রাষ্ট্র ব্যবস্থায় একজন মুসলমান বা আলেমের ভূমিকা যেমন হওয়া উচিত
, ০২ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৭ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) আপনাদের মতামত
মূলত রাষ্ট্র ব্যবস্থাটা তারা এমনভাবে তৈরী করেছে যে, চেয়ারে আপনি যত উপরে উঠতে থাকবেন, আপনাকে তত বেশি ইসলামী মূল্যবোধ ত্যাগ করে কাফিরদের পলিসি মানতে হবে। উপরে উঠতে উঠতে আপনি হয়ত সর্বোচ্চ চেয়ারেও বসতে পারেন। কিন্তু ততক্ষণে দেখবেন, দ্বীন ইসলামের কথা দিয়ে শুরু করলেও শেষে এসে আপনার মধ্যে ইসলামের নাম গন্ধও নেই। অর্থাৎ যে কাফিরদের পলিসি সর্বোচ্চ মানতে পারবে, সেই চেয়ারে সর্বোচ্চ সিটে উঠতে পারবে। মানে চেয়ার থাকবে, কিন্তু চেয়ারে যে বসবে তার ক্ষমতা থাকবে না, ক্ষমতা থাকবে আড়ালে কাফিরদের হাতে। চেয়ারে বসে যদি কেউ তাদের দেয়া পলিসির বিন্দুমাত্র ব্যতিক্রম করে, তবে তাকে সাথে সাথে চেয়ার থেকে নামিয়ে দেয়া হবে।
এ সম্পর্কে বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্টের এক বয়ঃবৃদ্ধ আইনজীবি (যে জামায়াতের সদস্য) একবার নিজ দল সম্পর্কে আমাকে বলেছিলো, “জামায়াতে ইসলাম গণতন্ত্র করতে করতে এখন ‘ইসলাম’টা বাদ দিয়ে শুধু জামায়াতটা রাখছে।”
আসলে চেয়ার দখল করলেই যদি ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা যেতো, তবে ২০০১-০৬ সালে জোট সরকারে তো তথাকথিত ইসলামী দলগুলো ক্ষমতা পেয়েছিলো, কেউ কেউ মন্ত্রী-এমপিও হয়েছিলো, তারা নিজ মন্ত্রণলয় বা আসনে কতটুকু ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলো? পারে তো নাই, উপরন্তু শিল্প মন্ত্রণলয়ের দায়িত্ব পেয়ে এক তথাকথিত ইসলামের দলের শীর্ষ নেতা মদের দাম হ্রাস করে মদকে সহজলভ্য করে দিয়েছিলো। নাউযুবিল্লাহ।
হয়ত বলতে পারেন, চেয়ারে না বসেও কি রাষ্ট্রের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করা সম্ভব?
উত্তর হচ্ছে, সম্ভব। অবশ্যই সম্ভব।
বর্তমান রাষ্ট্র ব্যবস্থায় চেয়ারে না বসেও প্রভাব বিস্তার করা সম্ভব। অনেক বেসরকারি সংস্থা বা মানুষ চেয়ারে না থেকেও রাষ্ট্র ব্যবস্থায় প্রভাব বিস্তার করতে পারে। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো মিডিয়া, এনজিও ও কথিত সুশীল সমাজ। কিন্তু তারপরও এদের পলিসিতে ঠিকই রাষ্ট্রের বিভিন্ন আইন-কানুন পরিবর্তন হয়, জনগণের মাঝে নিত্য, নতুন সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণ জনগণের উপর এমপি-মন্ত্রীর প্রভাব যতটুকু, তার থেকে মিডিয়া, এনজিও ও সুশীল সমাজের প্রভাব অনেক বেশি। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, অনেক সময় তাদের পলিসি অনুসারে এমপি-মন্ত্রীরাও আইন প্রণয়ন করতে বাধ্য হয়। এজন্য একজন খাঁটি মুসলমান বা আলেমের মূল উদ্দেশ্য যদি থাকে, মানুষের চিন্তা চেতনায় প্রভাব বিস্তার করা, সমাজে দ্বীন ইসলাম জারি করা, তবে সে ভোট-গণতন্ত্র-নির্বাচন পদ্ধতিতে না গিয়ে ভিন্ন পদ্ধতিতেও তা করতে পারে।
-মুহম্মদ মহিউদ্দিন রাহাত।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুসলমানদের দমিয়ে রাখতেই ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ বুলি
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
এ সকল মুখোশধারীদের আসল পরিচয় অনেকেরই অজানা!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
১০ ব্যক্তি শয়তানের বন্ধু
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি ঝুঁকিয়ে দেয়া একটি ভয়াবহ চক্রান্ত
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে, তাহলেই রাজধানী হবে সমস্যামুক্ত
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুলুমতন্ত্র থেকে খালিছ ইস্তিগফার-তওবা করুন
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উপজাতিদের যেভাবে উস্কানি দিচ্ছে এনজিওগুলো
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হিন্দুদের পূর্বপুরুষরাও একসময় মুসলমান ছিলো
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাবার খাবেন কোথায়?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের রক্তাক্ত ইতিহাস, যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জায়নবাদী ইহুদী পরিকল্পনার গোপন দস্তাবেজ
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিধর্মীরা কখনোই চায়নি, এখনও চায় না মুসলমানদের উন্নতি
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)