মোবাইল ফোন হাতে না থাকা যখন মানসিক অস্বস্তির কারণ
, ১৬ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৪ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ২২ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ০৭ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পাঁচ মিশালী
মোবাইল ফোনের হারিয়ে যাওয়ার ফলে, নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হবার ফলে কিংবা মোবাইল ফোনের চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার ফলে অনেকের মধ্যে বিশেষ কিছু লক্ষণ দেখা যেতে পারে। এসব লক্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ‘নোমোফোবিয়া’য় আক্রান্ত ব্যক্তি বলা যেতে পারে।
রোগটির দুই ধরনের লক্ষণ রয়েছে- মানসিক এবং শারীরিক। মানসিক কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে মোবাইল ফোন থেকে দূরে সরে গেলে হঠাৎ মনে ভয়, দুশ্চিন্তা কিংবা হতাশা ভর করা। হঠাৎ মোবাইল ফোন চোখের আড়ালে চলে গেলে আতঙ্কিত হয়ে যাওয়া। দীর্ঘসময় মোবাইল ফোন চালাতে না পারলে মানসিক চাপ অনুভব করা।
সাধারণত কোনো ভীতিকর পরিস্থিতিতে মানুষ যেসব শারীরিক লক্ষণ প্রকাশ করে থাকে, এই রোগের ক্ষেত্রেও সেগুলোই প্রকাশ পায়। যেমন- হঠাৎ কাঁপতে শুরু করা কিংবা স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস বাধাগ্রস্ত হওয়া। এছাড়াও জ্ঞান হারিয়ে ফেলা অথবা কোনো আবহাওয়াগত কারণ ব্যতিরেকে ঘামতে থাকাও এই রোগের শারীরিক লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম। মূলত, একজন আক্রান্ত মানুষের শারীরিক লক্ষণগুলো নোমোফোবিয়ার মানসিক পরিস্থিতির জন্য উদ্ভূত হয়ে থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মোবাইল ফোনের উপর অত্যধিক নির্ভরশীলতার ফলে একধরনের আসক্তি তৈরি হয় মানুষের মধ্যে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যুগ শুরু হওয়ার পর মোবাইল ফোনের উপর মানুষের আসক্তি চরমে ঠেকেছে। হঠাৎ যখন একজন মোবাইল ফোনে আসক্ত ব্যক্তি অনুধাবন করেন যে তিনি মোবাইল ফোন হারিয়ে ফেলেছেন কিংবা সেটি আর ব্যবহার করতে পারবেন না, স্বাভাবিকভাবেই তার মধ্যে বেশ কিছু মানসিক পরিবর্তন আসবে, যা তার জন্য অস্বস্তিকর।
এই রোগের পরিসংখ্যানগত দিকেও একটু চোখ বোলানো যাক। পুরো বিশ্বে বর্তমানে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা সাতশো কোটিরও বেশি। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় একানব্বই শতাংশ মানুষের মোবাইল ফোন রয়েছে। আমেরিকায় মোট মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর প্রায় ৬৬ শতাংশ ব্যক্তিই তাদের মধ্যে নোমোফোবিয়ার লক্ষণগুলো বিদ্যমান থাকার কথা স্বীকার করেছেন। বাসায় মোবাইল ফোন রেখে আসা ৫০ শতাংশ ব্যক্তি মানসিক অস্বস্তিতে ভুগে থাকেন। ৬৯ শতাংশ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী ঘুম থেকে উঠে কোনো কাজ করার আগে সবার প্রথমে মোবাইল ফোনে হাত দেন।
তরুণদের মাঝে এই রোগের লক্ষণগুলো সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে। চাইলে কিছু কৌশল অবলম্বন করে নিজের চেষ্টায়ও নোমোফোবিয়া থেকে দূরে থাকা যায়। গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোনে সময় না দেয়া, অল্প সময়ের জন্য বাসায় মোবাইল ফোন রেখে দিয়ে বাইরে অবস্থান করা, কিংবা দিনের একটি সময়ে সবধরনের প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকার মতো কাজগুলো নোমোফোবিয়া থেকে দূরে রাখতে পারে একজন মানুষকে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আমড়া খেলে মিলবে যে ১০ উপকার
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বাংলার মুসলিম স্থাপত্যের স্বরূপ সন্ধান
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
কেমন দেশ গাম্বিয়া?
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মানুষের গোশত খাওয়া নিয়ে পৈশাচিক ঘটনা!
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ক্যানসার দূরে রাখে গাজরের জুস! ডায়াবেটিসও থাকে বশে
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জ্বর কমাতে শিশুদের কতবার প্যারাসিটামল সিরাপ বা সাপোজিটরি দেওয়া যাবে?
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জাম্বুরা আসলে কতটা উপকারী
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মশারা মানুষকে ট্র্যাক করতে ব্যবহার করে ইনফ্রারেড
১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইন্দোনেশিয়ার বাঁশের মসজিদ
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আয়রনের ঘাটতি মেটায় গুড়ের শরবত
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মাথার কাছে মোবাইল রেখে ঘুমালে যা হয়
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বিশাল ভূগর্ভস্থ মহাসাগরের সন্ধান পেলো বিজ্ঞানীরা
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)