মন্তব্য কলাম
সঠিক পরিসংখ্যান ও জরিপের অভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার সঠিক পরিসংখ্যান ছাড়া শুধু অর্থনীতিই নয় কোনো খাতেরই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনা সম্ভব নয় বাজার নিয়ন্ত্রণে চাই সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য-উপাত্ত জরিপ তথা পরিসংখ্যা
, ০৯ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৯ হাদি আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ০৮ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রি:, ২৫ চৈত্র, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মন্তব্য কলাম

বিগত সরকারের আমলে জিডিপিকে যেভাবে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানো হয়েছে সেভাবে অর্থনীতিতে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও শিল্প উৎপাদন বাড়েনি। সমসাময়িক প্রতিযোগী অর্থনীতিগুলোর তুলনায় বিনিয়োগ, রফতানি, মানবসম্পদ উন্নয়ন, বিদেশী বিনিয়োগ ও ব্যবসার পরিবেশসহ বিভিন্ন সূচকেই পিছিয়ে বাংলাদেশ। সরকারের পরিসংখ্যান যদি সঠিক হতো তাহলে এসব সূচকে বাংলাদেশ এতটা পিছিয়ে থাকার কথা নয়। তবে বিগত সরকার জিডিপির আকার ও প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে দেখালেও মূল্যস্ফীতি কমিয়ে দেখিয়েছে। ফলে সঠিক তথ্যের অভাবে চাহিদা ও বাজার নিয়ন্ত্রণসহ অর্থনীতির ব্যবস্থাপনাগত সব ক্ষেত্রেই বড় ধরনের ত্রুটি রয়ে গেছে। এ অবস্থায় বর্তমান প্রয়োজন অনুযায়ী জিডিপির প্রকৃত আকার নিরূপণসহ সঠিক পরিসংখ্যান নিশ্চিত করা অপরিহার্য। একই সঙ্গে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য-উপাত্তের স্বচ্ছতা ও সঠিকতা নিশ্চিতেও আরো কঠোর অবস্থান নেয়া জরুরি।
পরিসংখ্যান নিয়ে বিভ্রাট তৈরি হওয়ার পেছনে সহজ ভাষায় প্রধান দুটি কারণ থাকতে পারে। এক. যদি কোনো অদক্ষ ব্যক্তিকে দিয়ে কাজটি করানো হয়। দুই. যদি পরিসংখ্যানের রাজনৈতিকীকরণ হয়। অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, বিগত সরকারের আমলে দ্বিতীয় কারণটিই দেশে পরিসংখ্যান বিভ্রাটের সবচেয়ে বড় কারণ। বানোয়াট পরিসংখ্যান বানানোর কাজটি করা হতো সাবেক এক পরিকল্পনামন্ত্রীর নেতৃত্বে। তিনিই ছিলেন কৃত্রিম পরিসংখ্যানের প্রধান পরিকল্পনাকারী। ২০১৪ সালে পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর পরিসংখ্যানের বিভ্রান্তি প্রকট হতে থাকে। মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে পাঁচ-ছয়জনের একটি সিন্ডিকেট। অভিযোগ উঠেছে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের তথ্য ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানোর। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গেও বাড়তে থাকে পরিসংখ্যানগত ব্যবধান। এ প্রবণতা অব্যাহত ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময় পর্যন্ত।
পরিসংখ্যানগত বিভ্রান্তি জাতীয় অর্থনীতির লক্ষ্য নির্ধারণ, নীতি প্রণয়ন থেকে শুরু করে সার্বিক পরিস্থিতিকে জটিল করে তোলে। দেশের পরিসংখ্যান নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে আস্থার সংকট তৈরি হয়। অনাস্থা তৈরি হয় দেশের অভ্যন্তরে ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিসংখ্যানকে রাজনীতিতে জড়িয়ে ফেললে তা সঠিক নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়ে যায় সামষ্টিক অর্থনীতি। দেশে রাজনৈতিক কারণে পদ্ধতিগত পরিবর্তন এনে সরবরাহ করা হয়েছে বিকৃত পরিসংখ্যান। এসব ভুল তথ্যের ভিত্তিতে নীতিনির্ধারণের কারণেই ধাক্কা লেগেছে দেশের অর্থনীতিতে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর বেশ কয়েকটি সংস্কার কমিশন গঠনের পাশাপাশি দেশের আর্থিক খাতের অবস্থা নিরূপণের জন্য শ্বেতপত্র কমিটি গঠন করে। যেখানে দেশের খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদরা তিন মাস কাজ শেষে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। প্রতিবেদনেও বিগত সময় পরিসংখ্যান কারসাজির মাধ্যমে উন্নয়নের বয়ান তৈরির অভিযোগ আনা হয়। এতে বলা হয়, ২০১০-১৯ সাল পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে