রোগীর জীবন নিয়ে রমরমা বাণিজ্য- দায় কার? নামকাওয়াস্তে পদক্ষেপ নয়। চাই সম্মানিত দ্বীন ইসলামী দায়িত্ববোধের প্রতিফলন।
, ২১ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১২ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ১১ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ২৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মন্তব্য কলাম
অভিযোগ উঠেছে, প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত মেডিক্যাল উপকরণ ও ওষুধের পরিমাণ দেখিয়ে বিল বাড়িয়ে দেয়া হয়। পর্যাপ্ত সংখ্যক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রাখা হয় না। দু’তিনটি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা সব রোগের চিকিৎসা করানোর ব্যবসা চালানো হয়। অনেক হাসপাতালে আইসিইউর শতকরা ৭০ ভাগ শয্যার সঙ্গে কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র নেই। শতকরা ৬০ ভাগ আইসিইউতে প্রতিটি শয্যার জন্য একজন করে সেবিকা নেই। আর যেসব সেবিকা আছে, তাদের শতকরা ৬৪ ভাগ সেবিকার প্রশিক্ষণ নেই। খরচ করেও কিছু হাসপাতালে সেবা পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ উঠেছে।
রোগীর অবস্থা অনুযায়ী বাড়তে থাকে আইসিইউ’র দৈনিক চিকিৎসা ব্যয়। প্রতিদিন গড়ে একজন রোগীকে দিতে হয় ৩০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত। উচ্চহারের কারণে প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউ সেবা গ্রহণ করতে পারে না স্বল্প আয়ের লোকজন। টাকার অভাবে আইসিইউ সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হয় অনেক রোগীকে। অত্যাধুনিক চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থা থাকার পরও প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর আইসিইউ ফি কমানো সম্ভব এবং উচিত বলে আমরা মনে করি। ব্যবসার পাশাপাশি সেবার মনোভাব বজায় রাখা এখানে উচিত বলে আমরা মনে করি। অনেক রোগী আইসিইউ ফি ও ওষুধপত্রের টাকা হাতে নিয়ে ভর্তি হয়। কিন্তু দুই দিন পরই আইসিইউ ফিসহ চিকিৎসা খরচ লাখের বেশি হয়ে যায়। ফি বেড়ে যাওয়ার কোন ব্যাখ্যা পর্যন্ত দিতে চায় না অনেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর পুরো টাকা পরিশোধ না করলে রোগী আটকে রাখার মতো ঘটনাও ঘটছে।
অপরদিকে, নগর স্বাস্থ্যসেবায় বেসরকারী খাতের ভূমিকা নিয়ে এক গবেষণা পরিচালনা করে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)। গবেষণায় দেখা গেছে, ৬২ শতাংশ চিকিৎসক ব্যক্তিমালিকানাধীন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে কাজ করে। অন্যদিকে সরকারী খাতের ৮০ শতাংশ চিকিৎসকও ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে।
গবেষকরা বলছেন, বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সর্বক্ষণিক চিকিৎসক রাখা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসকের উপস্থিতি প্রায় নিশ্চিত থাকে। ক্লিনিকগুলো মূলত সরকারী খাতের চিকিৎসকদের উপর নির্ভরশীল। দেশের আইনে বলা আছে, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা নিজের প্রতিষ্ঠানের বাইরে রোগী দেখতে পারবে না। কিন্তু অনেক বেসরকারী ক্লিনিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা রোগী দেখে।
গবেষণায় বলা হয়, আইসিডিডিআরবির সেন্টার ফর ইক্যুইটি এ্যান্ড হেলথ সিস্টেমস এই গবেষণা করেছে। এতে অর্থায়ন করেছে ব্রিটেনের দাতা সংস্থা ডিএফআইডি। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, এমন ধারণা প্রচলিত আছে যে, ওষুধ কোম্পানিগুলো চিকিৎসকদের একটি অংশকে দিয়ে ব্যবস্থাপত্রে নিজেদের ওষুধ লিখিয়ে নেয়। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর যৌথ লাভের সম্পর্ক গড়ে উঠছে। চিকিৎসকরা কোম্পানি থেকে ওষুধ সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্য পানয়, আর প্রতিষ্ঠানের ওষুধ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত হয়। কিন্তু একই ধরনের ওষুধ ব্যবহারের চাপ থাকার কারণে কিছু জীবাণু ওষুধ-প্রতিরোধী হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অন্যদিকে বাধ্য হয়ে কিনতে হয় বলে রোগীর খরচের বোঝা বড় হতে থাকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সংবিধানের ১৮(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “জনগণের পুষ্টির স্তর উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতি সাধনকে রাষ্ট্র অন্যতম প্রাথমিক কর্তব্য বলিয়া গণ্য করিবে। ” কিন্তু স্বাধীনতাউত্তর গণতান্ত্রিক সুশাসক দাবিদার সব সরকারই সংবিধানের এই অনুচ্ছেদ কার্যকর করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। অবহেলা করেছে, করছে। জনগণের প্রতি সব গণতান্ত্রিক সরকারের দায়িত্বহীনতা এবং দুর্নীতি প্রবণতাই এর মূল কারণ। আর এটাই স্বাভাবিক। কারণ গণতান্ত্রিক শাসন কখনোই জনগণের কল্যাণের জন্য নয়।
