মন্তব্য কলাম
শুধু অর্থনৈতিক উন্নতিই মুসলমানদের জন্য উন্নয়ন হিসেবে গৃহীত হতে পারেনা। আমরা মধ্যম আয়ের দেশ নয়; নিদেন পক্ষে মধ্যম ত্বাকওয়ার মুসলমানের দেশ চাই।
, ১৫ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২২ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ০৪ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মন্তব্য কলাম
বিলবোর্ডে লেখা হচ্ছে- উন্নয়নের পথে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। বর্তমান সরকার যখন ক্ষমতা গ্রহণ করে তখন দেশের মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৪৭০ ডলার আর আজ সেই মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০০০ ডলার বর্তমানে। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণ। তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের সাফল্য সারা পৃথিবীর কাছে ঈর্ষণীয়। লেখার অপেক্ষা রাখে না- দেশের উন্নতি সবার কাছেই কাঙ্খিত। কিন্তু দেশের শুধু অর্থনৈতিক অগ্রগতি উন্নতি কিনা- তা নিয়ে যথেষ্ট সমালোচনাও চলছে।
দাবি করা হচ্ছে, উন্নয়নের সাথে সুশাসন চাই। সুশাসন ব্যতীত উন্নয়নকে আইয়ুব খান আমলের শাসনের সাথে তুলনা করা হচ্ছে। অর্থাৎ সুশাসনের গুরুত্ব ও অভাব বিশেষভাবে অনুভূত হচ্ছে। তবে উল্লেখ্য যে, দুর্নীতি অপসারণ ও সুশাসন জারি করা লিভার বা কিডনী প্রতিস্থাপনের মতো কোনো সার্জিক্যাল ট্রিটমেন্ট নয়, যে হঠাৎ করে বা হুট করে তা সরকার করতে পারবে। বরং সুশাসন তখনই নিশ্চিত ও টেকসই হবে, যখন সুনাগরিকের একটা প্রভাব বলয় গড়ে উঠবে। আর সুনাগরিক হতে প্রয়োজন সুশিক্ষা। কিন্তু দেশে সুশিক্ষার অভাবে সুনাগরিকের অভাব প্রকট। দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ শিক্ষা লাভ করলেই সুশিক্ষা লাভ করা যায় না। অথচ সেটাকেই এখন সুশিক্ষা হিসেবে ধরে নেয়া হচ্ছে। কথিত সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের বিরুদ্ধে সম্ভ্রমলুণ্ঠনের বহু অভিযোগ উঠেছে। আবার এসব সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ থেকে পাঠ চুকিয়ে বের হওয়া শিক্ষার্থীরাই মূলত রাষ্ট্রযন্ত্রের নীতি নির্ধারক ও নিয়ন্ত্রক। এসব তথাকথিত উচ্চ শিক্ষিতরাই আজ দেশের অপশাসন ও ব্যর্থতার চাবিকাঠি।
কারণ রাজনীতি থেকে শুরু করে প্রশাসনের সর্বস্তরে আজ তাদেরই পদচারণা। রাষ্ট্রযন্ত্রে সর্বক্ষেত্রে তাদের উপস্থিতি থাকার পরও দেশ আজ দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত। দুর্নীতিতে এখনো বাংলাদেশের অবস্থান দশম। পূর্বেকার ন্যায় এখনো দেশের লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। ঘুষ, দুর্নীতি বাড়ছে বৈ কমছে না। এসব তথাকথিত উচ্চ শিক্ষিত পরিমলদের হাতে নিজ ক্লাসের ছাত্রীরা সম্ভ্রম হারাচ্ছে। এদেরই এক শ্রেণী ছিনতাই, রাহাজানি, নারীটিজিং, লিভটুগেদারসহ সব ধরনের অনৈতিক কাজে জড়িত হচ্ছে।
তাহলে দেখা যাচ্ছে, উচ্চ শিক্ষিত হলেই সুনাগরিক হওয়া যায় না। এজন্য প্রয়োজন ইসলামী শিক্ষা। প্রয়োজন তাক্বওয়ার। প্রয়োজন খোদাভীতির। যে খোদাভীতি তাকে সব অনৈতিক, অশালীন ও গর্হিত কাজ থেকে বিরত রাখবে। অথচ দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় আজ তাক্বওয়া বা খোদাভীতি শিক্ষা দিতে কোনো প্রক্রিয়া নেই। ইসলামী শিক্ষার প্রভাব ও প্রতিফলন নেই।
সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে তারা মসজিদ, মাদরাসায় প্রচুর ফান্ডিং করছে। প্রতিটি উপজেলায় সরকারি খরচে বিশাল মডেল মসজিদ হচ্ছে। কিন্তু শুধু মসজিদ-মাদরাসা তৈরি করলেই ইসলামী শিক্ষার প্রতিফলন হয় না। বিশ্বায়নের এ যুগে বেহায়া, বেপর্দা, বিবস্ত্রপনা, গান-বাজনা, খেলাধুলাসহ হারাম কাজ চরম আকারে বিস্তার লাভ করেছে। এসব উৎপত্তি ও চর্চার স্থানটা বন্ধ না করলে তা সাধারণের ইসলামী অনুরাগকে নিমিষে গ্রাস করে ফেলে। অথবা সাধারণের ইসলামী অনুভূতি কর্পুরের মতো উড়ে যায়। ইসলামী শিক্ষা তখন মনোজগতে টিকে থাকে না।
কাঙ্খিত ইসলামী আবহ তৈরিতে প্রয়োজন ব্যাপক সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা। সরকার ক্রীড়া, সংস্কৃতি ইত্যাদির উন্নয়ন ও সংরক্ষণে ব্যাপক পৃষ্ঠপোষকতা করছে। অথচ আদর্শ সুনাগরিক গঠনে ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন ও সম্মানিত ইসলামী শিক্ষার পরিবেশ গঠনে সরকার কোনো পৃষ্ঠপোষকতা করছে না। যার সাম্প্রতিক উদাহরণ একুশে বই মেলা। একুশে বই মেলা যেভাবে ব্যাপক আয়োজনে, ব্যাপক পরিসরে ও ব্যাপক পৃষ্ঠপোষকতায় উদ্বোধন করা হলো; ইসলামী ফাউন্ডেশনের বই মেলার ক্ষেত্রে তার তুলনায় কোনো ভূমিকাই রাখেনি সরকার। স্বল্প পরিসরে কোনোরকম দায়সারাভাবে বায়তুল মোকাররম চত্বরে সেটা আয়োজন করা হলো। অথচ ইসলামী ফাউন্ডেশনের বই মেলা হলো স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষে। সুবহানাল্লাহ! তথা পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ উপলক্ষে। সুবহানাল্লাহ! এখানে রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে মন্ত্রী পরিষদের সবাই উপস্থিত থেকে ব্যাপক পরিসরে করা উচিত ছিল। বাংলা একাডেমির বিপরীতে ইসলামী বই মেলাই অনেক বেশি সরব ও স্বতঃস্ফূর্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না করার দ্বারা সম্মানিত ইসলামী শিক্ষার পৃষ্ঠপোষকতায় সরকারি দৈন্যতাই বিশেষভাবে প্রমাণিত হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশকে এখন মধ্যম আয়ের দেশ বলা তৃপ্তির ঢেকুর তোলা হচ্ছে। কিন্তু আমরা মনে করি- দেশকে আগে কমপক্ষে মধ্যম মানের মুসলমানের দেশ তৈরি করা জরুরী। কারণ বর্তমান প্রজন্মের মুসলমানরা বেহেশত, দোযখ, হালাল, হারাম ইত্যাদি সাধারণ ইসলামী জ্ঞানই রাখে না। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এখনি যদি ইসলামী জ্ঞান দেয়া না হয়, তাহলে মুসলমান নামধারী ব্রিটিশ দালাল তুরস্কের কামাল পাশা যেভাবে সে দেশের মসজিদ-মাদরাসা ধ্বংস করেছে, বর্তমান প্রজন্মের নামধারী মুসলমানদের থেকে অদূূর ভবিষ্যতে তুরস্কের কামালের মতো মুরতাদ তৈরি হওয়া বিচিত্র কিছু নয়। যারা মুরতাদ কামালের মতো মসজিদ মাদরাসার বিরুদ্ধাচারণ করতে দ্বিধা বোধ করবে না। নাঊযুবিল্লাহ! এখনই আযানের বিরুদ্ধচারণ করার মতো বহু নাস্তিক-মুরতাদ তৈরি হয়েছে। নাঊযুবিল্লাহ!
