান্য মরক্কীয় স্থাপনা যেমন রাবাতে অবস্থিত অসমাপ্ত মসজিদ এবং মারাক্কেশের কাউতুবিয়া মসজিদে পাওয়া উপাদানগুলি দেখা যায়। অন্যান্য উপাদান ট্যুর হাসান মসজিদ, এটি কুব্বাত আস-সাখরা, মদীনা শরীফ উনার বড় মসজিদ, তিউনিসিয়ার কাইরুয়ান মসজিদ, দামেস্কের বড় মসজিদ, কর্ডোবার বড় মসজিদ, মরক্কোর আল-কারাওইন মসজিদ, তলেমসেনের বড় মসজিদ এবং আলজিয়ার্গের বড় মসজিদ থেকে এসেছে। এর বিন্যাসটি ব্যাসিলিকান প্ল্যান নামে পরিচিত।
নামাজ ঘরঃ
মসজিদের নামাজের ঘরটি নিচতলায়। মসজিদের মূল কক্ষটি কেন্দ্রীয়ভাবে উত্তপ্ত এবং আটলান্টিক মহাসাগরের দর্শনীয় ডুবো দৃশ্য প্রদান করে। মসজিদের মূল কক্ষটির বিস্তৃত এবং সূক্ষ্ম অলঙ্করণগুলো সাজানোর জন্য মরক্কোর ৬০০০ দক্ষ কারিগর একসাথে কাজ করে সম্পাদন করেছেন। মসজিদের অলঙ্করণের জন্য জেলিজ কাজ এবং স্টুকো ছাঁচগুলি বিস্তৃত কাঠের খোদাই করা, এবং অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক নকশার। কাঠ দিয়ে অলংকরণ খোদাই করার জন্য সিডার কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে যা মধ্য এটলাস পর্বতমালা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল, অন্যান্য অলংকরণের জন্য আগাদির থেকে মার্বেল এবং টাফ্রাউট থেকে গ্রানাইট সংগ্রহ করা হয়েছিল।
নামাজের ঘরটি দৈর্ঘ্যে ২০০ মিটার (৬৬০ ফুট) এবং প্রস্থে তিনটি বারান্দা সহ ১০০ মিটার (৩৩০ ফুট) আয়তক্ষেত্রাকার পরিকল্পনায় নির্মিত করা হয়েছে মসজিদটি, যা ক্বিবলা দেয়ালের সাথে লম্ব। মসজিদের মূল করিডর ৪০ মিটার (১৩০ ফুট) দীর্ঘ এবং পাশের করিডরগুলোর চেয়ে বড়, যা ২৭ মিটার (৮৯ ফুট) উচ্চ। মসজিদের নামাজ কক্ষটি পরপর অসংখ্য গম্বুজের সাথে ঝুলছে মুরানো থেকে আমদানি করা কাঁচের ঝাড়বাতি। মসজিদের দরজাগুলি বৈদ্যুতিকভাবে পরিচালিত হয়। মসজিদের সম্মুখভাগের দেয়ালে দুটি ছোট আকারের ট্রিপটিচ মার্বেল পার্টিশন রয়েছে। অলংকৃত ফুলের নকশায় খোদাই করা বহু রঙের খিলান দিয়ে নির্মিত এই জাতীয় প্যানেলগুলি বাইরে থেকে দেখলে জ্যামিতিক কাঠামোর মতো দেখা যায়। দরজাগুলো মার্বেল বার দিয়ে অলঙ্কৃত করা হয়েছে। খোদাই করা প্লাস্টারসহ জ্যামিতিক আকৃতির পলিক্রোম্যাটিক জেলজিগুলো এপিগ্রাফিসহ পুষ্পশোভিত এবং জ্যামিতিক নকশার সাথে সূচিত করা হয়েছে। এই মার্জিত নকশার জন্য কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে। কাঠদিয়ে খোদাই করা মার্বেল যা ইসলামি শিল্পের গঠনগুলোকে তুলে ধরে।
মসজিদের ছাদটি উন্মুক্ত করা যায়, দিনে সূর্যের আলোয় মসজিদের মূল নামাজ কক্ষটি আলোকিত হয় এবং রাতে পরিষ্কার আকাশময় মুসল্লীদের তারার নিচে ইবাদত করার সুযোগ দেয়। মসজিদের ছাঁদটির ওজন ১১০০ টন এবং এই ছাদটি উন্মুক্ত করার জন্য পাঁচ মিনিট সময় প্রয়োজন হয়ে। এই ছাদটির আয়তন ৩,৪০০ বর্গমিটার (৩৭,০০০ বর্গফুট) ক্ষেত্রফলসহ ৬০ মিটার (২০০ ফুট) উঁচু। ছাদটি অ্যালুমিনিয়াম টাইলস (ফেজ টাইলসের অনুরূপ) দিয়ে আবৃত, ঐতিহ্যবাহী সিরামিক টাইলসের চেয়ে শক্তিশালী ও অধিক নির্ভরযোগ্য এবং প্রায় ৩৫ শতাংশ হালকা। উত্তর দিকের দেওয়ালে কাঁচের দরজা থেকেও মূল নামাজ কক্ষটি আলোকিত হয়।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
তাজ-উল-মসজিদ ভারতের সর্ববৃহৎ মসজিদ
২৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
টাইম ম্যাগাজিনের তালিকায় আশুলিয়ার জেবুন নেসা মসজিদ
২১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাগেরহাটের ঐতিহাসিক চুনাখোলা মসজিদ
১৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (১৪)
১৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ঐতিহাসিক বানিয়াবাসী মসজিদ (৩)
১২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ঐতিহাসিক বানিয়াবাসী মসজিদ (২)
০৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ঐতিহাসিক বানিয়াবাসী মসজিদ (১)
২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (১১)
২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ঐতিহাসিক রোয়াইলবাড়ি দুর্গ (৩)
১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (১০)
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ঐতিহাসিক রোয়াইলবাড়ি দুর্গ (২)
১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ঐতিহাসিক রোয়াইলবাড়ি দুর্গ (১)
০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)