এক্ষেত্রে বলার অপেক্ষা রাখেনা, চিকিৎসক ও চিকিৎসাক্ষেত্রে এসব নৈরাজ্য ততক্ষণ পর্যন্ত দূর হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না চিকিৎসকদের মধ্যে দ্বীনি ইলমের চেতনা ও দায়িত্ববোধ জাগ্রত না হবে। অর্থাৎ হক্কুল ইবাদের ইলম ও আমল হাছিল না হবে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে ধর্মনিরপেক্ষতার খোলস থেকে বেরিয়ে এসে সংবিধানে বর্ণিত রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার শিক্ষা সর্বস্তরে বিশেষ করে চিকিৎসকদের মধ্যে জারি করতে হবে।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন
২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গ: হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া এবং হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে গুপ্তহত্যার মাধ্যমে শহীদ করা জায়নবাদী তথা বর্বর ইহুদীরা কাপুরুষতার প্রমাণ দিয়ে অতীত ইতিহাস থেকে একের পর এক গুপ্তহত্যা করে আসছে ইহুদীদের গুপ্তহত্যার অনেক নিন্দা, ধিক্কার এবং প্রচারণা ও প্রতিহতের প্রচেষ্টা দরকার (পর্ব-১)
১৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শুধু যুবকরাই নয় এখন এনার্জি ড্রিংকসে বুদ হচ্ছে শিশুরাও কর ফাঁকি দিতে অনেক এনার্জি ড্রিংকস হয়ে গেছে কোমল পানীয় জনস্বাস্থ্য রক্ষা করতে অবিলম্বে এনার্জি ড্রিংকস বন্ধ করতে হবে
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইহুদী-নাছারাদের ষড়যন্ত্রে পড়েই দুনিয়াদার মালানারা বেহেশত-দোযখের ওয়াজ শরীফ বাদ দিয়েছে। পর্নোগ্রাফি, মাদক থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে চাইলে বেহেশত-দোযখের ওয়াজ শরীফও বেশি বেশি করতে হবে।
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ডানে সেলফি বামে সেলফি, সেলফি সেলফি সেলফি উম্মাদনায় সমাজে ব্যাপকভাবে বেড়েছে হত্যা, আত্মহত্যা, সম্ভ্রমহরণ, সড়ক দুর্ঘটনাসহ নানা অপরাধ। বিভিন্ন দেশে সেলফি’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করলেও বাংলাদেশে কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
১৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দিন দিন বাড়ছে পারিবারিক সহিংসতা, খুন আর আত্মহত্যা মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং দ্বীন ইসলাম বৈরিতাই এর মুখ্য কারণ সরকারের উচিত জাতীয়ভাবে দ্বীন ইসলাম উনার আদর্শ ও শিক্ষা প্রচার ও প্রসার করে এই সামাজিক সমস্যাটি দূরিকরণ করা।
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
যথাযথ পদক্ষেপ নিলে ইনশাআল্লাহ আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের প্রথম ধনী দেশ। এক উত্তারাঞ্চলের খনিজ উত্তোলন করলেই গোটা দেশের চেহারা পাল্টে যাবে। সরকারের নিষ্ক্রিয়তা বরদাশতযোগ্য নয়।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অবহেলায় কৃষিতে ব্যবহৃত হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ও রাসায়নিক; বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি। বিলুপ্তির পথে ১৯২ জাতের উপকারী পোকা। সরকারের উচিত অবিলম্বে কীটনাশক ও রাসায়নিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করে জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও কৃষিকে বিষমুক্ত করা।
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালন করা কী অপরাধ? সংবিধান কী পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের সুযোগ দেয়নি? পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে কী বেপর্দা ও ছবির বিরুদ্ধে বলা হয়নি?
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রতি বছর ১ কোটি মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক “অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স নতুন আশঙ্কা এবং বেশিরভাগ অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা কমেছে”- এ তথ্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। নচেৎ সাধারণ অসুখেই প্রাণনাশ হতে পারে
১১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘ইসলামভীতি মোকাবেলায় জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস’ হলেও কার্যকরী কিছুই হচ্ছে না ইসরাইলকে সহযোগিতা করতে আমেরিকায় ইসলামোফোবিয়ার বিস্তার আরো বাড়ানো হচ্ছে
১০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রতারণার ফাঁদে নাগরিক জীবন। সরকারের নজরদারী নেই। রকমফের প্রতারণা বন্ধে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদর্শ মুবারক বিস্তারের বিকল্প নেই।
০৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)