পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে
রোযা অবস্থায়- ইনজেকশন, ইনহেলার, স্যালাইন ও টিকা নেয়া অবশ্যই রোযার ভঙ্গের কারণ
, ২৪ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৭ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ০৬ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ২২ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ ۖ وَمَنْ كَانَ مَرِيْضًا أَوْ عَلٰى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ اَيَّامٍ اُخَرَ ۗ يُرِيْدُ اللهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيْدُ بِكُمُ الْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُوا الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُوا اللهَ عَلٰى مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُوْنَ.
অর্থ: “তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি রমাদ্বান শরীফ মাস পাবে তাকে অবশ্যই এ মাসে রোযা রাখতে হবে। আর কেউ অসুস্থ হলে অথবা মুসাফির হলে সে অন্য সময়ে (রোযা রেখে) গণনা পূরণ করে নিবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের জন্য সহজটা চেয়ে থাকেন, তিনি তোমাদের জন্য কঠিনটা চান না- যাতে তোমরা গণনা পূরণ করতে পারো। এবং তিনি তোমাদেরকে সৎপথে পরিচালিত করার কারণে তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার মহত্ত্ব বর্ণনা কর এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৮৫)
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার পাঁচটি বুনিয়াদের মধ্যে একটি হচ্ছে মাহে রমাদ্বান শরীফের রোযা। হিজরী দ্বিতীয় সনে এ রোযা ফরয করা হয়। আমলের দিক থেকে এ রোযা যেমন অত্যাবশ্যকীয় তেমনি আক্বীদাগত দিক থেকেও এ রোযার ফরযিয়াতের প্রতি বিশ্বাস রাখা অপরিহার্য কর্তব্য। সুতরাং, কোন মুসলমান যদি এ রোযাকে অস্বীকার করে সে মুরতাদ ও কাফিরের অন্তর্ভুক্ত হবে। আর যে ফরয হওয়া সত্বে এ রোযা রাখবে না, সে কঠিন গুণাহে গুণাহগার হবে এবং চরম ফাসিক হিসেবে গণ্য হবে।
শুরুতে রোযার পরিবর্তে ফিদিয়া দেয়ার যে আম বা সাধারণ অনুমতি ছিল উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার দ্বারা তা মানসূখ বা রহিত করে দেয়া হয়েছে। এখন আর কোন সক্ষম ব্যক্তি ফিদিয়া দিলে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না। তবে ফিদিয়ার হুকুম ঐ সকল ব্যক্তির জন্য বহাল ও বলবৎ রয়েছে যাদেরকে ফিক্বাহ শাস্ত্রের পরিভাষায় শায়খে ফানী বলা হয় অর্থাৎ যারা দীর্ঘকাল অসুস্থ থাকার কারণে অথবা অতিরিক্ত বার্ধক্যজনিত কারণে এমন দুর্বল, যাদের পক্ষে সুস্থ ও সবল হয়ে উঠার সম্ভাবনা নেই।
এছাড়া উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে অসুস্থ ও মুসাফির ব্যক্তিকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে যে, কেউ যদি রোযার দিনে অসুস্থ থাকে অথবা সফরে থাকে তখন তার জন্য রোযা না রেখে বরং সুস্থ হওয়ার পর অথবা সফর শেষ হওয়ার পর ততদিনের রোযা ক্বাযা আদায় করে নিতে পারবে।
উল্লেখ্য, কিছু জাহিল মালানা ও অজ্ঞ ডাক্তার মুসলমানের রোযা নষ্ট করার মানসে মহান আল্লাহ পাক উনার দেয়া সহজ বিধানের বিপরীত কঠিন ও ভুল মাসয়ালার অবতারণা করে থাকে।
যেখানে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি অসুস্থ ব্যক্তির জন্য রোযার পরে ক্বাযা আদায় অথবা ফিদিয়া দেয়ার ব্যবস্থা রেখেছেন সেখানে তারা ষড়যন্ত্রমূলক ইনজেকশন, ইনসুলিন, স্যালাইন ও ইনহেলার ইত্যাদি নিয়ে রোযা রাখার কথা বলে একদিকে রোযাদার মুসলমানের দ্বারা মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ মুবারক বিরোধী কাজ করাচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ! আরেকদিকে তাদেরকে রোযা থেকে বিরতও রাখছে। নাঊযুবিল্লাহ!
যার কারণে অসুস্থ রোযাদার কুফরী ও কবীরা উভয় গুণাহে গুণাহগার হচ্ছে। কেননা অসুস্থ রোযাদার ইনজেকশন, ইনসুলিন, ইনহেলার ইত্যাদি নিয়ে মনে করছে, তার রোযা হয়েই গেছে, যার কারণে সে আর পরে ক্বাযা ও ফিদিয়া কোনটাই আদায় করছে না। কিন্তু সে আদৌ ফিকির করে না যে, রোযা অবস্থায় ইনজেকশন, ইনহেলার ইত্যাদি নেয়া রোযা ভঙ্গের কারণ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সকল কাফিররাই মুসলমানদের প্রকাশ্য শত্রু
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৫)
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৪)
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১৩)
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ঈমানদীপ্ত ঐতিহ্য (৪৭)
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৩৯)
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)