সবচেয়ে বেশি ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনকারী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর কোন কোন জায়গায় ১০ মিটার পর্যন্ত নেমে গেছে।
অথচ বৃষ্টির পানি সংরক্ষন করে রাজধানী সহ সারা দেশে বিশুদ্ধ পানির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। পাশাপাশি বৃষ্টির পানি সংরক্ষন করে বাংলাদেশ বিশ্বে পানি সেবা দানকারী দেশগুলোর নেতৃত্ব প্রদান করতে পারবে ইনশাল্লাহ!
, ০৩ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২১ ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ২০ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ০৫ ভাদ্র শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মন্তব্য কলাম
ঢাকা ছাড়াও এর আশেপাশের অঞ্চল এবং কিছু কিছু পল্লী এলাকাতেও দ্রুত পানির স্তর নেমে যাচ্ছে। 'দ্রুত নিঃশেষিত হওয়ার কারণে সুপেয় পানির উৎস কমে আসবে। একই সঙ্গে, আমাদের কৃষি ও শিল্প খাতও সমস্যায় পড়বে।'
জাতিসংঘের সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১০ সালে বাংলাদেশ বছরে ৩০ ঘন কিলোমিটার এলাকা থেকে পানি উত্তোলন করেছে এবং ৮৬ শতাংশ পানি সেচ কাজে ব্যবহার করেছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা ২০১৮ সালে প্রকাশিত বিশ্ব ব্যাংকের একটি প্রতিবেদনের সূত্র দিয়ে জানান, প্রতি বছর ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের জন্য ব্যবহৃত ভূমির প্রাক্কলিত পরিমাণ ৩২ ঘন কিলোমিটার।
বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তোলন করা পানির প্রায় ৯০ শতাংশ সেচ কাজে এবং বাকি ১০ শতাংশ গৃহস্থালি কাজে ও শিল্প খাতে ব্যবহৃত হয়। এই প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল 'মাল্টি-হ্যাজার্ড গ্রাউন্ডওয়াটার রিস্কস টু দ্য ড্রিংকিং ওয়াটার সাপ্লাই ইন বাংলাদেশ'।
প্রতি বছরই আশংকাজনক হারে বাড়ছে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের হার, যেটি দেশের জলাধারগুলোর প্রতি মারাত্মক হুমকি এবং এটি একই সঙ্গে খরা ও দূষণের ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে।
বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রায় ৫ থেকে ২৪ শতাংশ ভূমি এলাকা উচ্চ পর্যায়ের আর্সেনিক, লবণাক্ততা ও ভূগর্ভস্থ পানির সঞ্চয় ফুরিয়ে যাওয়ার আশংকায় আছে।
এ ছাড়াও, প্রতিবেদনে পূর্বাভাষ দেওয়া হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৪ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ১৭ শতাংশ পর্যন্ত মানুষ উল্লেখিত সমস্যাগুলোয় আক্রান্ত হওয়ার উচ্চঝুঁকিতে আছেন।
এই ৮৬ লাখ মানুষের মধ্যে ২২ লাখই দারিদ্রসীমার নিচে আছেন।
দেশে জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানির চাহিদাও বাড়ছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে নির্ভর করা হচ্ছে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর। তবে যথেচ্ছভাবে পানি তোলার জন্য ভবিষ্যতে মানুষকে খেসারত দিতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন। এখনই অনেক অঞ্চলের মানুষকে এ কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দিন দিন পানির প্রাপ্যতা কমছে। আবার পানি উত্তোলনে ব্যয়ও বেড়েছে।
নির্বিচারে ভূগর্ভস্থ পানি তোলা হলে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য ক্ষুণ্ন হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এর প্রভাবে ভূগর্ভস্থ পানিতে দূষণের ঝুঁকি তৈরি হয়। ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়ার প্রবল আশঙ্কাও দেখা দেয়। এসব কারণে পৃথিবীর অনেক দেশই এখন ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছে। এর পরিবর্তে ভূ-উপরিস্থিত বিভিন্ন উৎস থেকে পানি ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশেও এ ধরনের উদ্যোগের নেয়া হচ্ছে। নদ-নদীসহ বিভিন্ন জলাশয়ের পানি বা বৃষ্টির পানির ব্যবহার বাড়ানোর জন্য কাজ করা হচ্ছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। তবে এখনো গভীর নলকূপ বসানো নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সাবমারসিবল পাম্প। এতে বিপদ আরও বেড়েছে।
ভূগর্ভস্থ পানির স্তরের ওপর নির্ভরতা কমাতে হলে মাটির ওপরের পানি ব্যবহারে মনোযোগী হতে হবে। সমস্যা হচ্ছে, দেশের মাটির ওপরের পানি নানা কারণে দূষিত হয়ে পড়েছে। শিল্প ও গার্হস্থ্য বর্জ্যরে পাশাপাশি কৃষিতে রাসায়নিকের ব্যবহারের কারণে নদ-নদী, খাল-বিল দূষিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জরুরি ভিত্তিতে পানি পরিশোধনাগার গড়ে তোলা দরকার বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত, আমরা মনে করি যদি প্রধান ও মুখ্য উৎস হিসেবে বৃষ্টির পানি ধরে রেখে তা যথাযথভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া যায়, তবে মারাত্মক ক্ষতিকর ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলন অনেকাংশে কমে গিয়ে তার উপর চাপ কমে যাবে।
ক্ষতি হচ্ছে হাজার কোটি টাকা। সেইসাথে প্রতিবছর অতিবৃষ্টির ফলে দেশে অমৌসুমে বন্যার সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, এই বন্যা এবং পানিবদ্ধতা দূর করা যাবে শুধুমাত্র বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে। বৃষ্টির ৪০ শতাংশ পানিও যদি সংরক্ষণ করা যায়, তাহলে দেখা যাবে রাজধানীতে পানিবদ্ধতা হবে না এবং দেশের বন্যাও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
বিশ্বের প্রায় ৬টিরও বেশি দেশে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে সেই পানি ব্যবহার করা হয়। আর এতে করে এই পানি ব্যবহারে পানিজনিত রোগ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশেরও কোনো কোনো পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টির পানিই তাদের জীবনধারণের একমাত্র সম্বল। যদি অন্যান্য রাষ্ট্র বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে পানির চাহিদা মেটানোর কাজে ব্যবহার করতে পারে, তাহলে বাংলাদেশের মতো বরকতপূর্ণ দেশেও এটা করা কোনো ব্যাপারই নয়। ইনশাল্লাহ!
