রুটি খাওয়া মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত-২
, ১৬ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১০ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন, ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ২৫ই মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রুটি-গোশত পছন্দ মুবারক করতেন। এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ رَبِيْعَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اَنَّهٗ سَمِعَ حَضْرَتْ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ يَقُوْلُ كَانَ فِيْ حَضْرَتْ بَرِيْرَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهَا ثَلَاثُ سُنَنٍ اَرَادَتْ حَضْرَتْ اُمُّ الْمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةُ الصِّدِّيْقَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ أَنْ تَشْتَرِيَهَا فَتُعْتِقَهَا فَقَالَ اَهْلُهَا وَلَنَا الْوَلَاءُ فَذَكَرَتْ ذٰلِكَ لِرَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَوْ شِئْتِ شَرَطْتِيْهِ لَهُمْ فَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ قَالَ وَأُعْتِقَتْ فَخُيِّرَتْ فِيْ اَنْ تَقِرَّ تَحْتَ زَوْجِهَا اَوْ تُفَارِقَهٗ وَدَخَلَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا بَيْتَ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ وَعَلَى النَّارِ بُرْمَةٌ تَفُوْرُ فَدَعَا بِالْغَدَاءِ فَأُتِيَ بِخُبْزٍ وَأُدْمٍ مِنْ أُدْمِ الْبَيْتِ فَقَالَ أَلَمْ أَرَ لَحْمًا قَالُوْا بَلٰى يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلٰكِنَّهٗ لَحْمٌ تُصُدِّقَ بِهٖ عَلٰى حَضْرَتْ بَرِيْرَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهَا فَأَهْدَتْهُ لَنَا فَقَالَ هُوَ صَدَقَةٌ عَلَيْهَا وَهَدِيَّةٌ لَنَا.
অর্থ: “হযরত রবী‘আহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি হযরত ক্বাসিম ইবনে মুহম্মদ রহতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বলতে শুনেছেন। তিনি বলেন, হযরত বারীরাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার ঘটনায় সম্মানিত শরীয়ত উনার তিনটি বিধান প্রতিষ্ঠিত হয়। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি উনাকে ক্রয় করে মুক্ত করতে চাইলে উনার মালিকেরা বলল, “ওয়ালা” (উত্তরাধিকার) আমাদের থাকবে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত খিদমত মুবারকে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি বিষয়টি পেশ করলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আপনি ইচ্ছা করলে তাদের জন্য ওলীর শর্ত মেনে নিতে পারেন। কারণ প্রকৃতপক্ষে ওলীর অধিকারী হল মুক্তিদাতা। উনাকে আযাদ করে ইখতিয়ার দেয়া হলো, ইচ্ছা হলে পূর্ব স্বামীর সংসারে উনাকে থাকতে কিংবা ইচ্ছা করলে তার থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একদিন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ উনার মধ্যে তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করলেন। সে সময় চুলার উপর ডেকচি ফুটছিল। তিনি সকালের খাবার আনতে বললেন, উনার কাছে রুটি ও ঘরের কিছু তরকারী আনা হল। তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আমি কি গোশত দেখিনি?
উনারা বললেনঃ হ্যাঁ (গোশত রয়েছে) ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! কিন্তু তা ওই গোশত যা হযরত বারীরাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনাকে ছদক্বাহ করা হয়েছিল। এরপর তিনি তা আমাদেরকে হাদিয়া মুবারক করেছেন। তিনি বললেন, এটা উনার জন্য ছদক্বাহ, কিন্তু আমাদের জন্য হাদিয়া স্বরূপ।” (বুখারী শরীফ : কিতাবুত ত্বয়ামাহ্ : পবিত্র হাদীছ শরীফ নং ৫৪৩০)
রুটি ও খেজুর একত্রে খাওয়াও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত
এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ يُوْسُفَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ سَلَامٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَذَ كِسْرَةً مِنْ خُبْزِ شَعِيْرٍ فَوَضَعَ عَلَيْهَا تَمْرَةً وَقَالَ هٰذِهٖ إِدَامُ هٰذِهٖ.
অর্থ: “হযরত ইউসুফ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আমি যবের এক টুকরো রুটির উপর একটি খেজুর রাখতে দেখেছি। তারপর তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, এটিই এটার সালন- তরকারী।” (আবূ দাঊদ শরীফ : কিতাবুত ত্ব‘য়ামাহ্ : পবিত্র হাদীছ শরীফ নং ৩৮৩০) (সমাপ্ত)
-আহমদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৪)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৫)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)