মন্তব্য কলাম
সংখ্যালঘুদের উৎসব স্থানগুলিতে নিরাপত্তা দেয়া হলেও ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের কুরবানীর পশু ব্যবসায়ীদের জন্য এবং কুরবানীর হাটে ন্যূনতম নিরাপত্তাও নেই কেন? কুরবানীর হাটকে কেন্দ্র করে এবং কুরবানীর পশু বিক্রির সময় ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজি কেন? পবিত্র কুরবানী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে হবে।
, ০৯ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৮ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ১৬ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ০২ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মন্তব্য কলাম
প্রতিবারের মতো এবারও পশুবাহি ট্রাকগুলোতে চলছে চাঁদাবাজি। জানা গেছে, চাঁদাবাজির কারণে পশুবাহি ট্রাকপ্রতি খরচ হচ্ছে অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকা। অন্যদিকে, রাজধানী ঢাকাতেও আসতে শুরু করেছে কুরবানির পশু। আর রাজধানীগামী ট্রাকগুলোতেও ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে চাঁদাবাজি না হওয়ার কথা বলা হলেও পশু ব্যবসায়ীরা বলছে, যেসকল স্পটগুলোতে বেশি চাঁদাবাজি হয় সেসকল স্থানগুলোতে নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা। ফলে একপ্রকার জিম্মি হয়েই চাঁদা দিতে হচ্ছে স্থানীয় চাঁদাবাজদের। ব্যবসায়ী জানিয়েছে, তাদের লস হবে না। তবে বাড়তি টাকা গুনতে হবে ক্রেতাদের। গড়ে প্রতিটি পশুতে বেশি গুনতে হবে পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা। ইতোমধ্যেই পশু পরিবহনের বাহনসহ নানা সরঞ্জামেও কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি শুরু করেছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট।
উল্লেখ্য, দৈনিক আল ইহসান শরীফ উনার অনুসন্ধানে জানা গেছে, পবিত্র কুরবানী উনার ঈদকে সামনে রেখে এখন চাঁদাবাজরা বেপরোয়া। নানা কৌশল নিয়েও তাদের রোখা যাচ্ছে না। চাঁদাবাজদের প্রতিরোধ করতে কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বলে প্রশাসনের দাবি। কিন্তু এরপরও মহাসড়ক থেকে ফুটপাত, মার্কেট থেকে কাঁচাবাজার, লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট, বাস টার্মিনাল সর্বত্রই চলছে চাঁদাবাজি। গরু ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি রাজধানীর ফুটপাত ও অন্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও রাজনৈতিক ব্যানারে টাকা আদায় করছে মাস্তানরা। অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। পুলিশ-র্যাবের কাছে নিরাপত্তা চেয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। এর পাশাপাশি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রগুলোর দৌরাত্ম্যও এবার রহস্যজনকভাবে বাড়ছে।
সেইসাথে, পশু ব্যবসায়ীদের চাঁদাবাজির পাশাপাশি এলাকাভিত্তিক চামড়া সন্ত্রাসীরাও সক্রিয় হয়ে উঠেছে এবারের কুরবানিকে কেন্দ্র করে। ঢাকা শহরের যেসব এলাকায় প্রতিবছর ব্যাপক কুরবানি হয় সেসব জায়গায় এসব চামড়া সন্ত্রাসীরা ১০ জন করে সন্ত্রাসী নিয়োগ করেছে এবং বিগত কয়েক বছর ধরে করে আসছে। এই সন্ত্রাসীদের মূল লক্ষ্য হলো, কোনোভাবেই চামড়া দাতারা যাতে তাদের পছন্দের স্থানে ন্যায্য দামে চামড়া বিক্রি করতে না পারে। অনেক সময় কুরবানিদাতার উপর হামলার ঘটনাও ঘটে।
প্রসঙ্গত আমরা মনে করি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর আশু দায়িত্ব হচ্ছে- দেশজুড়ে জোরালো অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্ত, ক্ষমতাসীন সরকারের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, সব সন্ত্রাসীদের দমন করা। পাশাপাশি পবিত্র ঈদুল আদ্বহাকে সামনে রেখে দেশের এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে কুরবানীর পশু আনা-নেয়া যেহেতু বাড়ছে, তাই সড়ক-মহাসড়কগুলোতে নিরাপত্তা বাড়াতে বাড়তি উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে কুরবানীদাতাদেরও সরকারিভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।
কুরবানীর পশুর হাটে পশু ব্যবসায়ীরা প্রায় সময় টাকা লেনদেন করতে গিয়েও বিপাকে পড়ে। অনেক সময় ছিনতাইকারী, অজ্ঞান পার্টি ও মলমপার্টি সদস্যরা সুযোগ বুঝে পশু ব্যবসায়ীদের নেশাজাতীয় কিছু খাইয়ে অচেতন করে তাদের টাকা পয়সা সব হাতিয়ে নিয়ে যায়। তারা পশুরহাট থেকে বাইরে হোটেলে ভাত-নাস্তা খেতে গেলে সেখানে অপরাধী চক্রের খপ্পড়ে পড়ে সব কিছুই হারিয়ে ফেলে। এসব কারণে পশু ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তায় খাবার হোটেল ও টাকা লেনদেনের জন্য পশুর হাটে আমরা অস্থায়ী ব্যাংক স্থাপনের প্রস্তাব করছি।
