মন্তব্য কলাম
যথাযথ পদক্ষেপ নিলে ইনশাআল্লাহ আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের প্রথম ধনী দেশ। এক উত্তারাঞ্চলের খনিজ উত্তোলন করলেই গোটা দেশের চেহারা পাল্টে যাবে। সরকারের নিষ্ক্রিয়তা বরদাশতযোগ্য নয়।
, ১২ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২০ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ১৮ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ০৩ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মন্তব্য কলাম
২০৩২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের বড় ২৫টি অর্থনীতির দেশের একটি হবে। তখন বাংলাদেশ হবে ২৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। বর্তমানে অবস্থান ৪১তম। ২০৩৩ সালে আমাদের পেছনে থাকবে মালয়েশিয়া, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশ। যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (সিইবিআর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত আমরা মনে করি, এ প্রতিবেদন যথার্থ নয়। বরং বাংলাদেশের সব সম্পদ যথাযথভাবে কাজে লাগলে ইনশাআল্লাহ আগামী ৫ বছরেই বাংলাদেশ হবে বিশ্বের প্রথম ধনী দেশ।
উল্লেখ্য, এক উত্তরাঞ্চলের খনিজ সম্পদ উত্তোলন করলেই দেশের চেহারা পাল্টে যেতে পারে। হাজার হাজার বছর ধরে উত্তরাঞ্চলে মাটির নিচে লুকিয়ে রয়েছে কয়লা, বিটুমিন, পাথর, চুনাপাথর, লোহা। রংপুর, দিনাজপুর ও জয়পুরহাটের বিভিন্ন অঞ্চলে অনুসন্ধান এই সম্পদগুলোর খনি আবিষ্কার করা হয়। হাজার-লক্ষ-বিলিয়ন ডলার মূল্যের এসব সম্পদ উত্তোলন করে কাজে লাগানো এখন সময়ের দাবি। মাটির নিচে থাকা এই সব সম্পদ ব্যবহার করলে দেশ হবে আরো সম্পদশালী। খনিজ সম্পদগুলো উত্তোলনে দেশের অর্থনীতি’র চেহারা পাল্টে যাবে। উত্তরাঞ্চলের মানুষের দাবি মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা ওই সম্পদগুলো তুলে কাজে লাগানো হোক। খনিগুলো থেকে ‘সম্পদগুলো’ উত্তোলনে একদিকে হাজার হাজার কর্মসংস্থান হবে; অন্যদিকে দেশের অর্থনীতি উঠবে নতুন উচ্চতায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দিনাজপুর জেলাতেই পাশাপাশি অবস্থিত তিনটি এবং রংপুর জেলার ১টিতে পার্মিয়ান যুগের গন্ডোয়ানা কয়লার অস্তিত্ব আবিষ্কার হয়েছে। খনি অনুসন্ধানের পর উত্তরের অপার সম্ভাবনাময় খনিজ সম্পদ সম্পর্কে সকলেই ওয়াকিবহাল। কিন্তু তারপরও বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি ও মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্প ছাড়া অন্যান্য খনিজ সম্পদ আহরণে কোন উদ্যোগ ও কার্যক্রম দৃশ্যমান হচ্ছে না। অথচ উত্তোলন কার্যক্রম শুরু না হতেই এশিয়া এনার্জি’র মত বিদেশি কোম্পানি ফুলবাড়ী কয়লা খনি দেখিয়ে বিদেশের শেয়ার মার্কেট থেকে কোটি কোটি ডলারের ব্যবসা করে যাচ্ছে। আবিষ্কারের পর কয়েক যুগ ধরে পড়ে থাকা খনিজ সম্পদগুলো উত্তোলনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করার পিছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কি না এ নিয়েও গুঞ্জন রয়েছে সচেতন মহলে। কেননা ভূ-গর্ভস্থ এসব মহামূল্যবান খনিগুলোর অবস্থান সীমান্ত সংলগ্ন বিস্তৃত এলাকাজুড়ে। প্রসঙ্গত, সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকারে উত্তরাঞ্চলের খনিজ সম্পদ উত্তোলন করে এ অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন আনার কথা ছিল। আর এ কারণেই মাটির নিচে পড়ে থাকা এসব সম্পদ উত্তোলন ও ব্যবহারে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ এখন সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উত্তরাঞ্চলের দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলায় রয়েছে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি এবং মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি, ফুলবাড়ী উপজেলায় রয়েছে ফুলবাড়ী কয়লা খনি, নবাবগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে দিঘিপাড়া কয়লা খনি, রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে খালাশপীর কয়লা খনি, জয়পুরহাট জেলা সদরে রয়েছে- চুনা পাথর খনি এবং জামালগঞ্জে কয়লা খনি। এছাড়াও সাম্প্রতিককালে দৃশ্যমান হওয়া হাকিমপুর (হিলি) উপজেলায় লৌহ খনির ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের (জিএসবি) বিশেষজ্ঞরা। তবে এসকল খনির মধ্যে উৎপাদনে রয়েছে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি এবং মধ্যপাড়া পাথর খনি।
খবরে প্রকাশ, দেশের উত্তরাঞ্চলে লৌহ খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। দুঃখের বিষয় প্রায় ৪৫ বছর আগে এই খনির সন্ধান পাওয়া গেলেও আজ পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানার পানেরহাট ও মিঠাপুকুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ভেলামারী পাহাড়ে এই খনির অবস্থান জানা গেছে, এখানে প্রাপ্ত লৌহা খুবই উন্নতমানের। এলাকার প্রবীণ অধিবাসীরা এ সম্পর্কে জানান, ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর স্যাটেলাইট চিত্রের মাধ্যমে লৌহার অস্তিত্ব অনুমান করে বিমানযোগে প্রায় চার বর্গমাইল এলাকা জরিপ করা হয়। পরবর্তীতে খনিজ বিভাগের লোকজন এসে সরেজমিনে প্রাথমিক জরিপ চালায়। কয়েকটি স্থানে পাইপ বসানো হয়। পাইপের মাধ্যমে মৃত্তিকা অভ্যন্তরে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ফলে লৌহার সন্ধান পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ১৯৬৭ সালে বিদেশে বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় ব্যাপক অনুসন্ধান পরিচালনা করা হয়। অনুসন্ধান শেষে বিশেষজ্ঞরা জানান যে, প্রাপ্ত লৌহা খুবই উন্নতমানের। তবে উত্তোলনের জন্য আরও ২০-২৫ বছর প্রয়োজন। তাই তারা বিভিন্ন কূপের মুখ সিমেন্টের সাহায্যে বন্ধ করে দিয়ে চলে যান। সেই ২০-২৫ বছর সময় অনেক আগেই পার হয়ে গেছে।
প্রকাশ, লৌহখনিটি প্রায় ১০ বর্গকিলোমিটার এলাকাব্যাপী বিস্তৃত। মাটির ৯শ ফুট নিচে থেকে প্রায় ২২শ ফুট গভীর পর্যন্ত লৌহার অস্তিত্ব আছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, কর্তৃপক্ষের কোনো ধরনের নড়াচড়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। সকলেই জানেন, লৌহা অতিশয় মূল্যবান সম্পদ। বলতে গেলে আধুনিক বিশ্বের চালিকা শক্তি। তেল ও সোনার পরই লৌহার স্থান। লৌহার কল্যাণেই অনেক দেশ উন্নত ও উন্নয়নের শীর্ষে পৌঁছেছে। কিন্তু আমরা লৌহার সন্ধান পাওয়ার পরও যেন নিরুপায় নিশ্চেষ্ট বসে আছি। কি পরিমাণ লৌহা আছে, কতটা উত্তোলনযোগ্য, কতদিন পর্যন্ত উত্তোলন করা যাবে এবং কিভাবে কাজে লাগানো যাবে, এসব ব্যাপারে কোনো উচ্চবাচ্য নেই। জরিপ বা পরিসংখ্যানের নেই কোনো আয়োজন। দুঃখের বিষয়, এসব ব্যাপারে কাউকে মাথা ঘামাতে দেখা যাচ্ছে না।
আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে এই যে আচরণ, তা কোনোভাবেই বরদাশতযোগ্য হতে পারে না। আমরা আশা করবো, যতদূর সম্ভব আধুনিক প্রযুক্তি ও কলাকৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের ব্যবস্থা ও তা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কাজে লাগানোর যাবতীয় ব্যবস্থা নেয়া হোক। বিশেষ করে রংপুরে আবিষ্কৃত লৌহার খনির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কালবিলম্ব না করে তা আহরণের যাবতীয় ব্যবস্থা সম্পন্ন করবে। এ ব্যাপারে আর কোনো শৈথিল্য জাতি কামনা করে না।
