পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে
রোযা অবস্থায়- ইনজেকশন, ইনহেলার, স্যালাইন ও টিকা নেয়া অবশ্যই রোযার ভঙ্গের কারণ (৩)
, ২৬ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৯ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ০৮ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ২৪ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
আর তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَمَآ اٰتَاكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ وَمَا نَـهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوْا ۚ وَاتَّقُوا اللهَ ۖ اِنَّ اللهَ شَدِيْدُ الْعِقَابِ ◌
অর্থ : “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তোমাদের জন্যে যা নিয়ে এসেছেন, তা আঁকড়ে ধর এবং যার থেকে বিরত থাকতে বলেছেন, তার থেকে বিরত থাক এবং মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় কর, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তিদাতা।” (পবিত্র সূরা হাশর শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৭)
আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যেএ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে যে,
عَنْ حَضْرَتْ مَالِكٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اَنَّ بَلَغَه اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ تَرَكْتُ فِيْكُمْ أَمْرَيْنِ لَنْ تَضِلُّوْا مَا تَـمَسَّكْتُمْ بِـهِمَا كِتَابَ اللهِ وَسُنَّةَ نَبِيِّهٖ.
অর্থ : “হযরত মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। উনার কাছে এই হাদীছ শরীফ পৌঁছেছে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি তোমাদের জন্য দু’টি নিয়ামত রেখে গেলাম, যতদিন তোমরা এ দু’টো নিয়ামত আঁকড়ে ধরে থাকবে, (অর্থাৎ মেনে চলবে) ততদিন তোমরা গোমরাহ্ হবেনা। (সেদু’টো হলো) মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র কিতাব ও আমার পবিত্র সুন্নাহ শরীফ।” সুবহানাল্লাহ! (মুয়াত্তায়ে মালিক শরীফ)
অতএব, আমাদেরকে কোন কিছু করতে হলে, বলতে হলে, তা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের ভিত্তিতেই করতে হবে। তবে কোন বিষয়ে যদি পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে স্পষ্ট বর্ণনা পাওয়া না যায়, তখন সেক্ষেত্রে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে ইজতিহাদ করার আদেশ সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার মধ্যে রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ مُعَاذٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ مُعَاذًا اِلَى الْيَمَنِ فَقَالَ كَيْفَ تَقْضِيْ. فَقَالَ اَقْضِيْ بـِمَا فِيْ كِتَابِ اللهِ. قَالَ فَاِنْ لَّـمْ يَكُنْ فِيْ كِتَابِ اللهِ. قَالَ فَبِسُنَّةِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ فَاِنْ لَّـمْ يَكُنْ فِيْ سُنَّةِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ اَجْتَهِدُ رَأْيِيْ. قَالَ اَلْـحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ وَفَّقَ رَسُوْلَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
অর্থ : “হযরত মুয়ায ইবনে জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। হযরত সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে ইয়েমেনের গর্ভরণ করে পাঠানোর প্রাক্কালে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, হে মুয়ায ইবনে জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! আপনার নিকট কোন মুকাদ্দমা আসলে কিভাবে তা ফায়সালা করবেন? হযরত মুয়ায রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাবের দ্বারা। যদি ওখানে না পান তাহলে? মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নাহ শরীফ দ্বারা। অতঃপর জিজ্ঞেস করলেন, যদি ওখানেও না পান তাহলে? আমি পবিত্র কিতাব ও সুন্নাহ্ শরীফ উনাদের ভিত্তিতে ইজ্তিহাদ করে রায় দেবো। এ উত্তর শুনে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সমস্ত প্রশংসা ওই মহান আল্লাহ পাক উনার, যিনি উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দূতকে এ যোগ্যতা দান করেছেন, যাতে উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সন্তুষ্ট হন।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ : কিতাবুল আহকাম : বাবু মাজায়া ফীল ক্বদ্বী কাইফা ইয়াক্বদ্বী : হাদীছ শরীফ নং ১৩২৭)
আর মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
يَآ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوآ اَطِيْعُوا اللهَ وَاَطِيْعُوا الرَّسُوْلَ وَاُولِي الْاَمْرِ مِنْكُمْ ۖ
অর্থ : “হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইত্বায়াত বা অনুসরণ কর মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উলিল আমর উনাদের। ” (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৯)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সকল কাফিররাই মুসলমানদের প্রকাশ্য শত্রু
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৫)
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৪)
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১৩)
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ঈমানদীপ্ত ঐতিহ্য (৪৭)
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৩৯)
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)