পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে
রোযা অবস্থায়- ইনজেকশন, ইনহেলার, স্যালাইন ও টিকা নেয়া অবশ্যই রোযার ভঙ্গের কারণ (৮)
, ০৫ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৭ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ১৬ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ০২ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
মূলতঃ ইনজেকশন সম্পর্কে ইমদাদুল ফতওয়ার উক্ত বক্তব্য শুদ্ধ হয়নি। কারণ পবিত্র হাদীছ শরীফ, ফিক্বাহর কিতাবে বর্ণিত উছূল ও বর্তমান আধুনিক বিশ্বের উন্নততর চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ভালরূপে তাহ্ক্বীক বা গবেষণা করার পর এটাই প্রমাণিত হয় যে, ইনজেকশন নিলে অবশ্যই রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। অতএব, ইনজেকশন সম্পর্কিত ইমদাদুল ফতওয়ার বক্তব্য সম্পূর্ণরূপে ভুল, তাই তা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।
পাঠকগণের সুবিধার্থে নিম্মে ইমদাদুল ফতওয়ার বক্তব্যটি হুবহু বাংলা অনুবাদসহ ছাপিয়ে দেওয়া হলো, যেন পাঠকগণ সহজেই ভুল ও শুদ্ধ ফতওয়াটির মধ্যে পার্থক্য করতে পারেন।
ইনজেকশন সম্পর্কে ইমদাদুল ফতওয়ার বক্তব্য
سوال (২১৯) : کیا فرما تے ہیں علما ئے دین اس مسئلہ میں کہ اج کل جو انجکشن کے ذریعہ دوا بدن میں پھو نچائی جاتی ھے- یہ مفسدصوم ھے یا نھیں ادلہء شرعیہ سے جواب عنایت فرمایا جائے-
সুওয়াল (২১৯) : উলামায়ে দ্বীন এ মাসয়ালা সম্পর্কে কি বলেন- বর্তমানে ইনজেকশনের দ্বারা শরীরের ভিতর যে ওষুধ প্রবেশ করানো হয়, তাতে রোযা ভঙ্গ হবে কি? সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দলীল দ্বারা উত্তর দিয়ে বাধিত করবেন।
جواب:- ڈاکڑوں سے تحقیق کرنے سے نیز تجربہ سے یہ بات ثابت ھوئی کہ انجکشن کے ذریعہ دوا جوف عروق میں پھونچئی جاتی ھے- اور خون کے ساتھ شرائییں یا اوردہ میں اس کا سریان ھوتا ھے- جوف دماغ یا جوف بطن میں دوا نھیں پھو نچتی- اور فساد صوم کے لئے مفطر کا جوف دماغ یا جوف بطن میں پھونچنا ضروری ھے مطلقا کسی عضوکے جوف میں یا عروق (شرائییں و اوردہ( کے جوف میں پھونچنا مفسد صوم نھیں- لھذا انجکشن کےذریعہ سے جودوا بدن میں پھو نچائی جاتی ھے مفسد صوم نھیں-
জাওয়াব : ডাক্তারদের সাথে তাহ্ক্বীক ও গবেষণার পর এটাই সাব্যস্ত হয়েছে যে, ইনজেকশনের দ্বারা ওষুধ جوف عروق অর্থাৎ শীরার ভিতরে পৌঁছান হয় এবং شرائیین (শারাঈন) (অর্থাৎ যে রগ দিয়ে রক্ত চলাচল করে) অথবা وردہ (যে রগ দিয়ে রক্ত চলাচলা করেনা) এর ভিতর দিয়ে গিয়ে রক্তের সাথে মিশে যায়।دماغ (মগজ) অথবা بطن(পেট) এর মধ্যে ওষুধ প্রবেশ করেনা। অথচ রোযা ভঙ্গ হওয়ার জন্য ওষুধ ইত্যাদি মগজ অথবা পেটের মধ্যে পৌঁছানো আবশ্যক। সাধারণভাবে কোন অঙ্গের ভিতরে অথবা শিরায় (অর্থাৎ শারাঈন এবং আভেরদাহ্)-এর ভিতরে ওষুধ ইত্যাদি পৌঁছানোই রোযা ভঙ্গের কারণ নয়। এজন্যই ইনজেকশনের মাধ্যমে যে ওষুধ শরীরের ভিতরে ঢুকানো হয়, তাতে রোযা ভঙ্গ হবেনা।
