মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের- সন্তুষ্টি-রেযামন্দি লাভের জন্য সন্তান প্রতিপালন করা সুন্নত
শৈশবকাল থেকেই সন্তানকে ব্যক্তিত্ব বা আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন হওয়ার শিক্ষা দান করতে হবে (৩)
, ২৬ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৫ ছানী, ১৩৯২ শামসী সন , ০৩ জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ১৯ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
সম্মানিত ইসলাম আত্ম অহঙ্কার ও আত্মহীনতা উভয়কে হারাম করেছেন। অহঙ্কার বা গর্ব শুধুমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের জন্যই প্রযোজ্য। ইহা উনাদের বিশেষ শান মুবারক। মানুষ মাখলূক্ব। মাখলূক্ব সসীম। নিজের খেয়াল-খুশি মত এক ফোটা রক্ত কিংবা রক্তের উপাদান সৃষ্টি করতে পারে না। এক্ষেত্রে মানুষ যদি অহঙ্কারী হয় তাহলে كبر (কিব্র) বা অহঙ্কার শব্দের অমর্যাদা হবে।
তবে মানুষ আশরাফুল মাখলূক্বাত। সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। শ্রেষ্ঠত্বের প্রকাশ ঘটানোর পিছনে তার নিজস্ব কোন অবদান নেই। তার শ্রেষ্ঠত্বের প্রকাশ মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরই প্রাপ্য। কাজেই, মানুষের জন্য অহঙ্কার করা যেমন হারাম তদ্রƒপ হীনতা প্রকাশ করাও হারাম।
হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি বিপদকে গালি দেয় সে পরোক্ষভাবে মহান আল্লাহ পাক উনাকে গালি দেয়। নাউযুবিল্লাহ! যে ব্যক্তি কোন ধনাঢ্য ব্যক্তির নিকট টাকা-পয়সার লোভে মাথা নত (বশ্যতা স্বীকার) করে সে মহান আল্লাহ পাক উনাকে অসন্তুষ্ট করে । (তবারানী শরীফ)
অপর এক বর্ণনায় এসেছে, যে ব্যক্তি ধনাঢ্য ব্যক্তির নিকট বসলো এবং দুনিয়া হাছিলের জন্য তাকে সম্মান করলো সে তার সম্মানিত দ্বীন উনার তিন ভাগের দুই ভাগ বিনষ্ট করলো। নাউযুবিল্লাহ!
কাজেই, পার্থিব জীবনে যারা ধন-সম্পদ, মান-সম্মান, প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধির জন্য আমির-উমারা, রাজা-বাদশাদেরকে তোয়াজ করে এবং নিজেদের আত্মসম্মান বিলিয়ে দেয়। তারা প্রকৃতক্ষে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের দয়া-দান, ইহসান রহমত হতে বিমুখ হয়ে যায়। ফলে সে ইহকাল ও পরকাল সর্বকালেই লাঞ্ছিত হয়।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাস, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি কোন বাধ্যবাধকতা ছাড়া নিজের খুশিতে নীচুতা-হীনতা গ্রহণ করলো সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। ” (তিরমিযী শরীফ)
-আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত ও খাছ সুন্নতী তারতীব (২)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন বিভিন্ন প্রকারের সুন্নতী খাবার ‘খেজুর’
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত ও খাছ সুন্নতী তারতীব (১)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন মাথায় ব্যবহার করার সুন্নতী ‘কেনায়া’
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইমামাহ বা পাগড়ী পরিধানের মহাসম্মানিত সুন্নতী তারতীব
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন কালোজিরা ও কালোজিরার তেল
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী খাবার মধু
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী লিবাস ‘জুব্বা’
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী খাবার মাঠা (লাবান)
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাদ্য ‘যব’
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ঠান্ডা ও মিঠা পানি পান করা মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাবার যব ও যবের রুটি
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)