পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে
রোযা অবস্থায়- ইনজেকশন, ইনহেলার, স্যালাইন ও টিকা নেয়া অবশ্যই রোযার ভঙ্গের কারণ (৯)
, ০৮ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২০ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ১৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ০৫ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
نقلا عن ابی بکرا لبلخی رح- اگردوا مثانہ تک پھنونچ جائے تب بھی امام اعظم رحمۃ اللہ علیہ اور امام محمد رحمۃ اللہ علیہ کے نزدیک مفسد صوم نھیں- امام ابو یوسف جو مثانہ میں پھونچ جائے کو مفسد قرار دیتے ھیں- وہ بھی اس بناء پر کہ ان کو یہ معلوم ھوا کہ مثانہ اور معدہ کے درمیان منفذ ھے- جس سے دوا معدہ میں پھونچ جاتی ھے- نھیں فرماتے- اسی لئے صاحب ھدایہ نے اس اختلاف کے متعلق فرمایا ھے-
হযরত আবূ বকর বলখী রহমতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্ণিত- যদি ওষুধ مثانہ (মুত্রথলী) পর্যন্ত পৌঁছে যায়- তবেও ইমাম আযম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি ও ইমাম মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতে রোযা ভঙ্গ হবেনা। আর ইমাম আবূ ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতে মুত্রথলীতে পৌঁছলে রোযা ভঙ্গ হবে। তিনি এরূপ অভিমত এই উছূলের উপর ভিত্তি করে দিয়েছেন যে, তিনি জানতে পেরেছেন, মুত্রথলী এবং معدہ (পাকস্থলী)-এর মধ্যে রাস্তা রয়েছে। যার দ্বারা ওষুধ পাকস্থলীতে পৌঁছে যায়। শুধু মুত্রথলীর মধ্যে ওষুধ পৌঁছাকে (আবু ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি রোযা ভঙ্গের কারণ বলেননি।
এ জন্যই হিদায়ার লেখক এ মতবিরোধ সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন-
فَكَاَنَّهٗ وَقَعَ عِنْدَ اَبِـىْ يُوْسُفَ اَنَّ بَيْنَهٗ وَبَيْنَ الْـجَوْفِ مَنْفَذًا وَلِـهٰذَا يَـخْرُجُ مِنْهُ الْبَوْلُ وَوَقَعَ عِنْدَ اَبِـىْ حَنِيْفَةَ اَنَّ الْـمَثَانَةَ بَيْنَهُمَا حَائِلٌ وَالْبَوْلُ يَتَرَشَّحُ مِنْهُ وَهٰذَا لَيْسَ مِنْ بَابِ الْفِقْهِ- محقق ابن ہمام اس کی شرح میں فرماتی ہیں يُفِيْدُ أَنَّه لَا خِلَافَ لَوْ اِتَّفَقُوْا عَلَى تَشْرِيْحِ هٰذَا الْعُضْوِ فَإِنَّ قَوْلَ أَبِيْ يُوْسُفَ بِالْإِفْسَادِ إنَّـمَا هُوَ بِنَاءً عَلٰى قِيَامِ الْمَنْفَذِ بَيْنَ الْمَثَانَةِ وَالْـجَوْفِ (اِلٰى قَوْلِهٖ) قَالَ فِىْ شَرْحِ الْكَنْزِ وَبَعْضُهُمْ جَعَلَ الْـمَشَانَةَ نَفْسَهَا جَوْفًا عِنْدَ اَبِـىْ يُوْسُفَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ وَحَكٰى بَعْضُهُمْ الْـخِلَافَ مَادَامَ فِـىْ قَصَبَةِ الذَّكَرِ وَلَيْسَ بِشَئِ اِنْتَهٰى.
হযরত ইমাম আবু ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতে নিশ্চয় মুত্রথলী ও পাকস্থলীর মধ্যে রাস্তা রয়েছে, যার মাধ্যমে প্রস্রাব বের হয়। আর ইমাম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতে নিশ্চয়ই পাকস্থলী ও মুত্রথলীর মধ্যে পর্দা বা প্রতিবন্ধক রয়েছে, যার থেকে প্রস্রাব ঝরে থাকে। এটা ফিক্বাহ্ শাস্ত্রের বিষয় নয়। (এটা ডাক্তারী বিদ্যার অন্তর্ভূক্ত) মুহাক্কিক ইবনে হুমাম এটার ব্যাখ্যায় বলেন যে, এটার মধ্যে কোন মতভেদ নেই, যদি এ অঙ্গের ব্যাখায় সকলে একমত হন। আর হযরত আবু ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি মূত্রথলী ও পাকস্থলীর মাঝে রাস্তা থাকার উপর ভিত্তি করে বলেছেন- রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। শরহে কানযে বলা হয়- হযরত ইমাম আবু ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতে অনেকেই মূত্রথলীকে (জাওফ) থলী হিসাবে সাব্যস্ত করেছেন। আর অন্যান্য অনেকে এর বিপরীত মত প্রকাশ করেছেন সুতরাং যা পুংলিঙ্গের রগে পৌঁছবে তাতে রোযা ভঙ্গ হবে না।
الغرض اسی طرح اگر کان مین پانی ڈالے تو روزہ فاسد نھیں ھوتا- کما صرح بہ فی درالمختار و الخلاصۃ حلانکہ کان بھی ایک جوف ھے- اسی طرح اگر کوئی انگور و غیرہ کو ایک تاگے مین باندہ کرنگل جائے اور پھر معدہ میں پھو نچنے سے پھلے کھینچنے سے روزہ فاسد نھیں ھوتا- کَمَا قَالَ فِی الْـخُلَاصَةِ وَ عَلٰی هٰذَا لَوْ اِبْتَلَعَ عِنَبًا مَرْبُوْطًا بِـخَیْطٍ- ثُـمَّ اَخْرَجَهٗ لَا یُفْسِدُ صَوْمَهٗ- خلاصه صفه ২৬ او مثلہ فی العالمگیر یہ مطبوعۃ الھند صفہ ২০২ وَلَفْظُهٗ وَمَنْ اِبْتَلَعَ لَـحْمًا مَرْبُوْطًا عَلٰی خَیْطٍ ثُـمَّ اِنْتَزَعَهٗ مِنْ سَاعَتِهٖ لَا یُفْسِدُ وَاِنْ تَرَكَهٗ فَسَدَ کَذَا فِی الْبَدَائِعِ.
