সবক্ব নং ৩৬ : ر ‘রা’ হরফ মোটা (পোর) করে পড়ার নিয়ম
তা’লীমুল কুরআন শরীফ
, ১৮ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৬ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ২১ ভাদ্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
(১) ر ‘রা’ হরফ উনার উপর যবর কিংবা পেশ যদি হয় তখন সেই ر ‘রা’ হরফ উনাকে পোর করে পড়তে হয়।
رَبُّكَى، كَرَّمَ، خَرَجَ، رُبَـمَا، رُزِقُوْا، رَبِّـىْ، اِلٰـى رَبِّكِى رَاضِيَةً مَّرْضِيَّةً، وَهُوَا الْغَفُوْرُ الْوَدُوْدُ، رَبَّنَا، لَا رَيْبَ فِيْهِ، رَزَقْنٰهُمْ، يَشْعُرُوْنَ، مَرَضًا، رَبِـحَتْ تِّـجَارَتُـهُمْ، وَتَرَكَهُمْ، وَرَعْدٌوَّبَرْقٌ، ثَـمَرَةٍ، حَذَرَالْـمَوْتِ، تَكْفُرُوْنَ، قَدَّرُوْهَا، شَرَابًا طَهُوْرًا.
(২) ر ‘রা’ হরফ সাকিন উনার ডানে যদি পেশ কিংবা যবর হয়, সেই ر ‘রা’ হরফ উনাকে মোটা করে পড়তে হয়।
يُرْزَقُوْنَ، بَرْقٌ، يَرْفَعُوْنَ، قُرْبَانًا، قُرْاٰنٌ، فُرْقَانٌ، اِلٰى اللهِ تُرْجَعُ الْاُمُوْرِ، فِى الْاَرْضِ مُفْسِدِيْنَ، يَرْجِعُوْنَ، نَـجْعَلُ الْاَرْضَ، تَرْمِىْ بِشَرَرٍ كَالْقَصْرٍ، وَاِذَا قِيْلَ لَـهُمُ ارْكَعُوْا لَا يَرْكَعُوْنَ، بَرْدًا وَّلَا شَرَابًا، وَمَا بَيْنَهُمَا الرَّحْـمٰنُ، يَوْمَ يَقُوْمُ الرُّوْحُ، لَهٗ الرَّحْـمٰنُ.
(৩) যে সময় ر ‘রা’ হরফ সাকিন হয় এবং তার পূর্বের হরফে যের থাকে, সেই ر ‘রা’ হরফ উনার পরে হুরূফে ইস্তি’লা আসলে সেই ر ‘রা’ হরফ উনাকে পোর পড়তে হবে। যথা
قِرْطَاسٌ، فِرْقَةٌ، اِنَّ جَهَنَّمَ كَانَتْ مِرْصَادًا.
“পবিত্র সূরা শুআ’রা শরীফ” উনার তৃতীয় রুকূ ৬৩নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার فِرْقٍ فَكَانَ كُلُّ এর মধ্যে فِرْقٍ (ফিরক্বিন) শব্দের ر ”রা” হরফ পোর পড়ার বিষয়ে অনেক মতভেদ আছে। কেউ বলেছেন, পোর পড়তে হবে। কেননা এই ر “রা” হরফ উনার পরে হরূফে ইস্তি’লা এসেছে। আবার কেউ বলেছেন, ইহাকে বারিক পড়তে হবে, কেননা, ইহার পূর্বের হরফে যের এবং পরবর্তী হরফেও যের রয়েছে। কিন্তু পোর পড়াই ক্বারীগণ উনাদের অভ্যাস এবং পোর পড়াই উত্তম।
(৪) যদি ر ‘রা’ হরফ সাকিন হয় এবং তার ডানের হরফে কাসরায়ে আরযী থাকে, সেই ر ‘রা’ হরফ উনাকে পোর পড়তে হবে। যথা- اِنِ ارْتَبْتُمْ، اَمِ ارْتَابُوْا ইত্যাদি।
কাসরায়ে আরযী অর্থ নকল যের অর্থাৎ, যেই যের আগে ছিল না কিন্তু শব্দকে ব্যাকরণ মতে সহজ করার জন্য পরে দেয়া হয়েছে, তাকে কাসরায়ে আরযী বলে।
(৫) যেই ر ‘রা’ হরফ উনার মধ্যে ওয়াক্বফ করা হয়, সেই ر ‘রা’ হরফ উনার ডানের হরফ ي ‘ইয়া’ ব্যতীত অন্য কোন হরফ সাকিন হয়ে সেই সাকিন হরফ উনর পূর্বের হরফে যবর কিংবা পেশ হলে সেই হরফকে পোর পড়তে হয়। যথা-
لَيْلَةُ الْقَدْرِ، خَيْرٌمِّنْ اَلْفِ شَهْرٍ، بِذَاتِ الصُّدُوْرِ، اُمُوْرٌ، مَتٰعُ الْغُرُوْرِ، اَلْعَزِيْزُ الْغَفُوْرُ، شَكُوْرٌ، وَالْعَصْرِ، اِنَّ الْاِنْسَانَ لَفِىْ خُسْرٍ، وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ.