দেখানো হলেও কিসের ভিত্তিতে এ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে তার কোনো ব্যাখ্যা ছিল না। এমনকি একটি মডেলে ২০১৩ সালের পর থেকে দেশের প্রবৃদ্ধি নামতে থাকলেও সরকারের ঘোষিত প্রবৃদ্ধির হার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রবৃদ্ধির উপস্থাপিত তথ্যের সঙ্গে বাস্তবতার এমন ব্যবধান শুধু বাড়ছিল। জিডিপির প্রকৃত পরিমাণ নিরূপণ করতে হলে এখন সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। তাছাড়া বিগত সময়ে রফতানি তথ্যের মধ্যেও ছিল বাড়িয়ে দেখার প্রবণতা। এ বিষয়ে প্রশ্ন বাড়তে থাকায় অবশেষে গত বছর ইপিবির রফতানির তথ্য থেকে এক ধাক্কায় ১৩ দশমিক ৮০ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৩৮০ কোটি ডলার বাদ দিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। একইভাবে এনবিআর ও সিজিএর রাজস্ব আহরণের তথ্যে পার্থক্য দেখা দেয় ৯৭ হাজার ২৮০ কোটি টাকার বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রাজস্ব আয় নিয়ে এমন গরমিল দেখা দেয়ায় হিসাব পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনে এনবিআর।
বিবিএস থেকে প্রকাশিত অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪-এর তথ্য বলছে, বিগত এক দশকে দেশে তেমন শিল্পায়ন ঘটেনি। সরকারের পক্ষ থেকে বিপুল বিনিয়োগ ও বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও এসবের সুফল মেলেনি অর্থনীতিতে। ২০০১-১৩ সাল পর্যন্ত দেশে ১০০ শতাংশ শিল্পের প্রসার ঘটলেও গত ২০১৩-২৩ সাল পর্যন্ত শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ১৫ শতাংশ। অর্থাৎ বিগত এক দশকে শিল্পায়নের হারও থমকে ছিল। তবে শিল্প খাত থমকে থাকলেও বিগত সময় থেকেই দেশের অর্থনীতিতে সেবা খাতের অবদান সবচেয়ে বড় করে দেখানো হয়েছে। যেহেতু সেবা খাতের সঠিক আকার হিসাব করা কঠিন, তাই এর সুযোগ নিয়ে খাতটিকে বড় করে দেখিয়ে জিডিপির আকার বড় দেখানো হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে সামষ্টিক অর্থনীতির স্বার্থে পরিসংখ্যান রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা জরুরি। অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে সরকারের উচিত যেকোনো নীতি প্রণয়নের আগে সঠিক পরিসংখ্যানের বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া। তথ্য-উপাত্তের সঠিকতা যাচাই করতে ডাটা কমিশন গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। এ কমিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস), অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও ব্যাংকের পরিসংখ্যানও পর্যালোচনা করার কথা প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছিল। যদিও এখনো ডাটা কমিশনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বাস্তবতার নিরিখে বর্তমান বিশ্বে পরিসংখ্যান এমন একটি স্বীকৃত বিজ্ঞান, যার ওপর ভিত্তি করে দেশ, জাতি, করপোরেট বিশ্বের যত সব ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। পরিসংখ্যানহীন যেকোনো তথ্য-উপাত্ত, বিশ্লেষণ এমনকি সিদ্ধান্তও এখন একেবারেই অচল। তথ্য-উপাত্তের প্রচুর ব্যবহার রয়েছে আধুনিক কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য নানা অঙ্গনেও। এ কারণে দিন দিন বাড়ছে তথ্য-উপাত্তের ব্যবহার ও পরিসংখ্যানের গুরুত্ব। বিশেষ করে পরিকল্পিত অর্থনীতির জন্য সঠিক পরিসংখ্যান অপরিহার্য হয়ে পড়ে। সে সঙ্গে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ক্ষেত্রে তথ্য-উপাত্তের ঘাটতি প্রবল থাকায় সঠিক তথ্য প্রাপ্তিতে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।