এমনিভাবে যদি কানের মধ্যে পানি ঢালে, তবে রোযা ভঙ্গ হবেনা। যেমন দুররুল মোখতার এবং খুলাছার মধ্যে রয়েছে। অথচ কানও এক প্রকার جوف থলী। এভাবে যদি আঙ্গুর বা কোন ফল ইত্যাদি সুতায় বেঁধে গলার ভিতরে ঢুকান হয় এবং পাকস্থলীতে পৌঁছানোর পূর্বেই বের করা হয়, তবে রোযা ভঙ্গ হবেনা। যেমন খুলাছার মধ্যে বলা হয়েছে- যদি কোন সুতায় বাধা আঙ্গুর গলার ভিতরে প্রবেশ করানো হয়, অতঃপর পূণরায় বের করা হয়, তাহলে তার রোযা ভঙ্গ হবেনা। (খুলাছা ১ম খ- ২৬ পৃষ্ঠা) অনুরূপ আলমগীরী মাতবুআতুল হিন্দ পৃষ্ঠা ২০২-এর মধ্যে বলা হয়েছে- যদি কোন ব্যক্তি গোস্তের টুকরা সুতায় বেঁধে ভিতরে প্রবেশ করায়ে সাথে সাথে বের করে আনে, তবে তার রোযা ভঙ্গ হবেনা। আর যদি রেখে দেয়, তবে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। এটা বেদায়ার মধ্যে বলা হয়েছে।
اگر مطلق جوف بدن میں کسی شئی کا پھونچنا مفسد ھوتا توخود پیشاب گاہ بھی ایک جوف ھے- اور مثانہ توبدرجہ اولی جوف ھے- کان اور حلق بھی جوف ھیں- ان میں پھونچنا بلاخلاف مفسد صوم ھوتا اس سے معلوم ھواکہ مطلقا جوف بدن میں مفطر چیزوں کا پھونچنا مفطر صوم نھیں بلکہ خاص جوف دماغ اور جوف بطن میں مرادھیں بلکہ جوف دماغ بھی اس میں اصل نھیں وہ بھی اس وجہ سے لیاگیا ھے کہ جوف دماغ میں پھونچنے کے بعد بذریعہ منفذ جوف معدہ میں پھونچ جانا عادت اکثر یہ ھے جیسا کہ صاحب بحرکی تصریح سے معلوم ھوتاھے- قَالَ فِی الْبَحْرِ وَالتَّحْقِیْقُ اَنَّ بَیْنَ جَوْفِ الرَّأْسِ وَجَوْفِ الْـمَعَدَّةِ مَنْفَذًا اَصْلِیَّا فَمَا وَصَلَ اِلٰی جَوْفِ الرَّأْسِ وَصَلَ اِلٰی جَوْفِ الْبَطْنِ مِنَ الشَّامِیِّ صفه ۱۰۶ ج ۲
যদি সাধারণভাবে শরীরের কোন (جوف) থলীর মধ্যে কোন বস্তু পৌঁছানোই রোযা ভঙ্গের কারণ হতো, তবে প্রস্রাবের রাস্তাও একটা جوف (থলী) এবং মূত্রথলীও একটি উত্তম جوف (থলী)। কান এবং হলকও জাওফের অন্তর্ভূক্ত। এগুলোর ভিতর পৌঁছার কারণে বিনা মতভেদেই রোযা ভঙ্গ হয়ে যেত। এর দ্বারা এটাই বুঝা যায় যে, সাধারণভাবে শরীরের কোন থলীর মধ্যে (যা প্রবেশ করলে রোযা ভঙ্গ হয়, এমন বস্তু) পৌঁছানোই রোযা ভঙ্গের কারণ নয়। বরং খাছ করে جوف دماغ (মগজের মধ্যে) এবং جوف بطن (পেটের) মধ্যে পৌঁছানো শর্ত। আর মগজের মধ্যে পৌঁছানোও তার মধ্যে মূল কারণ নয়।
মগজের শর্ত এজন্য করা হয়েছে যে, দেমাগের (মগজের) মধ্যে পৌঁছার পর (ওষুধ ইত্যাদি) রাস্তার দ্বারা পাকস্থলীতে (পেটে) পৌঁছাই স্বাভাবিক। যেমন ছাহেবে বাহরের ভাষ্য দ্বারা বুঝা যায়। বাহ্রুর রায়েকের মধ্যে বলা হয়েছে- নিশ্চয়ই মগজ এবং পাকস্থলীর মধ্যে মূল রাস্তা রয়েছে। সুতরাং যা মগজে পৌঁছে, তা পেটের মধ্যেও প্রবেশ করবে। (ফতওয়ায়ে শামী ২য় খ- পৃষ্ঠা ১০৬)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৪)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)