যে ১০টি প্রাণীর বিচিত্র সব বৈশিষ্ট্য অবাক করে (৩)
, ১৮ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৫ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ০৪ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ১৯ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পাঁচ মিশালী
৮. কুমির:
পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি চোয়ালের জোর আছে যে প্রাণীর সেটি হল কুমির। বিশেষজ্ঞরা বলছে, কুমিরের চোয়াল দুই হাজার কিলোগ্রাম শক্তিতে তার শিকারকে ঘায়েল করে।
আর একবার চোয়াল খুলে বন্ধ করতে তার সময় লাগে মাত্র ৫০ মিলি সেকেন্ড। অর্থাৎ চোখের পলক ফেলার চেয়ে ছয় গুণ দ্রুত।
অথচ কুমিরের পুরো শরীর বিশেষ করে তার চোয়াল ভীষণ সংবেদনশীল। মানুষের আঙ্গুলের আগার চাইতেও ১০ গুণ বেশি।
এই সংবেদনশীল শরীরের সাহায্যে কুমির স্থির পানিতে ২০ মিটার দূরে তার শিকারের অবস্থান টের পায়।
এছাড়া পানির নীচে কুমির তার কান ও নাকের ছিদ্র বন্ধ রাখতে পারে। পানি থেকে রক্ষায় চোখের ওপরে থাকে আলাদা একটি পর্দা। তাছাড়া কুমিরের পাকস্থলী পাথরও হজম করতে পারে।
৯. ডলফিন:
পৃথিবীতে যতো ডলফিন আছে তাদের প্রত্যেকের আলাদা আলাদা নাম বা সিগনেচার শব্দ রয়েছে। সেই শব্দ দিয়ে তারা নিজেদের পরিচয় দেয়। এছাড়া ডলফিনের সবচেয়ে বড় দক্ষতা হল এরা তুখোড় বুদ্ধিমান। সেইসাথে তারা দলবেঁধে সফলভাবে শিকার করে।
ডলফিনের মস্তিষ্কের সেরিবেলাম এবং সেরেব্রাল কর্টেক্স দুটি অংশ বেশ উন্নত। এ কারণে ডলফিন দূর থেকে শিকারের অনুসন্ধান, পরিকল্পনা, সিদ্ধান্ত গ্রহণের মতো বিভিন্ন জটিল কাজ সম্পন্ন করতে পারে।
ডলফিন মাছ ধরে ধরে শিকার করে না। বরং তারা এক ঝাঁক মাছকে ফাঁদে ফেলে। প্রথমে দূর থেকে তারা মাছের ঝাঁকের অবস্থান শনাক্ত করে, তারপর পানিতে লেজের ঝাপটা দিয়ে কাদা তুলে একটি প্রাচীরের মতো তৈরি করে।
এতে মাছের ঝাঁক কাঁদার ঘোলা পানি দেখে বিভ্রান্ত হয়ে আটকা পড়ে আর লাফাতে থাকে। আর ডলফিন একের পর এক মাছ খেতে থাকে।
১০. শিকারি পাখি:
শিকারি পাখিদের নখরযুক্ত এই পা’কে বলা হয় ট্যালন। পাখিরা তাদের শিকারের প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ এই ট্যালনের সাহায্যেই ধরে থাকে। শিকার ধরার সময় নখরগুলো অনেকটা মাছ ধরা বড়শির মতো কাজ করে।
ট্যালনের নীচে থাকা প্রেশার সেনসিটিভ প্যাড এবং স্পাইক পিচ্ছিল শিকারকেও শক্তভাবে আঁকড়ে রাখতে পারে। এবং একবার ট্যালনে শিকার বিঁধলে সেটি একদম লক হয়ে যায়।
এতো দূর থেকে শিকারি শনাক্ত করতে তারা কাজে লাগায় তীক্ষè দৃষ্টি শক্তি। শিকারি পাখিরা একই সময়ে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রকে ফোকাস করতে পারে।
সেইসাথে শক্তি যোগায় তাদের গতি। একটি পেরিগ্রিন ফ্যালকন ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার গতিতে শিকারকে ঘায়েল করে। এজন্য আগে তারা ওপরে উঠে শিকার শনাক্ত করে। তারপর ডানা গুটিয়ে জেট প্লেনের মতো শো করে নীচে নেমে শিকার ধরে তারপর ডানা মেলে নিয়ে যায়।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
স্বর্ণের হিসাব নিকাশ করার নিয়ম এবং খাটি স্বর্ণ চিহ্নিত করার উপায়
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ লিথিয়ামের দখল নিতে জোর দিচ্ছে চীন
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিস গণনা করে রডের ওজন বের করার নিয়ম
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
২০৪৬ সালে পৃথিবীর পাশ দিয়ে যাবে নতুন গ্রহাণু
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আঙুর ভেবে মনাক্কা খাচ্ছেন না তো?
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অন্য গ্রহে ঝলসে উঠল বিদ্যুতের আলো, দেখে ফেলল নাসার যান!
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
শরীরের গন্ধ চিনে কামড়ায় মশা
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আমড়া খেলে মিলবে যে ১০ উপকার
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বাংলার মুসলিম স্থাপত্যের স্বরূপ সন্ধান
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
কেমন দেশ গাম্বিয়া?
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মানুষের গোশত খাওয়া নিয়ে পৈশাচিক ঘটনা!
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ক্যানসার দূরে রাখে গাজরের জুস! ডায়াবেটিসও থাকে বশে
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)