মন্তব্য কলাম
যেদেশে জনগণকে সব ক্ষমতার উৎস ধরা হয়, সেদেশের জনগণ থেকে ভেজালশূন্যতা আশা করা যায় না। সেদেশে সর্বত্রই ভেজাল, এমনকি মশলাতেও ভেজাল পাওয়া যাবে- এটাই স্বাভাবিক। গণতান্ত্রিক আইন দ্বারা ভেজাল রোধ করা সম্ভব নয়।
, ২৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মন্তব্য কলাম

পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস প্রায় শেষ হতে চলছে। ঘনিয়ে আসছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এ বছরের জন্য দেশের ৯৮ ভাগ অধিবাসী মুসলমানদের মধ্যে দিন দিন বিস্তারিত হচ্ছে ঈদ উৎসবের আমেজ। চলছে ভালো খাওয়া-দাওয়ার প্রস্তুতি। প্রায় ৪০ কোটি মুসলমানের দেশে পবিত্র ঈদের মসলার বাজারও অনেক বড়। কিন্তু এ মসলা কীভাবে তৈরি হচ্ছে তার খবর কী আমরা রাখি।
বিভিন্ন ঘাসের বীজ, চাল ও ডালের গুঁড়া, ধানের তুষে রঙ মিশিয়ে এসব মসলা তৈরি ও বিক্রি করা হয়। রাজধানী ঢাকার কারওয়ান বাজার, শ্যামবাজার, মৌলভীবাজার, মিরপুর, টঙ্গী এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের মসলা তৈরির কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় ঘাসের বীজের সঙ্গে রঙ মিশিয়ে ভেজাল গুঁড়া মসলা তৈরির কার্যক্রম হাতেনাতে ধরা পড়ে। এতে দেখা যায়, ঘাসের বীজ বা কাউন যা পাখির খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তা ভেজাল মসলার মূল উপকরণ। ঘাসের বীজ গুঁড়া করে ক্ষতিকর রঙ মেশানো হয়। এতে লাল রঙ মেশালে তৈরি হয়ে যায় মরিচের গুঁড়া। আর হলুদ রঙ মেশালে একই গুঁড়া হয়ে যাচ্ছে হলুদের। এর সঙ্গে কিছু পচা কাঁচামরিচ শুকিয়ে দিলে মরিচের গুঁড়ায় হাল্কা ঝাল হয়। আর নকল হলুদের গুঁড়ায় কিছু আসল হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে দিলে কেউ ভেজাল মসলা হিসেবে আর চিহ্নিত করতে পারেন না। গরম মসলা গুঁড়ায় মেশানো হচ্ছে কয়লা। প্যাকেটজাত হয়ে তা ঠাঁই নিচ্ছে ভোক্তার রান্নাঘরে। মরিচ, হলুদ ও মসলার নামে বিক্রি হওয়া এ ভেজালসামগ্রী মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে ভোক্তাদের জন্য।
জানা গেছে, ১৫ বছর ধরে কয়েকটি গোষ্ঠী এই ভেজাল মসলার গুড়া তৈরী করছে। গভীর রাতে রঙ মেশানোর কাজ করা হয়। তৈরি ভেজাল গুঁড়া মসলার বেশিরভাগই বিক্রি হয় ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। অধিক লাভের আশায় বাইরের পার্টি এসে এখানে ভেজাল মসলার অর্ডার দেয়। আসল হলুদ ও মরিচের গুঁড়া ২৫০ টাকা কেজি হলেও ভেজাল এ মসলার গুঁড়া মেলে ১৩০ টাকায়। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী কারওয়ান বাজারের সব কারখানায় এভাবেই ভেজাল দেয়া হয়।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগরীসহ আশপাশের উপজেলায় মরিচ-হলুদ-মসলা তৈরির ১৫০টির মতো মিল রয়েছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের অনুমোদন আছে মাত্র ৩৫টির। পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে মিলগুলোয় চলছে ভেজাল মরিচ, হলুদ ও গুঁড়া মসলা উৎপাদনের উৎসব।
চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জ এলাকা থেকে প্রাপ্ত সংবাদে জানা যায়, রাজাখালীর শান্তি মিয়ার গলির এক মরিচের মিলে দুটি মেশিনে চলছে ভেজাল মরিচ ও হলুদের গুঁড়া তৈরির কাজ। রঙ, বোম্বাই মরিচ ও ধানের কুঁড়া গুঁড়া করার পর এসব উপাদান আনুপাতিকহারে মেশানো হয়। এরপর মিশ্রিত ভেজাল গুঁড়া প্যাকেজিং কারখানায় নিয়ে প্যাকেট করে বাজারে ছাড়া হয়। জানা যায়, প্রতিদিন এক থেকে দেড় টন মরিচ-হলুদ-গরম মসলা প্রস্তুত করার সক্ষমতা আছে এ মিলটির। তবে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী, মাসে ১০-১৫ টন উৎপাদন করে তারা। একই এলাকায় অন্যান্য মরিচের মিলেও প্রতিদিন এক থেকে দেড় টন মরিচের গুঁড়া উৎপাদন হয় বলে জানা যায়।
রাজধানীর পাশাপাশি, চট্টগ্রামের শহর-বন্দর-নগরের বাজারগুলোতে চলছে ভেজাল হলুদ মরিচের গুঁড়া বিক্রির মহোৎসব। ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকির পাশাপাশি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ক্রেতাসাধারণ। এদিকে বরিশাল নগরীর হাটখোলাসহ অলিগলিতেও গড়ে উঠেছে অসংখ্য হলুদ মরিচ ভাঙ্গানোর মিল। এই সকল মিল মালিকদের সাথে বিভিন্ন শ্রেণীর পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে নির্দিষ্ট একটি সময় ওই সকল ভেজাল মাল ভাঙ্গাবার জন্য মিলমালিকরা দুপুরে অথবা রাতে ভেজাল হলুদ মরিচের গুঁড়া করে থাকে বলে জানা যায়।
আরেক অনুসন্ধানে জানা গেছে, মরিচের গুঁড়া তৈরি করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় অত্যন্ত নিম্নমানের মরিচ। ওই মরিচের সাথে অর্ধেক পরিমাণে আতপ চাল বা কোনো ক্ষেত্রে চালের কুঁড়া মিশিয়ে গুঁড়া করা হয়। একই সাথে মরিচের রং উজ্জ্বল করার জন্য ব্যবহার করা হয় হাজার পাওয়ারের লাল রং। একইভাবে হলুদের সাথে অর্ধেক বা তার চেয়ে কম বেশি পরিমাণে মেশানো হয় আতপ চাল বা চালের কুঁড়া। হলুদের রংয়ের উজ্জ্বলতা আনার জন্য ব্যবহার করা হয় সরিষা ফুলের রং। এই সব মরিচ ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে তরকারী রান্না করার পরে দেখা যায় তরকারী অনেক বেশি লাল রং হয়েছে এবং রান্নার পরে নিচে তলানী জমে। এর কারণে তরকারী স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়।
এই সব ভেজাল হলুদ মরিচের গুঁড়া কম দামে দোকানদারদের প্রতি আস্থা রেখে ক্রয় করে এলাকাবাসী। ফলে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি যারা এই ভেজাল মসলা খায় তারা স্বাস্থ্যের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। রং মিশ্রিত ভেজাল হলুদ ও মরিচের গুঁড়া নিয়মিত ব্যবহার করায় ক্যান্সারসহ মারাত্মক রোগের কারণ হতে পারে বলে চিকিৎসকগণের অভিমত। ভেজাল মসলায় রান্নাকৃত খাদ্য খেলে পেটের পীড়া, লিভার ও কিডনীর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে বলে চিকিৎসকরা জানায়। এমনকি ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
মূলত, ভেজাল পণ্য উৎপাদন ও বিপণনের সঙ্গে জড়িত শক্তিশালী সিন্ডিকেট চক্রের অপতৎপরতা রোধে সরকারিভাবে প্রয়োজনীয় কোনো উদ্যোগ নেই। কালেভদ্রে ভেজালবিরোধী অভিযানে ভেজাল মিশ্রণকারীরা গ্রেফতার হয়। কঠিন আইন না থাকায় আইনের ফাঁক গলিয়ে জামিনে বের হয়ে আবার তারা ভেজাল মিশ্রণের কাজে নেমে পড়ে। ভেজাল বাণিজ্য রোধে সরকারিভাবে কঠোর আইন প্রণয়ন, ব্যবসায়ীদের নৈতিক মানসিকতা সৃষ্টি ও সর্বোপরি মানুষের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টি প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, আমরা মনে করি যে- শুধু আইনের বল প্রয়োগেই এ ভেজাল প্রবণতা রোধ করা যাবে না। কারণ মানুষের তৈরি আইনের গোলকধাঁধায় মানুষ সহজেই পার পেয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে অত্যাবশ্যকীয় হলো- মানুষের সৃষ্টিকর্তা খালিক্ব মালিক রব আল্লাহ পাক উনার প্রতি অনুগত হওয়া ও উনার ভয় লালন করা এবং এ সম্পর্কিত মূল্যবোধ ও চেতনা জাগ্রত করা।