ر ‘রা’ পাতলা (বারিক) পড়ার নিয়মাবলী
ر ‘রা’ হরফ বারিক পড়ার বিষয়ে অনেক স্থানের কথা উল্লেখ রয়েছে। তন্মধ্যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও প্রসিদ্ধ স্থান হলো চারটি। যা নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
(১) যদি ر ‘রা’ উনার নিচে যের হয় , তবে সেই ر ‘রা’ হরফ বারিক পড়তে হয়। যথা-
رِجَالٌ، رِزْقٌ، رِسَالَةٌ، مُرِيْدٌ، وَتَكُوْنُ لَكُمَا الْكِبْرِيَاءُ، رِحْلَتَ الشِّتَاءِ، رِيَاضُ الْـجَنَّةِ، وَاَنَا بَرِىءٌمِّـمَّا تَعْمَلُوْنَ.
(২) যদি ر ‘রা’ সাকিন হয় এবং সেই ر ‘রা’ উনার ডানের হরফে যের থাকে, তবে সেই ر ‘রা’ বারিক পড়তে হবে। যথা -
اِرْفَقْ، اِرْحَـمْنِىْ، اِغْفِرْلِىْ، اِرْجِعْ، وَكَفِّرْعَنَّا سَيِّاٰتِنَا، اِصْبِرْصَبْرًا جَـمِيْلًا، وَيَسِّرْلِىْ اَمْرِىْ، فِرْعَوْنُ، وَمِنْ شَرِّ، لِرَبِّكَى فَاصْبِرْ، مِنَ الْكُفَّارِ يَضْحَكُوْنَ.
(৩) যে সময় ر ‘রা’ উনার মধ্যে ওয়াক্বফ করা হয়, সেই সময় ر ‘রা’ উনার ডানে ي ‘ইয়া’ সাকিন থাকলে সেই ر ‘রা’ও বারিক পড়তে হয়। যথা-
سَعِيْرٌ، اِنَّ اللهَ لَطِيْفٌ خَبِيْرٌ، لَـهُمْ اَجْرٌ كَبِيْرٌ، وَلَا نَصِيْرً، اِنَّ اللهَ عَلٰى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٌ، بَصِيْرٌ، وَاِلَيْهِ الْـمَصِيْرُ.
(৪) যেই ر ‘রা’ হরফ উনার মধ্যে ওয়াক্বফ করা হয়, সেই ر ‘রা’ হরফ উনার পূর্বে ي ‘ইয়া’ ব্যতীত অন্য কোন হরফ সাকিন হয়ে সে সাকিন হরফ উনার পূর্বের হরফ উনার নীচে যের থাকলে সেই সময়েও ر ‘রা’ হরফ উনাকে বারীক পড়তে হয়। যথা-
ذِكْرٌ، شِعْرٌ، حِجْرٌ، عِيْدُ الْفِطْرِ
সবক্ব নং ৩৭ : নূনে কুত্বনী উনার ব্যবহার
দু’যবর, দু’যের, দু’পেশকে তানউয়ীন বলা হয়। তানউয়ীন উনার ভিতরে নূন সাকিন লুকিয়ে থাকে। সেই নূন সাকিন উনার বামে যদি সাকিন হরফ পাওয়া যায়, নূনের নিচে যের ধরে পড়তে হয়। যের দেয়া সেই নূন সাকিন উনাকে নূনে কুত্বনী বলা হয়। ওয়াক্বফ করার সময় নূনে কুত্বনী পড়তে হয়না।
পঠিতরূপ | লিখিতরূপ |
شَيْئَانِ اِتَّـخَذُوْا | شَيْئًا + اِتَّـخَذُوْا |
اٰتِ مُـحَمَّدَنِ اَلْوَسِيْلَةَ | اٰتِ مُـحَمَّدً + اَلْوَسِيْلَةَ |
كَرَمٰدِنِ اِشْتَدَّتْ | كَرَمٰدٍ + اِشْتَدَّتْ |
اَحَدُنِ اَللهُ | اَحَدٌ + اَللهُ |
قَدِيْرُنِ اَلَّذِىْ | قَدِيْرٌ + اَلَّذِىْ |
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ছবি তোলা হারাম, যা জাহান্নামী হওয়ার কারণ
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বর্তমান এই পরিস্থিতিতে সমগ্র দেশবাসীর জন্য যা আবশ্যিকভাবে করণীয়
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ঈমানদীপ্ত ঐতিহ্য (৪৪)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬১)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মূর্তি, প্রতিমা, ভাস্কর্য, ম্যানিকিন ও ছবি নাজায়িয ও হারাম
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, পূজা করতে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে এবং সমর্থন করেছে, তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক (৫)
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে বাতিল ফিরক্বা কর্তৃক উত্থাপিত সমালোচনা সমূহের দলীলসম্মত জাওয়াব (২৭)
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করতে হবে
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
তাওয়াক্কুল তথা মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি ভরসা করার ফযীলত
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)