এদিকে পানির সঙ্গে পরিবেশের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। রয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গেও সম্পর্ক। সেজন্য এখন সময় এসেছে পুকুর, নালা, খাল, বিলসহ মুক্ত পানির আধারে পানি ধরে রাখা এবং সেগুলো দিয়ে সেচের পানি সরবরাহ করা। অপরদিকে গৃহস্থালিসহ অন্য প্রয়োজনীয় পানির জন্য অবশ্যই বৃষ্টির পানির ব্যবহার বৃদ্ধি করা। কারণ কমস্তরের ভূ-গর্ভস্থ পানিকে ইদানীং আর্সেনিক বিষ ছাড়াও আরো অনেক ক্ষতিকর রাসায়নিক মিলে জনজীবনে ক্ষতি বয়ে আনছে। যার আরামদায়ক ও সহজ সমাধান হলো রেইন ওয়াটার হারভেস্টিংয়ের ব্যবহার।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন
২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গ: হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া এবং হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে গুপ্তহত্যার মাধ্যমে শহীদ করা জায়নবাদী তথা বর্বর ইহুদীরা কাপুরুষতার প্রমাণ দিয়ে অতীত ইতিহাস থেকে একের পর এক গুপ্তহত্যা করে আসছে ইহুদীদের গুপ্তহত্যার অনেক নিন্দা, ধিক্কার এবং প্রচারণা ও প্রতিহতের প্রচেষ্টা দরকার (পর্ব-১)
১৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শুধু যুবকরাই নয় এখন এনার্জি ড্রিংকসে বুদ হচ্ছে শিশুরাও কর ফাঁকি দিতে অনেক এনার্জি ড্রিংকস হয়ে গেছে কোমল পানীয় জনস্বাস্থ্য রক্ষা করতে অবিলম্বে এনার্জি ড্রিংকস বন্ধ করতে হবে
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইহুদী-নাছারাদের ষড়যন্ত্রে পড়েই দুনিয়াদার মালানারা বেহেশত-দোযখের ওয়াজ শরীফ বাদ দিয়েছে। পর্নোগ্রাফি, মাদক থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে চাইলে বেহেশত-দোযখের ওয়াজ শরীফও বেশি বেশি করতে হবে।
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ডানে সেলফি বামে সেলফি, সেলফি সেলফি সেলফি উম্মাদনায় সমাজে ব্যাপকভাবে বেড়েছে হত্যা, আত্মহত্যা, সম্ভ্রমহরণ, সড়ক দুর্ঘটনাসহ নানা অপরাধ। বিভিন্ন দেশে সেলফি’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করলেও বাংলাদেশে কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
১৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দিন দিন বাড়ছে পারিবারিক সহিংসতা, খুন আর আত্মহত্যা মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং দ্বীন ইসলাম বৈরিতাই এর মুখ্য কারণ সরকারের উচিত জাতীয়ভাবে দ্বীন ইসলাম উনার আদর্শ ও শিক্ষা প্রচার ও প্রসার করে এই সামাজিক সমস্যাটি দূরিকরণ করা।
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
যথাযথ পদক্ষেপ নিলে ইনশাআল্লাহ আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের প্রথম ধনী দেশ। এক উত্তারাঞ্চলের খনিজ উত্তোলন করলেই গোটা দেশের চেহারা পাল্টে যাবে। সরকারের নিষ্ক্রিয়তা বরদাশতযোগ্য নয়।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অবহেলায় কৃষিতে ব্যবহৃত হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ও রাসায়নিক; বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি। বিলুপ্তির পথে ১৯২ জাতের উপকারী পোকা। সরকারের উচিত অবিলম্বে কীটনাশক ও রাসায়নিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করে জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও কৃষিকে বিষমুক্ত করা।
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালন করা কী অপরাধ? সংবিধান কী পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের সুযোগ দেয়নি? পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে কী বেপর্দা ও ছবির বিরুদ্ধে বলা হয়নি?
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রতি বছর ১ কোটি মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক “অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স নতুন আশঙ্কা এবং বেশিরভাগ অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা কমেছে”- এ তথ্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। নচেৎ সাধারণ অসুখেই প্রাণনাশ হতে পারে
১১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘ইসলামভীতি মোকাবেলায় জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস’ হলেও কার্যকরী কিছুই হচ্ছে না ইসরাইলকে সহযোগিতা করতে আমেরিকায় ইসলামোফোবিয়ার বিস্তার আরো বাড়ানো হচ্ছে
১০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রতারণার ফাঁদে নাগরিক জীবন। সরকারের নজরদারী নেই। রকমফের প্রতারণা বন্ধে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদর্শ মুবারক বিস্তারের বিকল্প নেই।
০৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)