বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান:
মুসলিম সোনালী যুগের পাঠাগার
, ২৪ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ৩০ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ২৮ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ১২ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) বিজ্ঞান মুসলমান উনাদেরই অবদান
পবিত্র কুরআনুল কারীমে মহান আল্লাহ তা’য়ালা জাল্লা শানুহু তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
كُنتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ
অর্থ: তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি। মানবজাতির কল্যানের জন্য তোমাদের আবির্ভাব হয়েছে। তোমরা সৎকাজে আদেশ দিবে ও অসৎ কাজে নিষেধ করবে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার উপর ঈমান আনবে। (পবিত্র আল ইমরান শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ১১০)
জাতিগত ভাবেই মুসলমান জাতি সকল মানব জাতির শ্রেষ্ঠ জাতি তো বটেই সাথে সাথে জগতের সকল কল্যাণকর বিষয়ের শ্রেষ্ঠত্বও মুসলমানগণের; তা মু’য়ামালাত-মু’য়াশারাতে হোক; সভ্যতার বির্ণিমানে হোক আর জ্ঞান-বিজ্ঞানের তত্ত্ব ও প্রয়োগে হোক। আর তাই মুসলমানদের হীনম্মন্যতার কোন কারণ নেই। তথাকথিত মুসলমানগণের মধ্যে যে হীনম্মন্যতা বিরাজ করছে তা মূলত: অজ্ঞতাপ্রসূত, মূর্খতাসূচক। আর তাদের এই অজ্ঞতা ও মূর্খতার মূলে রয়েছে সন্ত্রাসী ইহুদী ও নাসারাদের শত শত বছরের কূটকৌশল।
তথাকথিত মুসলমানগনের এই হীনতা, দীনতা, ক্ষীণতা কাটিয়ে উঠতে হলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র জীবনী মুবারক, হযরত আহলু বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র জীবনী মুবারক, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুম উনাদের পবিত্র জীবনী মুবারক, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের পবিত্র জীবনী মুবারক ও মুসলিম চিকিৎসক, বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদের অবদান ইত্যাদি বিষয়াদি ইমাম, মাশায়েখ ও মুসলিম ইতিহাসবিদদের লেখনী হতে শিক্ষা নিতে হবে। আর তা না হলে শেষ ক্রুসেডের পরে ইহুদী-মুশরিকরা যে ইতিহাসের ধুম্রজাল নিয়ে বিশ্ববাসীর কাছে হাজির হয়েছে তা থেকে বেরিয়ে আসা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। জ্ঞান-বিজ্ঞানের ইতিহাসেও সেই একই ধুম্রজালের উপস্থিতি।
সেই ধুম্রজালের মূলোৎপাটনের লক্ষ্যেই ছানীয়ে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি মুসলিম জাহানের জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চার অজানা লুকায়িত ইতিহাস উন্মোচন করতে তাজদীদ মুবারক করেছেন, “সমস্ত বিজ্ঞান মুসলমান উনাদেরই অবদান”।
পবিত্র হাদীছ শরীফে নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَلْعِلْمُ إِمَامُ الْعَمَلِ
অর্থ: “অর্থাৎ ইলম হচ্ছে আমলের ইমাম বা পরিচালক।”
জ্ঞান যতটুকু অর্জিত হয় কর্মও সেরূপ হয়। তাই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি সর্বপ্রথম মসজিদ ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলেন। তিনি প্রথমে দারুল আরকামে এবং হিজরতের পরে মসজিদুন নববীতে পবিত্র কুরআন শরীফ-উনার যে সমস্ত পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হতো তা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদেরকে জানিয়ে সে বিষয়ে তা’লীম-তালক্বীন দিতেন।
পবিত্র মদীনা শরীফে যে স্থানে বা গোত্রে নতুন মসজিদ স্থাপিত হতো সেখানে তিনি উনার জলীলুল ক্বদর ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদেরকে সে স্থানে বা গোত্রে পাঠিয়ে পবিত্র কুরআন শরীফ শিক্ষা ও তা’লীম-তালক্বীনের ব্যবস্থা করতেন। এভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যমিনে মুবারক অবস্থানকালের সময় হতেই দিকে দিকে মসজিদভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থার ভিত্তি গড়ে উঠে। যমিনে উনার অবস্থানকালে পবিত্র মদীনা শরীফে ৯টি মসজিদ ছিল। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দাওয়াতের কাজ হিজরতের প্রায় ১২ বছর পূর্ব হতে শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে চীন থেকে স্পেন পর্যন্ত বেশিরভাগ এলাকাতে ছড়িয়ে পড়েছিল।
ছবি: আল আহজার মসজিদ
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ব্যক্তিগত পাঠাগার বা প্রাইভেট লাইব্রেরি
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ব্যক্তিগত পাঠাগার বা প্রাইভেট লাইব্রেরি
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মসজিদ গ্রন্থাগার
১০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নুরুদ্দীন ইবনে ইসহাক আল-বিতরূজী
০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আবুল ওয়ালিদ মুহম্মদ ইবনে আহমদ ইবনে রুশদ
২৬ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আবুল ওয়ালিদ মুহম্মদ ইবনে আহমদ ইবনে রুশদ
২৫ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আবু বকর মুহম্মদ ইবনে আবদুল বাকী আল বাগদাদী
১৮ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাফির-মুশরিকদের চক্রান্ত (৫)
০৩ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আবু আবদুল্লাহ মুহম্মদ আল ইদরিসী আল কুরতুবী আল হাসানী আস সাবতী
০৩ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আবু মুহম্মদ জাবির ইবনে আফলাহ আল ইশবিলি
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিখ্যাত মহাকাশ ও জ্যোতিষ বিজ্ঞানী আবু ইসহাক ইবরাহীম ইবনে ইয়াহইয়া আন নাক্কাশ আয যারকালী
১০ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলিম বিশ্বের জন্য একটি আদর্শ সৌর ক্যালেন্ডার অত্যন্ত জরুরী। উম্মাহর এই ঘাটতি পুরণের উদ্দেশ্যেই আত-তাক্বউইমুশ শামসী তৈরি করা হয়েছে। মুসলিম বিশ্বের উচিত- বিধর্মীদের অনুসরন বাদ দিয়ে আত-তাক্বউইমুশ শামসী অনুসরন-অনুকরন করা।
২৭ আগস্ট, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)