فقھاء کی عبارتیں دو طرح پرتقریبا بلکہ حقیقۃ اس دعوے کی تصریح کرتے ھیں اول تویہ کہ فقھاء نے زخم پر دوا ڈالنے کو مطلقا مفسد نھیں فرمایا بلکہ جائفہ یا امہ کی قید لگائی ھے- کیونکہ انھیں دوقسم کے زخموں سے دوا جوف دماغ یا جوف بطن کےاندر پھونچتی ھے- ورنہ جوف عروق کے اندرتو دوسری قسم کے زخموں سے بھی دوا پھونچ جاتی ھے-
হযরত ফুক্বাহায়ে কিরামগণের অভিমত আনুমানিক বরং সত্যিকার অর্থে দু’ভাবে এ দাবীর স্পষ্টতা প্রমাণ করে- (১) ফক্বীহ্গণ সাধারণতঃ জখমে (আঘাত প্রাপ্ত স্থানে) ওষুধ দেয়াকে রোযা ভঙ্গের কারণ বলেননি। বরং جائفہ (অর্থাৎ যে যখম পাকস্থলী পর্যন্ত পৌঁছেছে) অথবা امہ (অর্থাৎ যে যখম মগজ পর্যন্ত পৌঁছেছে)-তে লাগানোর শর্ত দিয়েছেন। কেননা তাদের মতে এ দু’ধরণের জখমের দ্বারা ওষুধ মগজ অথবা পেটের মধ্যে পৌঁছে যায়। নচেৎ ওষুধ অন্যান্য জখমের দ্বারা শিরার ভিতরে পৌঁছে যায়।
دوسرے بھت سی جزئیات فقھیہ مسلمات فقھاء میں سے ایسی ھیں جن میں دوا و غیرہ مطلقا جوف بدن میں توپھونچ گی لیکن چونکہ جوف دماغ یا جوف بطن میں نھیں پھونچی- اس لئے اس کو مفطرو مفسد صوم نھیں قراردیا- جیسے مرد کی پیشاب گاہ کے اندر دوا یا تیل و غیرہ چرھانے سے باتفاق ائمہء ثلاثہ روزہ فاسد نھیں ھوتا کَمَا صَرَحَ بِهِ الشَّامِیُّ حَیْثُ قَالَ وَاَفَادَ اَنَّهٗ بَقِیَ فِیْ قَصْبَةِ الذَّکَرِ لَا یُفْسِدُ اِتِّفَاقًا وَلَاشَكَّ فِیْ ذَالِكَ شامی صفہ ১০৩ ج২- و مثلہ فی الخلاصۃ صفہ ২৫৩ ج ১
(২) অনেক মাননীয় ফক্বীহ্গণের ফিক্বহী অভিমত হলো- সাধারণভাবে যদিও শরীরের ভিতর ওষুধ ইত্যাদি প্রবেশ করে থাকে কিন্তু যেহেতু তা মগজ ও পেটের ভিতর প্রবেশ করেনা, তাই এটা রোযা ভঙ্গের কারণ নয়। যেমন- তিন ইমামের সর্বসম্মত মত হলো- পুরুষের ছোট ইস্তিঞ্জার রাস্তার ভিতর ওষুধ অথবা তেল ইত্যাদি প্রবেশ করালে রোযা ভঙ্গ হবেনা। যেটা শামী কিতাবে স্পষ্ট বলা হয়েছে- নিশ্চয়ই ওষুধ ইত্যাদি পুংলিঙ্গের রগে অবস্থান করে (অর্থাৎ ভিতরে প্রবেশ করেনা)। সুতরাং (ইমামদের) ঐক্যমতে রোযা ভঙ্গ হবেনা এবং এতে কোন সন্দেহও নেই। শামী ২য় খ- ১০৩ পৃষ্ঠা, অনুরূপ খুলাছা ১ম খ- ২৫৩ পৃষ্ঠা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৪)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)