আমরা আরো মনে করি, সুষ্ঠু ও সহজভাবে পবিত্র কুরবানী সম্পন্নের স্বার্থে সরকারের উচিত- পশুর হাটের স্থান নির্ধারণে রাজধানীতে জরিপের মাধ্যমে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কুরবানীর পশুর হাটের নতুন এলাকা/স্থান নির্ধারণ করা। পশুর হাটে গবাদি পশুর ঢোকার তারিখ কমপক্ষে এক সপ্তাহ নির্ধারণ করে পূর্ব থেকেই পুলিশকে দায়িত্বরত রাখা। নগদ অর্থ লেনদেন হ্রাস করার জন্য বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের বুথ স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেয়া। প্রতিটি পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তকারী মেশিন রাখার ব্যবস্থা করা। এছাড়া নিরাপত্তা এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য কুরবানীর পশুর হাটের ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন, পশুর হাটের হাসিলের টাকার হার নির্ধারণসহ দৃশ্যমান স্থানে বড় করে ব্যানার টানানোর ব্যবস্থা করা।
প্রসঙ্গত সমালোচক মহল মনে করছে, যথাযথভাবে ও মহাসমারোহে পবিত্র কুরবানী পালনের পৃষ্ঠপোষকতা করার ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। এদিকে পবিত্র কুরবানি উনার ক্ষেত্রে জনগণেরও পুরো আন্তরিকতা নেই। জনগণ এসব বিষয়ে একদিকে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানায় না। পাশাপাশি সরকারের উদাসীনতার বিপরীতে কোনো প্রতিবাদও করে না। অথচ বাংলাদেশের সাংবিধানিক দ্বীন হচ্ছে পবিত্র দ্বীন ইসলাম। কাজেই কুরবানীর মতো সম্মানিত ইসলামী অনুষঙ্গের প্রতি অবহেলা করলে সরকার ও জনগণ উভয়েই যুগপৎভাবে দায়ী হবে। উভয়কেই সঙ্গতকারণে ইসলামপ্রবণ হতে হবে। কুরবানী সম্পর্কে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও উচ্ছ্বাসের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে হবে এবং কুরবানীর হাট, পশু সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পৃষ্ঠপোষকতা প্রতিভাত করতে হবে।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাপবিত্র রওজা শরীফ ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফের পবিত্র ভূমি জাজিরাতুল আরবকে অপবিত্র করে দিন দিন পরিণত করা হচ্ছে অবাধ পাপাচারের পঙ্কিলরাজ্যে নাউযুবিল্লাহ! কা’বা শরীফের আদলে তৈরি মঞ্চে চলছে খোলামেলা পোশাকে ফ্যাশন শো, উদ্দাম কনসার্ট, বিক্রি হয়েছে ৩৬ লাখ কোটি টাকার ভারতীয় সিনেমার টিকিট; পালিত হচ্ছে হ্যালোইনও! নাউযুবিল্লাহ!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ : কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ধারণা ও ক্বিয়ামতের তথ্য
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার অনবদ্য তাজদীদ ‘আত-তাক্বউইমুশ শামসী’ সম্পর্কে জানা ও পালন করা এবং শুকরিয়া আদায় করা মুসলমানদের জন্য ফরয। মুসলমান আর কতকাল গাফিল ও জাহিল থাকবে?
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ: ভয়ঙ্কর জেদ, মহা দাম্ভিকতা, চরম সীমালঙ্ঘন, প্রতিহিংসা, ক্ষমতা কুক্ষিগত করা ইত্যাদি কুরিপুর কারণে সরকারের পতন কিন্তু কুরিপুর সংজ্ঞা, প্রতিকার, পরিশুদ্ধির প্রক্রিয়ার বর্ণনা সংবিধানে তথা রাষ্ট্রীয় কোন কিতাবে নেই তাহলে রাষ্ট্রের সংস্কার হবে কীভাবে? নাগরিক সুরক্ষা হবে কেমনে?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচারণার বিপরীতে রপ্তানি আসলে কতটা চাঙা হবে প্রকৃত রপ্তানি আয় আসলে কত? ১০ বছরে রপ্তানি বেশি দেখানো হয়েছে ৬৫ বিলিয়ন ডলার পেছনে রয়েছে ক্ষমতাসীনদের উন্নয়নের রাজনীতির মিথ্যাবুলি, মহা সাগর চুরি আর অর্থপাচারের নিকৃষ্ট কাহিনী
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আলোকে- সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ উনাদের কতিপয় ফযীলত মুবারক বর্ণনা।
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
১লা জানুয়ারি ২০২৫ থেকে সুইজারল্যান্ডে মুখ ঢেকে রাখলেই প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা (নাউযুবিল্লাহ) বোরকা পড়াকে সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপীয় দেশ পর্দার আড়ালে নারীদের বন্দী, বৈষম্য এবং পিছিয়ে পড়ার অপবাদ দিলেও বাস্তবতা হচ্ছে গোটা ইউরোপ-আমেরিকায় নারীর প্রতি বৈষম্য হয়রানি, সহিংসতা, অত্যাচার আর ব্যভিচারের মাত্রা ভয়াবহ পশ্চিমাদের বোরকা নিষিদ্ধের প্রবনতা শুধুই ইসলাম আর মুসলিম বিদ্বেষ (পর্ব-১)
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
১০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
চলচ্চিত্র নামক জাহান্নামী সংস্কৃতির ফাঁদে মুসলিম উম্মাহ। নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। সিনেমার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বিস্তার ঘটছে ইসলামোফোবিয়ার। পরকালের কথা স্মরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
০৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)