মূলত সব সমস্যা সমাধানে চাই সদিচ্ছা ও সক্রিয়তা তথা সততা। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন নেক ছোহবত মুবারক, নেক সংস্পর্শ মুবারক তথা রূহানী ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ মুবারক।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আইনের দৃষ্টিতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হলেও বাংলাদেশে লিভ টুগেদারের স্রোত শুরু হয়েছে। লিভ টুগেদার কালচার ঠেকানোর নৈতিক ভিত্তি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের নেই। লিভ টুগেদার সমাজে যে ভয়াবহ ক্রাইম তৈরী করছে তা প্রতিহত করতে ইসলামী অনুশাসনের বিকল্প নেই।
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বাজারে ভয়ংকর ঘন চিনি মিথ্যা ঘোষণায় আসছে আমদানি নিষিদ্ধ ঘন চিনি পুরুষত্বহানি, মূত্রাশয়ে ক্যান্সারের তথা জনস্বাস্থ্যের জন্য চরম ক্ষতিকর এই ঘন চিনি বন্ধে সরকারকে এখনি জিহাদ ঘোষণা করতে হবে
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ: সেবা পেতে ঘুষকে স্বাভাবিক মনে করছে দেশের সিংহভাগ মানুষ। বছরে ঘুষ গ্রহণের পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। ঘুষই সমাজে সব অভাব থেকে অনিয়মের মূল কারণ।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সমাজের স্রোত বা সময়ের সাথে আপোসকারীরা উলামায়ে হক্ব নয়। ইসলামী আহকাম ও আন্দোলন পদ্ধতি সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয় না। ইবনুল ওয়াক্ত নয়; কেবলমাত্র আবুল ওয়াক্ত উনারাই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ত্রাণকর্তা ও অনুসরণীয়।
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ডিজিটালাইজেশনের নামে শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। দেশের ইন্টারনেট জগতে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় শিশু-কিশোররা আক্রান্ত হচ্ছে অশ্লীলতায়। শিখছে অনৈতিকতা, বেহায়াপনা, হিংস্রতা।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রোগের খনি সাদা চিনি! বিপরীতে ব্র্যান্ডিং, যথাযথ প্রচারণার অভাবে অবহেলায় উপকারি দেশীয় লাল চিনি সরকারের উচিত, লাল চিনিকে বাজারসুলভ করে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখা।
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা গবেষণার দিকে আগ্রহী না হয়ে বিসিএস পরীক্ষায় আগ্রহী হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে তহবিল বা অর্থায়ন আসার প্রক্রিয়াটি সরকারের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগের মাধ্যমে সম্পন্ন হতে হবে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক স্থাপন হয়নি
২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
কাদিয়ানীদের মালিকানায় প্রাণ গ্রুপসহ বৃহৎ শিল্পগ্রুপগুলো দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে পথে বসানোর ষড়যন্ত্র করছে। অসম প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা। সরকারের আশু পদক্ষেপ কাম্য।
২৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার আলোকে- সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের কতিপয় ফযীলত মুবারক বর্ণনা
২৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও চরাঞ্চলের কোটি কোটি মানুষের ভাগ্যর উন্নয়ন হয়নি
২৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
অধিকাংশ টিকাই মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যুক্ত তথাকথিত করোনার টিকার ভয়াবহ ক্ষতি এখন সারা বিশ্বে বহুল আলোচিত
২৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
২৫০ বছর আগে আরব বণিকরা আবিষ্কার করেছিলেন নারিকেল দ্বীপ
২৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)