শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিজ্ঞতা ভিত্তিক শিক্ষা পেলে কি মুখস্ত শিক্ষার প্রয়োজন নাই? (১)
, ০৯ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৪ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ২২ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ০৭ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) আপনাদের মতামত
গত কয়েকদিনে প্রফেসর মুহম্মদ মশিউজ্জামান সাহেবসহ পাঠ্যক্রমের পক্ষের ব্যক্তিদের বিভিন্ন বক্তব্য শুনে কিছু কথা বলতে হয়-
১. একটা বইয়ে অনেক ধরনের জ্ঞান থাকে। এর কিছু অংশ শিক্ষার্থীরা বুঝে মুখস্ত করে, কিছু অংশ না বুঝে মুখস্ত করে। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের দায়িত্ব হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের প্রতিটি বিষয় বুঝিয়ে শেখানো। তবে সকল পাঠ সব সময় প্র্যাকটিকাল বা বাস্তব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শেখা সম্ভব হয়ে ওঠে না। কারণ সব অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ বা সময় কোনটাই সব সময় পাওয়া যায় না।
২. একজন মেডিকেল শিক্ষার্থীকে প্রচুর মুখস্ত করতে হয়। ছাত্র অবস্থায় তারা বইয়ে যত রোগের কথা পড়ে, ক্লাস প্র্যাকটিকাল, ইন্টার্নশীপ, এমনিক পেশাগত জীবনে গিয়েও সব সব রোগের বাস্তব উদাহরণ পাওয়া যায় না। কিন্তু তারপরও তাকে মুখস্ত করে রাখতে হয়। কারণ কখনো যদি একজন রোগী পেয়েই যায়, তবে মুখস্ত জ্ঞান থেকে যেন চিন্তার সমন্বয় করে নিতে পারে। কিন্তু বাস্তব রোগী না পাওয়া পর্যন্ত যদি মেডিকেল শিক্ষার্থী মুখস্ত না করে বসে থাকে, তবে তাকে আর ডাক্তার হতে হবে না।
৩. বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে শেখানোর দায়িত্বটা আসলে শিক্ষকের। একজন শিক্ষক কোন একটি পাঠ দানের সময় ঐ পাঠের এক বা একাধিক বাস্তব উদাহরণ তুলে ধরেন, তবেই বিষয়টি সহজে অনুধাবন করতে পারে শিক্ষার্থীরা। এজন্য শিক্ষকের মান উন্নয়ন বা ট্রেনিং আগে জরুরী।
৪. অনেকে বলে, “আগের কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা কোচিং সেন্টার আর গাইড বইয়ের দ্বারস্থ হয়। ফলে তাদের প্রচুর ব্যবসা হচ্ছে।” আসলে শিক্ষার্থীরা কোচিং বা গাইড বইয়ের দ্বারস্থ হচ্ছে, কারণ শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুসারে শিক্ষার যোগান শ্রেণী শিক্ষকরা দিতে পারছেন না। ফলে তাদের বিকল্প খুজতেছেই শিক্ষার্থীরা কোচিং কিংবা গাইড বইয়ের দিকে ঝুকছে। শিক্ষরা যদি শিক্ষার্থীদের চাহিদা ক্লাসেই পূরণ করে দিতো, তবে তাদের কোচিং বা গাইডের দ্বারস্থ হওয়ার ঘটনা অনেক কমে যেতো। অর্থাৎ এখানে সমস্যা শিক্ষকের মান নিয়ে, পাঠ্যবই বা কারিকুলামে না। কিন্তু শিক্ষকের মান উন্নয়ন না করে পাঠ্যবই-কারিকুলাম পরিবর্তন করে ফেলা হলো, এ কেমন উল্টো বিচার?
-মুহম্মদ মুহিউদ্দিন রাহাত।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুসলমানদের দমিয়ে রাখতেই ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ বুলি
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
এ সকল মুখোশধারীদের আসল পরিচয় অনেকেরই অজানা!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
১০ ব্যক্তি শয়তানের বন্ধু
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি ঝুঁকিয়ে দেয়া একটি ভয়াবহ চক্রান্ত
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে, তাহলেই রাজধানী হবে সমস্যামুক্ত
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুলুমতন্ত্র থেকে খালিছ ইস্তিগফার-তওবা করুন
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উপজাতিদের যেভাবে উস্কানি দিচ্ছে এনজিওগুলো
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হিন্দুদের পূর্বপুরুষরাও একসময় মুসলমান ছিলো
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাবার খাবেন কোথায়?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের রক্তাক্ত ইতিহাস, যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জায়নবাদী ইহুদী পরিকল্পনার গোপন দস্তাবেজ
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিধর্মীরা কখনোই চায়নি, এখনও চায় না মুসলমানদের উন্নতি
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)