রিয়াকারী ব্যক্তির কোনো ইবাদত-বন্দিগী খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট কবুলযোগ্য নয়
, ২১ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৬ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ০৪ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২০ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
عَنْ حَضْرَتْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهٗ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ أَوَّلَ النَّاسِ يُقْضٰى يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَيْهِ رَجُلٌ اُسْتُشْهِدَ فَأُتِىَ بِهٖ فَعَرَّفَهُ نِعَمَهٗ فَعَرَفَهَا قَالَ فَمَا عَمِلْتَ فِيهَا قَالَ قَاتَلْتُ فِيكَ حَتّٰى اُسْتُشْهِدْتُّ. قَالَ كَذَبْتَ وَلَكِنَّكَ قَاتَلْتَ لِأَنْ يُّقَالَ جَرِىءٌ. فَقَدْ قِيلَ.ثُمَّ أُمِرَ بِهٖ فَسُحِبَ عَلٰى وَجْهِهٖ حَتّٰى أُلْقِىَ فِى النَّارِ.
وَرَجُلٌ تَعَلَّمَ الْعِلْمَ وَعَلَّمَهٗ وَقَرَأَ الْقُرْآنَ فَأُتِىَ بِهٖ فَعَرَّفَهُ نِعَمَهٗ فَعَرَفَهَا قَالَ فَمَا عَمِلْتَ فِيهَا قَالَ تَعَلَّمْتُ الْعِلْمَ وَعَلَّمْتُهٗ وَقَرَأْتُ فِيكَ الْقُرْآنَ. قَالَ كَذَبْتَ وَلَكِنَّكَ تَعَلَّمْتَ الْعِلْمَ لِيُقَالَ عَالِمٌ. وَقَرَأْتَ الْقُرْآنَ لِيُقَالَ هُوَ قَارِئٌ. فَقَدْ قِيلَ ثُمَّ أُمِرَ بِهٖ فَسُحِبَ عَلَى وَجْهِهٖ حَتَّى أُلْقِىَ فِى النَّارِ.
وَرَجُلٌ وَسَّعَ اللهُ عَلَيْهِ وَأَعْطَاهُ مِنْ أَصْنَافِ الْمَالِ كُلِّهٖ فَأُتِىَ بِهٖ فَعَرَّفَهٗ نِعَمَهٗ فَعَرَفَهَا قَالَ فَمَا عَمِلْتَ فِيهَا قَالَ مَا تَرَكْتُ مِنْ سَبِيلٍ تُحِبُّ أَنْ يُّنْفَقَ فِيهَا إِلاَّ أَنْفَقْتُ فِيهَا لَكَ قَالَ كَذَبْتَ وَلَكِنَّكَ فَعَلْتَ لِيُقَالَ هُوَ جَوَادٌ. فَقَدْ قِيلَ ثُمَّ أُمِرَ بِهٖ فَسُحِبَ عَلَى وَجْهِهٖ ثُمَّ أُلْقِىَ فِى النَّارِ
অর্থ: “ক্বিয়ামতের দিন তিনজন লোককে প্রথমে বিচারের জন্য আনা হবে। প্রথম যে ব্যক্তিকে আনা হবে, সে হলো একজন শহীদ। তাকে জিজ্ঞেস করা হবে, ‘হে ব্যক্তি! তোমাকে আমি এত শক্তি-সামর্থ্য দিলাম, তা দিয়ে তুমি কি করেছ?’ সে বলবে, ‘আয় খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক! আমি জিহাদ করতে করতে আপনার জন্য শহীদ হয়েছি।’ খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলবেন, ‘মিথ্যা কথা! তুমি আমার জন্য জিহাদ করনি, মানুষ তোমাকে বড় পালোয়ান বা শক্তিশালী বলবে, সেজন্য তুমি জিহাদ করেছ, যুদ্ধ করেছ। আর মানুষ তোমাকে শহীদ বলেছে (তোমার বদলা তুমি পেয়েছ)।’ তখন খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে বলবেন, ‘হে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম! আপনারা এ লোকটাকে চুলে ধরে জাহান্নামে নিক্ষেপ করুন।’ তাই করা হবে। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বিতীয় আরেকজন লোককে আনা হবে, যাকে ইলিম দান করা হয়েছে। সে পবিত্র কুরআন শরীফ ছহীহ-শুদ্ধভাবে পড়তে শিখেছে এবং তা অন্যকে শিক্ষা দিয়েছে। