মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ ইয়াতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিং যাকাত প্রদানের শ্রেষ্ঠতম ও একমাত্র স্থান
, ১৪ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৬ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ২৫ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ১১ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
১) ঈমানের বিশুদ্ধতা : বর্তমানে অত্র প্রতিষ্ঠান ছাড়া বিশুদ্ধ ঈমান দুনিয়ার আর কোথাও নেই। আক্বীদাগত প্রত্যেকটি বিষয়ই সম্মানিত আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার পূর্ণ অনুসরণে চলা হয়।
২) পরিপূর্ণ শরীয়তসম্মত আমল : শুধুমাত্র কিতাবে নয়, বাস্তবে মাথার তালু থেকে পায়ের তলা পর্যন্ত, সুন্নত পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ বাধ্যতামূলক। “আল্লাহওয়ালা” হওয়ার জন্য শরীয়ত ও তাসাওউফ উভয় প্রকার ইলম অর্জন করা বাধ্যতামূলক। ছাত্রদেরকে “আপনি” বলে সম্বোধন করা হয় । হরতাল, লংমার্চ, রাজনীতি, মৌলবাদ ইত্যাদি থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। যেহেতু হালাল স্পষ্ট, হারাম স্পষ্ট। তাই হালালকে হালাল এবং হারামকে হারামই রাখা হয়েছে। যেমন গান-বাজনা, টিভি-সিনেমা, ছবি তোলা ইত্যাদি সম্পূর্ণ হারাম। কাফির মুশরিক মুসলমানদের শত্রু। কাজেই তাদেরকে কোন প্রকার অনুসরণ করা হয় না।
৩) মুত্তাকী-পরহেযগারীতা : শরয়ী পর্দা পালন বাধ্যতামূলক- ছেলেরা মহিলাদের দিকে তাকায় না, বালিকা শাখা সম্পূর্ণ পৃথক, ৫ বছরের বালক বেগানা মহিলাদের সামনে যায়না। তাহাজ্জুদ নামায বাধ্যতামূলক। ছোট ছোট শিশুরাও রাতে উঠে তাহাজ্জুদ নামায আদায় করে। প্রতি বছর বিশেষ ভাব-গাম্ভয্যতার সাথে শত শত কুরবানী করা হয়ে থাকে। প্রতিদিন অনন্তকালব্যাপী জারিকৃত পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা হয়।
তাছাড়াও মহান আল্লাহ পাক প্রদত্ত ‘আইয়ামুল্লাহ’ বা বিশেষ রাত ও বিশেষ দিবস উদযাপন করা হয়, উক্ত দিবসে বিশেষ দোয়া-মুনাজাত মুবারক সমস্ত মুসলিম উম্মাহ উনাদের জন্য করা হয়ে থাকে।
৪) “আল্লাহওয়ালা” হওয়া মূল উদ্দেশ্য : মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি। শুধু সন্তুষ্টিই নয় আমরা মহান আল্লাহ পাক স্বয়ং উনাকেই চাই। সুবহানাল্লাহ! এ জন্য যা যা দরকার তার সব কিছুই সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, মুর্শিদে আ’যম, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি সব জারী করছেন। সুবহানাল্লাহ! কোটি কোটি মসজিদ-মাদরাসা, লাইব্রেরী, গবেষণাগার, দ্বীনি প্রতিষ্ঠান নির্মাণের কাজ সারাদেশ ও সারাবিশ্বব্যাপী করা হচ্ছে। সম্মানিত ‘ফালইয়াফরহু’ সর্বশ্রেষ্ঠ আমল, ঘরে ঘরে জারী করার কোশেশ করা হচ্ছে। সুবহানাল্লাহ!
সুতরাং যারা এখানে সম্মানিত যাকাত, ফিতরা, উশর দিবেন তারা প্রত্যেকেই এই সমস্ত নিয়ামত লাভ করবেন। ছদকায়ে জারিয়ার ছওয়াব লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৪)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)