যারা জীবিত আছে, তাদের দায়িত্ব হলো- মুসলমানদের পক্ষে দো‘আ করা। কাফেরদের বিরুদ্ধে কঠিন বদ দো‘আ করা
, ০৬ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৮ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ১৭ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ০৩ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
এখন কে দো‘আ করে? কেউ তো দো‘আ করে না। তাহলে দো‘আ করতে হবে। বুঝতে পারলে? এখন যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনি তো উনারটা করবেনই, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনিও উনারটা করবেন। কিন্তু এখন তাহলে উম্মত কি করলো? তাহলে উম্মত এখন যারা জিন্দা আছে, তাহলে তাদের দায়িত্ব দো‘আ করা। এখন তাহলে দো‘আ করতে হবে বেশি বেশি। আমরা তো এখন দো‘আ করলাম। তোমরা রাত্রেও দো‘আ করবে। কাফির মুশরিকগুলির বিরুদ্ধে বদ দো‘আ করবে আর মুসলমানদের জন্য দো‘আ করবে। এটা মনে রাখবে। বিষয়টা কিন্তু সুক্ষ্ম বিষয়, কঠিন বিষয়।
এখন অনেক বিষয় আমরা বলি। অনেকটা প্রকাশ করি, অনেকটা করি না। যেটা প্রয়োজন মনে করি সেটা প্রকাশ করি। আর যেটা প্রয়োজন মনে করি না সেটা প্রকাশ করি না। হয়তো তোমাদের বুঝতে অসুবিধা হবে।
তবে এই বিষয়টা বুঝতে সহজ হওয়া কথা। বদরের জিহাদে তো কঠিন একটা পরিস্থিতি ছিলো। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মুসলমানদের পক্ষে দো‘আ করেছেন। আর কাফেরদের বিরুদ্ধে বদ দো‘আ করেছেন, তারা ধ্বংস হয়ে গেছে।
তাহলে এখন দোয়া করবে কে? এখন তো দো‘আ করা দরকার। এখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তো সবসময় উম্মতের জন্য দো‘আ করেনই। এখন যারা জীবিত আছে, তাদের দায়িত্ব হলো- মুসলমানদের পক্ষে দো‘আ করা। আর কাফেরদের বিরুদ্ধে কঠিন বদ দো‘আ করা। এটা মনে রাখবে। তোমরা স্বরণ রেখো এই কথাগুলি। বিষয়গুলো কিন্তু কঠিন। তাহলে যদি কামিয়াবী হাছিল করা যায়। এখন সব কিছুর মূল হলো- রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করা। তারা তো উম্মত। এখন গাজাবাসী হোক, হামাসবাসী হোক, আর ইয়ামেনবাসী হোক। এরা তো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত। উনার উম্মতের কষ্ট হোক উনি এটা বরদাশত করবেন? করবেন না। তাহলে উম্মতের কি দায়িত্ব? এই মুসলামনদের জন্য বিশেষ করে, খাছ করে দো‘আ করা এবং এই শত্রুগুলি কাফেরদের জন্য কঠিন বদ দো‘আ করা। এটা মনে রাখবে। এটা রেযামন্দি-সন্তুষ্টি হাছিলের বিশেষ একটা মাধ্যম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
উম্মতের জন্য দো‘আ করলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি খুশি হন। আর বন্দা-বান্দীদের জন্য দো‘আ করলে যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি খুশি হন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এটা মনে রাখবে। এটা কিন্তু সুক্ষ্ম বিষয়। এগুলি তো মানুষ বুঝে না। যার জন্য মানুষ এগুলি আমল করতে পারে না। এটা মনে রাখবে। আমরা যেগুলি বলি, সেগুলে শুনে সে অনুযায়ী আমলের চেষ্টা করবে। তাহলে কামিয়াবী হাছিল করবে। অন্যথায় চক্ষু বন্ধ হলে তো এগুলি করার সুযোগ থাকবে না। চক্ষু খোলা থাকতেই সব করে নিতে হবে। যতোটুকু করা হলো, ততোটুকুই থাকলো। আর যেটা করা হলো না, সেটা থাকবে না। এটা মনে রাখতে হবে।”
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ছবি তোলা হারাম, যা জাহান্নামী হওয়ার কারণ
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সকল কাফিররাই মুসলমানদের প্রকাশ্য শত্রু
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৫)
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৪)
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১৩)
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ঈমানদীপ্ত ঐতিহ্য (৪৭)
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)