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে বলবেন, ‘হে আলিম ছাহেব, ক্বারী ছাহেব! তোমাকে এত ইলিম দেয়া হয়েছিল, শুদ্ধ করে পবিত্র কুরআন শরীফ পাঠ করতে শিক্ষা দেয়া হয়েছিল, তুমি কি করলে?’ সে ব্যক্তি বলবে, ‘আয় খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক! আমি আপনার জন্য ইলিম শিক্ষা করেছি এবং তা অন্যকে শিক্ষা দিয়েছি, আর আপনার জন্যেই আমি পবিত্র কুরআন শরীফ শুদ্ধ করে পাঠ করেছি।’ খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলবেন, ‘মিথ্যা কথা। বরং মানুষ তোমাকে বড় আলিম, বড় ক্বারী ছাহেব বলবে, সে জন্যেই তুমি ইলিম অর্জন করেছ, পবিত্র কুরআন শরীফ শুদ্ধ করে পড়া শিখেছ। কাজেই মানুষ তোমাকে বড় আলিম, বড় ক্বারী ছাহেব বলেছে। (তোমার বদলা তুমি পেয়েছ)।’ তখন খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে বলবেন, ‘হে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম! আপনারা এ লোকটাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করুন।’ তখন তার চুলে ধরে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। নাঊযুবিল্লাহ!
এরপর তৃতীয় আরেকজনকে আনা হবে, যাকে অনেক ধন-সম্পদ দান করা হয়েছে। তাকে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলবেন, ‘হে ব্যক্তি! তোমাকে আমি দুনিয়াতে অনেক ধন-সম্পদের মালিক করেছিলাম, তার বিনিময়ে তুমি কি আমল করেছ?’ সে ব্যক্তি বলবে, ‘আয় খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক! আমি আপনার পছন্দনীয় এমন কোনো পথ নেই, যে পথে দান-খয়রাত করিনি।’ অর্থাৎ আপনি যতগুলো রাস্তা পছন্দ করতেন- মসজিদ, মাদরাসা, লঙ্গরখানা, ইয়াতীমখানা, গরিব-মিসকীন, রাস্তা-ঘাট, পুল, পানির ব্যবস্থা ইত্যাদি সমস্ত ক্ষেত্রেই আমি কম-বেশি দান করেছি। কোনো প্রার্থীকে আমি খালি হাতে ফিরিয়ে দেইনি। সবাইকে কম-বেশি দান করেছি একমাত্র আপনার সন্তুষ্টি মুবারকের জন্য। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলবেন, ‘মিথ্যা কথা। তুমি এজন্য দান করেছ যে, লোকে তোমাকে দানশীল বলবে। আর তোমাকে তা বলা হয়েছে।’ খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি তখন বলবেন, ‘হে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম! আপনারা এ দানশীল ব্যক্তিকেও জাহান্নামে নিক্ষেপ করুন।’ তখন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা তাকেও চুলে ধরে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।” নাঊযুবিল্লাহ! (মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ, মাছাবীহুস সুন্নাহ শরীফ, শরহে নববী, মিরকাত শরীফ)
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে বাতিল ফিরক্বা কর্তৃক উত্থাপিত সমালোচনা সমূহের দলীলসম্মত জাওয়াব (৩০)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ছহীহ্ তরজমা
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (১)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)