মৃত গাছগুলো এভাবে দাঁড়িয়ে আছে কেন?
, ১৮ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৭ ছানী, ১৩৯২ শামসী সন , ২৫জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ১০ শ্রাবণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পাঁচ মিশালী
জায়গাটি সম্পর্কে আগে থেকে ধারণা না থাকলে চমকে উঠবেন। চারপাশে বড় বড় সব বালিয়াড়ি। মাঝখানে সমতল জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে আশ্চর্যজনক সব গাছ। আরও পরিষ্কারভাবে বললে-গাছ নয়, গাছের কঙ্কাল। সবকিছু মিলিয়ে আপনার মনে হতে পারে পৃথিবীতে থেকেও এ যেন অন্য কোনো জায়গা।
আশ্চর্য এই জায়গার দেখা পেতে হলে যেতে হবে আফ্রিকার দেশ নামিবিয়ার নামিব-নাওকলাফত উদ্যানে। এর ভেতরের এই আশ্চর্য এলাকাটি পরিচিত ডেড ভ্যালেই নামে। শুনে হঠাৎ করে মার্কিন মুল্লুকের ডেড ভ্যালির সঙ্গে গুলিয়ে ফেলতে পারেন। তবে ডেড ভ্যালেই কিন্তু ভ্যালি বা উপত্যকা নয়। স্থানীয় ভাষায় ভ্যালেই অর্থ মার্শ। এখন অবশ্য এখানে পানির ছিটেফোঁটা না থাকলেও একসময় সেটার অভাব ছিল না।
লবণের আধার বা সল্টপেন সসেস ভ্যালেইয়ের কাছেই অবস্থিত ডেড ভ্যালেইয়ে ছড়িয়ে আছে কয়েক শ মৃত একাশিয়া গাছ। যখন সাওখাব নদীর পানি জমিটিকে ভিজিয়ে দিত, তখন তরতাজা ছিল গাছগুলো। মোটামুটি ৮০০-৯০০ বছর আগে নদীটি গতিপথ পরিবর্তন করলে জায়গাটি এমন শুষ্ক হয়ে পড়ে। ডেড ভ্যালেইকে ঘিরে আছে উঁচু উঁচু সব বালিয়াড়ি। এদের কোনোটির উচ্চতা ৩০০-৪০০ মিটার।
এখানে শক্ত কাদামাটি বা এঁটেল মাটির স্তর চোখে পড়বে। এগুলো তৈরির কারণটা জেনে নেওয়া যাক। সাওখাব নদী বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হওয়ার পর ছোট ছোট পানাশয়ের মতো জায়গা তৈরি হয়। আর মাটিতে প্রচুর পানি থাকায় ক্যামেল থর্ন বা একধরনের একাশিয়া গাছ জন্মায়। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় খরা দেখা দেয়। পানাশয়ের পানি যায় শুকিয়ে। এদিকে প্রভাব বিস্তার শুরু করে বালিয়াড়িগুলো। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে নদীর গতিপথও পাল্টে যায়। বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় পানি না পেয়ে গাছগুলোও শুকিয়ে যায়। অবশ্য ছোটখাটো কিছু গাছ ভোরের কুয়াশা ও বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভর করে টিকে যায়।
এখানকার শক্ত এঁটেল মাটির কারণে গাছের কঙ্কালগুলো পড়ে না গিয়ে নিজের জায়গায় শক্তভাবে আটকে থাকে তবে ওই একাশিয়া গাছগুলো পানির অভাবে মরে যায়। কিন্তু কথা হলো, এগুলো এখনো বহাল তবিয়তে দাঁড়িয়ে আছে কীভাবে? এর প্রধান কারণ দুটি। প্রথমটি, এখানে বাতাস এত শুষ্ক যে মৃত গাছগুলো প্রাকৃতিকভাবেই পচে যায় না। দ্বিতীয়ত, এখানকার এঁটেল মাটির জমি এত শক্ত যে গাছের কঙ্কালগুলো পড়ে না গিয়ে নিজের জায়গায় শক্তভাবে আটকে থাকে। আর শত শত বছর ধরে এভাবেই এরা আছে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বদলে যাচ্ছে রসায়নের শত বছরের পুরনো সূত্র
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাতাস থেকে সরাসরি পুষ্টি পেতে পারে মানবদেহ : গবেষণা
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
উৎপাদন বাড়াতে ছাঁটাই করা হয় চা গাছ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সর্দি-কাশি দূর করতে ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মধুর গুণাগুণ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সর্দি-কাশি দূর করতে ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মধুর গুণাগুণ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাংলাদেশের যে গ্রামের জনসংখ্যা চারজন!
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ডাবের পানি খেলে শরীরে কি হয়? ডাবের পানির উপকারিতা
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ধানের গোলা এখন কেবলই স্মৃতি
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
১০ হাজার ফুট ওপর থেকেও যেভাবে শিকার দেখতে পায় ঈগল
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ওজন আর রক্তচাপ কমায় বিটের রস! বাড়ায় স্মৃতিশক্তি
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবালের সন্ধান মিললো প্রশান্ত মহাসাগরে
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
স্ট্রবেরি খেলে শরীরে যা ঘটে
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)