রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি
, ০৬ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৭ হাদী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, ০৩ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
মাজলিসু রুইয়াতিল হিলাল গঠনের উদ্যোগ ও গুরুত্ব
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “তারা আপনাকে বাঁকা চাঁদ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। আপনি বলুন, এটি মানুষের জন্য সময় নির্ধারণ ও হজ্জের সময় ঠিক করার মাধ্যম। ”
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে স্পষ্টভাবে বাঁকা চাঁদকে সময় নির্ধারণ করার মাধ্যম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অমাবস্যার চাঁদ, জোছনার চাঁদ, অর্ধ চন্দ্র, সূর্যাস্তের কিছু পূর্বে ডুবে যাওয়া চাঁদ, নির্দিষ্ট বয়সের চাঁদ এসবের উল্লেখ করা হয়নি। অথচ আজকাল ইহুদীদের মদদপুষ্ট খারিজী, রাফিজী, সালাফী, ওহাবী গং পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মনগড়া ব্যাখ্যা করে তাদের বানানো নিয়মে মাস শুরু করে যাচ্ছে।
আরবী মাসের ২৯তম তারিখে চাঁদ তালাশ করা এবং কোন কারণে চাঁদ দেখা না গেলে মাস ৩০ দিনে পূর্ণ করা সম্মানিত শরীয়ত উনার নির্দেশ। এছাড়াও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “তোমরা চাঁদ দেখে রোযা শুরু কর এবং চাঁদ দেখে ঈদ কর। ”
তবে শুধু শা’বান শরীফ, রমাদ্বান শরীফ, শাওওয়াল শরীফ এবং যিলহজ্জ শরীফ-এ চাঁদ তালাশ করা ওয়াজিবে কিফায়া- এ ফতওয়াটি আম ফতওয়া। খাছ ফতওয়া হচ্ছে- প্রতি মাসেই চাঁদ তালাশ করা ওয়াজিবে কিফায়া। প্রতি মাসেই মুসলমানদের জন্য রয়েছে বিশেষ বিশেষ কিছু দিন এবং রাত। আর সে কারণে চাঁদ না দেখে মনগড়া তারিখে আরবী মাস শুরু করা কবীরা গুনাহ।
এখানে একটি বিষয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে, প্রতি মাসেই চাঁদ তালাশ করা ওয়াজিবে কিফায়া। কিন্তু সঠিক তারিখে মাস শুরু করা ফরয। কেননা সঠিক তারিখে মাস শুরু না হলে অনেক ফরয-ওয়াজিব ইবাদত পালনে ত্রুটি হবে। যেমন রোযা, হজ্জ, দুই ঈদের নামায ইত্যাদি। কাজেই প্রতি মাসে নতুন চাঁদ তালাশ করা সম্মানিত শরীয়তে ওয়াজিবে কিফায়া। আর চাঁদ না দেখে মনগড়া তারিখে রোযা শুরু করা ও ঈদ করা কঠিন কবীরা গুনাহ।
সউদী ওহাবী সরকারের বানানো মনগড়া ক্যালেন্ডারের অনুসরণের কারণে প্রতি বছর পবিত্র হজ্জ বাতিল হচ্ছে, রোযা নষ্ট হচ্ছে, ঈদ বাতিল হচ্ছে। সউদী আরব ছাড়াও অনেক মুসলিম দেশেও চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু হচ্ছে না। চাঁদের তারিখ হের-ফের করে সহজেই মুসলমানদের আমল নষ্ট করা যায়। তাই মুনাফিকদের সাথে নিয়ে কাফির-মুশরিকরা সারা বিশ্বে চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করার সম্মানিত শরীয়ত উনার পদ্ধতির পরিবর্তে তাদের বানানো পদ্ধতি চাপিয়ে দিচ্ছে। এ ব্যাপারে এখনও বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম দেশের মুসলমান উদাসীন। মুসলমানদের আমল হিফাজতের জন্য, সচেতনতার জন্য আমাদের দেশে এবং বিদেশে চাঁদ দেখে সঠিক তারিখে আরবী মাস শুরু করার অভিপ্রায় নিয়ে তৈরি করা হয়েছে আন্তর্জাতিক চাঁদ দেখা কমিটি “রুইয়াতে হিলাল মজলিস”।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ছবি তোলা হারাম, যা জাহান্নামী হওয়ার কারণ
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সকল কাফিররাই মুসলমানদের প্রকাশ্য শত্রু
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৫)
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৪)
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১৩)
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ঈমানদীপ্ত ঐতিহ্য (৪৭)
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)