সঠিক, নির্ভরযোগ্য এবং সময়োপযোগী পরিসংখ্যান টেকসই উন্নয়ন-পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভিত্তি হিসাবে কাজ করে। পরিসংখ্যানের গুরুত্ব সব সময়ই ছিল। কিন্তু এখন আরো অনেক বেড়েছে। কারণ দেশের অর্থনীতির গতি প্রকৃতি বুঝতে হলে পরিসংখ্যানের বিকল্প নেই। তাছাড়া জাতির উন্নয়ন আর অগ্রগতি যাই বলি, সবকিছুর সঙ্গেই তথ্য-উপাত্ত জড়িত। মানুষের সুষম উন্নয়নের জন্যও তথ্য-উপাত্তের প্রয়োজন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সঠিক, সময়োপযোগী এবং মানসম্মত পরিসংখ্যান প্রস্তুত করে দেশের পরিকল্পনা প্রণয়ন, উন্নয়ন ও অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। জনশুমারি, কৃষিশুমারি, অর্থনৈতিক শুমারিসহ বিভিন্ন প্রকার সার্ভে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনা করে থাকে বিবিএস। তবে সঠিক তথ্য-উপাত্ত দিয়ে অনুমানের বেড়াজাল থেকে পরিসংখ্যানকে বের করে আনা বিরাট চ্যালেঞ্জ। নির্ভরযোগ্য ও বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা প্রণয়নে এবং দিকদর্শনের জন্য যা অপরিহার্য। সুষ্ঠু পরিসংখ্যানই নিরসন করতে পারে ফসল উৎপাদন, আমদানি কিংবা রপ্তানিসহ বহু কাজের বিদ্যমান বিভ্রান্তি বা বিব্রতকর পরিস্থিতি। কৃষক থেকে রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায় পর্যন্ত এখনো রয়েছে পরিসংখ্যানের ওপর আস্থার শঙ্কা ও সংকট। এর দ্রুত অবসান ঘটানো প্রয়োজন।
প্রাচীনকালে পরিসংখ্যানের ব্যবহার শুধু রাষ্ট্রীয় কার্যাদি পরিচালনার মধ্যে সীমিত থাকলেও বর্তমানে এর ব্যবহার মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিস্তৃত। মানুষের উদ্ভাবনী শক্তি পরিসংখ্যানের বিভিন্ন কলা-কৌশলকে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহারের দ্বার উন্মোচন করেছে। আস্থানির্ভর পরিসংখ্যান যেমন রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ে ভিত্তিরূপে ব্যবহার জরুরি, তেমনি সাধারণ কৃষকের কাছেও খনার বচনের মতো গুরুত্ববহ। বস্তুনিষ্ঠ কৃষি পরিসংখ্যান যেন দেশের এবং কৃষকের জন্য খনার বচনের উপমায় সমহারে নিত্যপালনীয় ও পাথেয় হয়ে ওঠে, সেটাই প্রত্যাশা।
দেশকে উন্নয়নশীল থেকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে প্রতিটি সেক্টরে নির্ভুল ও সময়ানুগ তথ্য-উপাত্তের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। দেশের সব খাতে পরিসংখ্যানের তথ্য-উপাত্তের প্রয়োগ বৃদ্ধি পেলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি আরো বাড়বে। টেকসই উন্নয়ন-পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সঠিক, নির্ভরযোগ্য এবং সময়োপযোগী তথ্য-উপাত্ত ভিত্তি হিসেবে কাজ করে এবং আমাদের পরিবর্তিত বিশ্বকে বুঝতে সাহায্য করে। সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য-উপাত্তের গুরুত্ব সবসময়ই ছিল। কিন্তু এখন আরো অনেক বেড়েছে। কারণ দেশের অর্থনীতির গতি প্রকৃতি, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বুঝতে হলে সঠিক তথ্য-উপাত্তের বিকল্প নেই। তা ছাড়া, জাতির উন্নয়ন আর অগ্রগতি যা-ই বলেন, সবকিছুর সঙ্গেই তথ্য-উপাত্ত জড়িত। মানুষের সুষম উন্নয়নের জন্যও সঠিক পরিকল্পনার প্রয়োজন। এখন বিশ্বব্যাপী তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই ও গবেষণা করেই উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়।
সব খাতে তথ্য-উপাত্তের প্রয়োগ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করতে সহায়ক হয়। নির্ভরযোগ্য তথ্য-উপাত্তের গবেষণা উন্নয়ন ও অগ্রগতির পরিমাপক। আর্থ সামাজিক সব কর্মকান্ডের গতি-প্রকৃতি নির্ণয় ও উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে তথ্য-উপাত্তের গুরুত্ব অপরিসীম। মূলত সঠিক তথ্য-উপাত্তই কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়নের পূর্বশর্ত। অর্থনৈতিক, জনমিতিক, সামাজিক সব ক্ষেত্রে পরিমাণগত ও গুণগত পরিমাপে তথ্য-উপাত্তের ব্যাপক ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। বর্তমান বিশ্বে সরকারি ও বেসরকারি পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সঠিক ও মানসম্মত তথ্য-উপাত্তের গুরুত্ব উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেকোনো দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সঠিক ও সময়োচিত তথ্য-উপাত্তের ব্যবহার অপরিহার্য।
পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত না থাকার কারণেই সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।
‘সরকারের প্রয়োজনীয়, পর্যাপ্ত এবং সঠিক তথ্য নেই। সেটি সরকারের থাকতে হবে।
বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের তথ্য উপাত্তগত তথা জরিপ প্রক্রিয়ার পূর্ণ ও সঠিক সংস্কার করা দরকার।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
এদেশবাসী- পাকিস্তানী রাজাকারদের কথা শুনেছে। কিন্তু উপজাতি সন্ত্রাসীরা বৃটিশ আমল, পাকিস্তানী আমল এবং বর্তমান স্বাধীন বাংলাদেশেও রাজাকারগিরি করছে। গত ২১শে এপ্রিল সন্তু লারমার নাতি জাতিসংঘ অধিবেশনে, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে চরম ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দিয়েছে
২৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সংবিধান, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিরোধী আপত্তিকর শব্দ প্রকাশের বিপরীতে মহান আল্লাহ পাক উনার ‘কুদরত’ ও ‘রহমত’ এ ছিফত মুবারক দ্বয়ের ব্যাপক প্রচলন ঘটাতে হবে
২৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম অন্যান্য ধর্মের সাথে সমমর্যাদার ভিত্তিতে সহাবস্থানে থাকতে পারে না। পবিত্র দ্বীন ইসলাম কখনোই কথিত ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র অধীন হতে পারে না।
২৫ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছাত্র জনতার সরকার দাবী করে- আপনাদের বহুল উচ্চারিত সংস্কারের জন্য আপনারা গুটি কতক রাজনৈতিক দলগুলোর উপরই আবদ্ধ আছেন কেন? সংস্কারের জন্য জনতার এবং জনমতের প্রতি আপনাদের দৃষ্টি নেই কেনো?
২৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার আলোকে- সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বেমেছাল ফযীলত মুবারক বর্ণনা
২৩ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাত্ররা চেয়েছিলো ‘কোটা’ আর জনতা চেয়েছিলো ‘তাগুত হাসিনা’র পতন। এই চেতনায়ই হয়েছিলো জুলাই গণঅভ্যূথান। ৫ই আগষ্টের আগে ছাত্র-জনতার দাবীতে কোন সংস্কারের কথা ছিল না। সংস্কারের কোনো প্রচারণা বা ঘোষণা ছিল না। অন্তর্বর্তী সরকার গণমানুষের গণসমর্থন ছাড়াই সংস্কারের নামে মরীয়া। কিন্তু কেনো?
২২ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গাজায় যেখানে শিশুদেরও একবেলা খাবারেরও নিশ্চয়তা নাই প্রতি মুহুর্তেই মুহুর্মুহু বোমায় ঝলসে যাচ্ছে গাজাবাসী যেখানে সৌদি আরবে হচ্ছে ডিজে পার্টি আর কাতারে হচ্ছে আতশ বাজি প্রদর্শনী
২১ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
“ইসলামী বিশেষজ্ঞ মহল এবং ইসলামী মিডিয়ার মতে- বর্তমান বহুত্ববাদী সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ইসলাম ও মুসলমান বিরোধী মনোভাবই পালন এবং ধারন বাস্তবায়ন করে চলছে
২০ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাগরের বুকে তৈরি হচ্ছে নতুন বাংলাদেশ অনেক বেড়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের আয়তন খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় চললে বাংলাদেশ এত বড় হতে পারে যে বর্তমান ৪০ থেকে ৫০ কোটি জনসংখ্যার পরও বাংলাদেশেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কাজের জন্য লোক আসবে ইনশাআল্লাহ!
১৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পৃষ্ঠপোষকতার অভাব ও অবমূল্যায়নের কারণে দেশ ছাড়ছে মেধাবী বিজ্ঞানীরা। অথচ তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে মূল্যায়নে বাংলাদেশ হতে পারে তথ্য-প্রযুক্তিসহ সকল খাতে এশিয়ার সুপার পাওয়ার। দেশের গবেষক-বিজ্ঞানীদের মূল্যায়ন না করলে দেশ কোনোসময়ই উন্নত হবেনা, আর উন্নয়নের দাবীও করা যাবেনা।
১৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পৃষ্ঠপোষকতার অভাব ও অবমূল্যায়নের কারণে দেশ ছাড়ছে মেধাবী বিজ্ঞানীরা। অথচ তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে মূল্যায়নে বাংলাদেশ হতে পারে তথ্য-প্রযুক্তিসহ সকল খাতে এশিয়ার সুপার পাওয়ার। দেশের গবেষক-বিজ্ঞানীদের মূল্যায়ন না করলে দেশ কোনোসময়ই উন্নত হবেনা, আর উন্নয়নের দাবীও করা যাবেনা।
১৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রতারণার ফাঁদে নাগরিক জীবন। সরকারের নজরদারী নেই। রকমফের প্রতারণা বন্ধে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদর্শ মুবারক বিস্তারের বিকল্প নেই।
১৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)