লাখ লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরেও বিধ্বস্ত দেশের রেলখাত।
দুর্নীতি, মনিটরিংয়ে দুর্বলতা, নির্লিপ্ততা ও সমন্বয়হীনতার কারনে রেলের বহুমুখী সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশবাসী। রেলকে অবহেলিত রেখে যোগাযোগ খাতের উন্নয়ন কখনোই সম্ভব নয়।
, ২৭ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৮ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ১৭ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ০২ আষাঢ়, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মন্তব্য কলাম
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রের তথ্য, ২০২১-২২ অর্থবছরের রেল বাজেট ১৭ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা। আর ২০০৯ সাল থেকে চলতি বাজেট পর্যন্ত মোট বরাদ্দ প্রায় ১ লাখ ২ হাজার কোটি টাকা। আগামী ৩০ বছর ( ২০১৬-৪৫ সাল পর্যন্ত) মেয়াদে ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬২ কোটি টাকার মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এত বিনিয়োগ আর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্যে রেল লোকসান গুনে চলেছে। গত ১ যুগে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে সংস্থাটি। এর মধ্যে গত ২ অর্থবছরেই লোকসানের খাতায় যোগ হয়েছে প্রায় পৌনে ৪ হাজার কোটি টাকা।
সরকারের চলমান রেলপ্রকল্পগুলোর ব্যয়ও দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প। ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৩৩৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। কিন্তু এই রেলপথ নির্মাণের ব্যয় কিলোমিটার প্রতি কোথাও ব্যয় হচ্ছে ১৪ কোটি, আবার কোথাও ৪৮ কোটি টাকা, মানে তিন গুণ বেশি। চট্টগ্রাম, ফেনী ও কুমিল্লা জেলার লাকসাম এবং চিনকী আস্তনার মধ্যে ডাবল লাইন ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। তৃতীয় দফায় ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প ব্যয় বেড়ে এক হাজার ৮০০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। একইসাথে বেড়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ। পাঁচ বছরের প্রকল্প শেষ করতে লেগে যাচ্ছে ১০ বছর।
বাংলাদেশে ১৮৮টি রেলস্টেশন বন্ধ। স্বাধীনতার আগের ৪৮৬টি রেল ইঞ্জিনের স্থলে বর্তমানে দেশে চলছে ২৭৩টি রেল ইঞ্জিন। ইঞ্জিনের পাশাপাশি চলাচল করা ট্রেনগুলোতেও পর্যাপ্ত বগি সংযোজন করা হচ্ছে না। খোদ সরকারিভাবেই স্বীকার করা হচ্ছে- ট্রেনগুলোতে পর্যাপ্তসংখ্যক বগি সংযোজন করা হলে বছরে শত কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। তারা জানায়, অল্প বগি নিয়ে ট্রেন চলাচল করায় দিনে আয় কমছে প্রায় ১৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা। অথচ, চলাচল যোগ্য শতাধিক যাত্রীবাহী বগি অলস পড়ে আছে। এতে করে যাত্রীসেবা একেবারেই তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। রেলকে যাতায়াতের সুবিধার বদলে মানুষ একটি ঝঞ্জাটপূর্ণ বাহন হিসেবে মনে করছে।
প্রসঙ্গত, যাতায়াতের ক্ষেত্রে রেলের চেয়ে আরামদায়ক আর কিছুই হয় না। অন্যান্য দেশে রেলের যাত্রীসেবা যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তা বিস্ময়কর। তাইওয়ানের টিএইচএসআর ৭০০টি, তাইওয়ান, ইটালির ইটিআর ৫০০ ফ্রেসিয়ারোসা ট্রেন, ফ্রান্সের এসএনসিএফ টিজিভি ডুপ্লেক্স, চীনের সাংহাই ম্যাগলেভ নামক অনেক উন্নত ট্রেন সার্ভিস চালু করেছে। সেইসাথে তারা উন্নত রেলপথও নিশ্চিত করেছে দেশবাসীকে। ওইসব দেশের মানুষ আগে চেষ্টা করে রেলযাত্রী হওয়ার। কিন্তু উল্টো পরিস্থিতি বিরাজ করছে আমাদের দেশে। ভগ্নদশার জন্য যাত্রীরা রেলে উঠতে চায় না। রেলে যাতায়াত করলে যেমন কম টাকা লাগে, পাশাপাশি মালামাল পরিবহনও বিশেষ সাশ্রয়ী হয়ে থাকে। দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে পণ্য নেয়ার ক্ষেত্রে রেল হতে পারে সবচেয়ে সুবিধাজনক। এতে সবারই উপকৃত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এটা সরকার বোঝে না, তা আমরা বলতে চাই না।