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার পরিভাষায় বান্দা হিসেবে প্রত্যেককে দুটি হক্ব আদায় করতে হয়। একটি হলো ‘হক্কুল্লাহ্্’। যার অর্থ হলো- মহান আল্লাহ পাক উনার হক্ব। যথা- পবিত্র নামায, পবিত্র রোযা, পবিত্র হজ্জ, পবিত্র যাকাত ও আনুষাঙ্গিক ফরয, ওয়াজিব, সুন্নত ইত্যাদি বিষয়। অপরটি হলো- ‘হক্কুল ইবাদ’ বা বান্দার হক্ব। অর্থাৎ কোনো বান্দার প্রতি অপর বান্দার যে হক্ব রয়েছে তা যথাযথভাবে আদায় করা বা নষ্ট না করা। যেমন কোনো দোকানির কাছ থেকে জিনিস কেনা বা কোনো খাদ্য বিক্রেতার কাছ থেকে খাদ্য কেনা হলে সেক্ষেত্রে বিক্রেতা যদি তা যথাযথভাবে বিক্রি না করে অর্থাৎ যদি কোনো ভেজাল বা পঁচা খাদ্য বা জিনিস বিক্রি করে বা মাপে কম দেয়, তাহলে তাতেও হক্কুল ইবাদ বিশেষভাবে নষ্ট হয়। কারণ এতে যত বান্দা সে ভেজাল খাবার খাবে, তাতে তাদের মস্তিষ্ক, চোখ বা অন্য কোনো অঙ্গ-প্রতঙ্গ বা গোটা দেহের যত ক্ষতি হবে এবং সে কারণে আরো যত ক্ষতি হবে সব ক্ষতির দায়ভার বর্তাবে ওই ভেজাল বিক্রেতার উপর।
আবার পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সবচেয়ে গরীব কে? অতঃপর তিনি বলেন, সবচেয়ে গরীব ওই ব্যক্তি- যে ক্বিয়ামতের দিনে পাহাড় পরিমাণ নেকি নিয়ে উঠবে। মানুষ মনে করবে সে নিশ্চিত জান্নাতী। কিন্তু এরপর তার একের পর এক পাওনাদাররা আসবে। যাদের হক্ব সে নষ্ট করেছে। তখন তার নেকী দ্বারা তাদের সে হক্ব আদায় করা হবে। এরপরও বাকি থেকে যাবে। তখন পাওনাদারদের গুনাহ তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে। কিছুক্ষণ পূর্বে যে ব্যক্তি ছিল নিশ্চিত জান্নাতী এখন সে ব্যক্তি হয়ে পড়বে নিশ্চিত জাহান্নামী। ” পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এ ব্যক্তিকেই সবচেয়ে গরীব বলা হয়েছে।
মূলত, আজকের যুগে ধর্মব্যবসায়ী তথা উলামায়ে ‘সূ’দের প্রাদুর্ভাব থাকায় এহেন পবিত্র ইসলামী চেতনা কারো মাঝে নেই বললেই চলে। বরং উলামায়ে ‘সূ’রাও যেভাবে অসততায় আর দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়েছে- তা দেখেই ভেজালকারী ও দুর্নীতিবাজরা আরো সাহসী ও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তার পরিণতিতেই সারাদেশব্যাপী এত ভেজাল আর দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খাছ সুন্নতী ওয়াক্ত মুতাবিক রাজারবাগ শরীফ সুন্নতী জামে মসজিদ-এ দেশের সর্বপ্রথম ঈদুল ফিতর উনার জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৬:৩০ মিনিটে
৩০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দেশে কয়েক বছরে ধনী-গরীব বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছে পুঁজিবাদী অর্থ ব্যবস্থায় জাতীয় সম্পদ কুক্ষিগত হচ্ছে গুটিকয়েক ব্যক্তির হাতে ধনী গরীব বৈষম্য দূরীকরণে যাকাত ব্যবস্থাই একমাত্র সমাধান
২৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ : কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ধারণা ও ক্বিয়ামতের তথ্য
২৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সুন্দরবনে ২২ বছরে ৩২ বার অগ্নিকা- সুন্দরবন ধ্বংসে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত চলছে আমাদের পরম প্রয়োজনীয় সুন্দরবন, এই সুন্দরবন বাঁচলে বাংলাদেশ ভালো থাকবে ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের ফুসফুস সুন্দরবনকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ
২৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন
২৩ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে নাটক-সিনেমা করা ও দেখা হারাম- ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র তা মানে না। ভারতীয় অপরাধমূলক টিভি সিরিজ দেখে হত্যা, ব্যাংক ডাকাতি, পরকিয়ার মতো অপরাধ আয়ত্ত্ব করছে দেশবাসী। কিন্তু নাটক-সিনেমার ভয়াবহ কুফল রাষ্ট্র অস্বীকার করতে পারছে না। ডিশ এন্টেনার প্রসারে হিন্দি সিরিয়ালের কুপ্রভাবে দেশ জাতি বিপর্যস্ত।
২২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজীবন ইসকন সদস্য, সমকামী প্রবক্তা, নিজ দলে বিতর্কিত, মুসলিম বিদ্বেষী হিসেবে চিহ্নিত এবং মুসলিম বিদ্বেষী কট্টর মোদী ও আর.এস.এম-এর এজেন্ট হিসেবে চিহ্নিত, জঘণ্য “উগ্রবাদী জাতি হিন্দু তুলসী” মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান হওয়ার সুবাদে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সে তার ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষ চরম মাত্রায় প্রকাশ করেছে। অথচ ভারতে মুসলমানদের কচু কাটা এবং দ্বীন ইসলাম পালনে চরম নির্যাতন চালানো হলেও তুলসী মহা নিশ্চুপ রয়েছে। তাদের পৈশাচিক দৃষ্টিতে, মুসলমানের কোন মানবাধিকার থাকতে নেই।
২১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
একদিন বাড়তি নিলেই এবার ঈদের ছুটি হয় টানা নয় দিন। তবে এবারের ঈদে ছুটি ১১ দিনও সম্ভব উল্লেখ্য নির্বাহী আদেশে নয় সাংবিধানিক ভাবেই রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার এদেশে পবিত্র ঈদ উনার ছুটি কমপক্ষে ১৫ দিন হওয়া উচিত।
২০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
১৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাড়ছে পরকীয়া, বাড়ছে তালাক সমাজে বাড়ছে কলহ-বিবাদ, শিথিল হয়ে পড়ছে পারিবারিক বন্ধন দ্বীনী মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বৈরিতাই এর মুখ্য কারণ।
১৮ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
তিস্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীন এগিয়ে আসায় এবার ভারত নূতন রূপে বিরোধীতায় মেতেছে ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে জনৈক উপদেষ্টার কুখ্যাত পরিবেশবাদী সংগঠন থেকে আরম্ভ করে অখ্যাত রাম-বাম পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো এখন তিস্তা পরিকল্পনার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে
১৭ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
রাষ্ট্রীয় আইন এবং সরকারী প্রচেষ্টায় স্বাধীনতা উত্তর আজ পর্যন্ত মজুদদারি, মুনাফাখোরী, দুর্নীতি, মাদক, অবক্ষয় দূর হয়নি আর দূর হবেও না। এসবে ব্যর্থ প্রশাসনকে তাই সফলতার জন্য দ্বীন ইসলাম উনার আলোকে আহবান আর সতর্কীকরণের কাছেই সমর্পিত হতে হবে। ইনশাআল্লাহ! ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবন ঘটাতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
১৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)