বলার অপেক্ষা রাখে না, দেশে এখন নামধারী ইসলামী প্রতিষ্ঠানের অভাব নেই। কিন্তু সেগুলোতে খোদাভীতি বা তাক্বওয়ার চর্চা নেই।
প্রসঙ্গত আমরা মনে করি- মসজিদ, মাদরাসা তৈরির পাশাপাশি সরকারকে সর্বাগ্রে সহীহ ইসলামী মনোজগৎ তৈরিতে নিবেদিত হতে হবে। ইসলামী মনোজগতের ব্যপ্তি ঘটাতে হবে। বিস্তার ঘটাতে হবে এবং টেকসই ইসলামী মনোজগতের ধারাবাহিকতা সুরক্ষার জন্য সুদূর প্রসারী ও শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে হবে। জাতীয় জীবনে অর্জন ও সম্মাননার ক্ষেত্রে বিশ্বকাপ ক্রিকেট নয়; বরং মুত্তাকী হওয়াকে গণ্য করতে হবে। সমাজে তাক্বওয়ার গুরুত্ব ছড়িয়ে দিতে হবে।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাপবিত্র রওজা শরীফ ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফের পবিত্র ভূমি জাজিরাতুল আরবকে অপবিত্র করে দিন দিন পরিণত করা হচ্ছে অবাধ পাপাচারের পঙ্কিলরাজ্যে নাউযুবিল্লাহ! কা’বা শরীফের আদলে তৈরি মঞ্চে চলছে খোলামেলা পোশাকে ফ্যাশন শো, উদ্দাম কনসার্ট, বিক্রি হয়েছে ৩৬ লাখ কোটি টাকার ভারতীয় সিনেমার টিকিট; পালিত হচ্ছে হ্যালোইনও! নাউযুবিল্লাহ!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ : কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ধারণা ও ক্বিয়ামতের তথ্য
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার অনবদ্য তাজদীদ ‘আত-তাক্বউইমুশ শামসী’ সম্পর্কে জানা ও পালন করা এবং শুকরিয়া আদায় করা মুসলমানদের জন্য ফরয। মুসলমান আর কতকাল গাফিল ও জাহিল থাকবে?
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ: ভয়ঙ্কর জেদ, মহা দাম্ভিকতা, চরম সীমালঙ্ঘন, প্রতিহিংসা, ক্ষমতা কুক্ষিগত করা ইত্যাদি কুরিপুর কারণে সরকারের পতন কিন্তু কুরিপুর সংজ্ঞা, প্রতিকার, পরিশুদ্ধির প্রক্রিয়ার বর্ণনা সংবিধানে তথা রাষ্ট্রীয় কোন কিতাবে নেই তাহলে রাষ্ট্রের সংস্কার হবে কীভাবে? নাগরিক সুরক্ষা হবে কেমনে?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচারণার বিপরীতে রপ্তানি আসলে কতটা চাঙা হবে প্রকৃত রপ্তানি আয় আসলে কত? ১০ বছরে রপ্তানি বেশি দেখানো হয়েছে ৬৫ বিলিয়ন ডলার পেছনে রয়েছে ক্ষমতাসীনদের উন্নয়নের রাজনীতির মিথ্যাবুলি, মহা সাগর চুরি আর অর্থপাচারের নিকৃষ্ট কাহিনী
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আলোকে- সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ উনাদের কতিপয় ফযীলত মুবারক বর্ণনা।
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
১লা জানুয়ারি ২০২৫ থেকে সুইজারল্যান্ডে মুখ ঢেকে রাখলেই প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা (নাউযুবিল্লাহ) বোরকা পড়াকে সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপীয় দেশ পর্দার আড়ালে নারীদের বন্দী, বৈষম্য এবং পিছিয়ে পড়ার অপবাদ দিলেও বাস্তবতা হচ্ছে গোটা ইউরোপ-আমেরিকায় নারীর প্রতি বৈষম্য হয়রানি, সহিংসতা, অত্যাচার আর ব্যভিচারের মাত্রা ভয়াবহ পশ্চিমাদের বোরকা নিষিদ্ধের প্রবনতা শুধুই ইসলাম আর মুসলিম বিদ্বেষ (পর্ব-১)
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
১০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
চলচ্চিত্র নামক জাহান্নামী সংস্কৃতির ফাঁদে মুসলিম উম্মাহ। নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। সিনেমার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বিস্তার ঘটছে ইসলামোফোবিয়ার। পরকালের কথা স্মরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
০৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)