আমরা মনে করি, বর্তমান সরকার রেলের গুরুত্ব বোঝে বলেই এর উন্নতিতে গত কয়েক বছরে আড়াই লাখ কোটি টাকারও মতো খরচ করেছে। কিন্তু টাকার সদ্ব্যবহার হয়েছে কিনা, তা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। টাকার অপচয় ও লুটপাট হয়ে থাকলে এর বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে এবং রেলের শীর্ষে যিনিই অবস্থান করুক না কেন, তাকে রেল নিয়ে স্বপ্ন দেখতে হবে। দেশের মানুষকে রেলে চড়তে উৎসাহ দিতে হবে এবং যাত্রীমান বাড়ানোর জন্য যথার্থ পদক্ষেপ নিতে হবে।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমানের সংজ্ঞা কতজন মুসলমান জানে? প্রকৃত মুসলমান না হয়ে শুধু বাহ্যিক মুসলমান দাবি কী অন্যায় নয়? মুসলমান মাত্রই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করতে হবে।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ডিজিটালাইজেশনের নামে শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। দেশের ইন্টারনেট জগতে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় শিশু-কিশোররা আক্রান্ত হচ্ছে অশ্লীলতায়। শিখছে অনৈতিকতা, বেহায়াপনা, হিংস্রতা। সরকারের উচিত- দ্রুত দেশের ইন্টারনেট জগতে কন্টেন্ট ফিল্টারিংয়ের ব্যবস্থা করা। বিশেষ করে শিশু কিশোরদের ইন্টারনেট আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুশাসন প্রচার প্রসার করা।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রতিবছর ২৫ লাখ বাংলাদেশী রোগী ভারতে গিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা অপচয় করে এর পেছনে রয়েছে ভারতের মেডিক্যাল টুরিজমের ফাঁদ, এদেশের হাসপাতালের হিন্দুবাদী ডাক্তারদের ষড়যন্ত্র এবং কিছু লোকের অজ্ঞতা ও তথাকথিত স্ট্যাটাস প্রবণতা এবং হিন্দু বিদ্বেষী ঈমানী চেতনা না থাকা
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালন করা কী অপরাধ? সংবিধান কী পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের সুযোগ দেয়নি? পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে কী বেপর্দা ও ছবির বিরুদ্ধে বলা হয়নি? তাহলে কী রাষ্ট্রযন্ত্রের উচিত নয়- ছবি না তুলে, বেপর্দা না হয়ে দ্বীনদার মুসলমানরা যাতে সাংবিধানিক সুযোগ পায় সে অধিকার সংরক্ষিত করা। প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করা।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতিবছর ২৫ লাখ বাংলাদেশী রোগী ভারতে গিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা অপচয় করে এর পেছনে রয়েছে ভারতের মেডিক্যাল টুরিজমের ফাঁদ, এদেশের হাসপাতালের হিন্দুবাদী ডাক্তারদের ষড়যন্ত্র এবং কিছু লোকের অজ্ঞতা ও তথাকথিত ষ্ট্যাটাস প্রবনতা এবং হিন্দু বিদ্বেষী ঈমানী চেতনা না থাকা ভারতের সেবাদাস- পতিত সরকার ভারতের কুপরামর্শে- দেশের চিকিৎসাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ, স্বচ্ছ ও সমৃদ্ধ হতে দেয়নি অবিলম্বে চিকিৎসা খাতকে সমৃদ্ধ এবং দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে ইনশাআল্লাহ (প্রথম পর্ব)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (তৃতীয় পর্ব)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘ইসলামভীতি মোকাবেলায় জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস’ হলেও কার্যকরী কিছুই হচ্ছে না ইসরাইলকে সহযোগিতা করতে আমেরিকায় ইসলামোফোবিয়ার বিস্তার আরো বাড়ানো হচ্ছে
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা দরকার ইনশাআল্লাহ (প্রথম পর্ব)
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খাদ্যদ্রব্যে অতিরিক্ত ভেজাল মিশ্রণে হুমকির মুখে ৪৫ কোটি মানুষ। ভেজাল খাবারে দেশব্যাপী চলছে নীরব গণহত্যা। ভেজাল দমনে সম্মানিত ইসলামী মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: শিশুদের জন্য ইন্টারনেট নিরাপদ করতে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল গাইড লাইন তৈরি করছে সরকার নিয়ন্ত্রনহীন ইন্টারনেট জগতে প্রবেশ করে অশ্লীলতা, হিংস্রতা ও অপসংস্কৃতিতে লিপ্ত হচ্ছে শিশু কিশোররা সরকারের উচিত হবে এই গাইডলাইনে দীর্ঘসূত্রিতা না রেখে তা ত্বরিৎ বাস্তবায়ন করা।
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বিশ্বব্যাপী হালাল পণ্যের বাজার ৪০ ট্রিলিয়ন ডলার। সুবিশাল এই বাজারে প্রবেশে অনেকটাই ব্যর্থ বাংলাদেশ। মান নিয়ন্ত্রণ এবং উন্নত পণ্য ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশও এই সুবিশাল বাজার ধরতে পারে সরকারের উচিত- হালাল পণ্য উৎপাদন রফতানিতে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা এবং মুসলিম বিশ্বের বাজার ধরতে কুটনৈতিক তৎপরতা চালানো।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)