নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘ছবি আঁকনেওয়ালা ও আঁকানেওয়ালা, তুলনেওয়ালা ও তোলানেওয়ালা প্রত্যেকেই জাহান্নামী।’ নাউযুবিল্লাহ!
মুসলিম শাসকদের জন্য ফরয হচ্ছে- হারাম ছবি পরিহার করে অঙ্গুলির ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) সম্বলিত পাসপোর্ট ও পরিচয় পত্র (আইডি কার্ড) তৈরী করা ও তা তৈরিতে এবং সমগ্র মুসলিম বিশ্বে প্রচলনে সর্বাত্মক সহায়তা করা।
ছবি ছাড়া সহজেই সম্মানিত ইসলামী শরীয়তসম্মত সরকারী ছাড়পত্র (পাসপোর্ট) ও পরিচয় পত্র (আইডি কার্ড) তৈরি করা সম্ভব। কেননা, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অঙ্গুলি ছাপের ও (ফিঙ্গারপ্রিন্টের) মাধ্যমে ছবিবিহীন পাসপোর্ট ও পরিচয় পত্র (আইডি কার্ড) তৈরি হচ্ছে।
, ০২ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৮ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ০৬ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ২১ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১
রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ‘তোমরা নেকী ও পরহেযগারীতে সহায়তা করো। ’ আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘ছবি আঁকনেওয়ালা ও আঁকানেওয়ালা, তুলনেওয়ালা ও তোলানেওয়ালা প্রত্যেকেই জাহান্নামী। ’ বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অঙ্গুলি ছাপের (ফিঙ্গার প্রিন্টের) মাধ্যমে ছবিবিহীন সরকারী ছাড়পত্র (পাসপোর্ট) ও পরিচয় পত্র (আইডি কার্ড) তৈরি হচ্ছে। ছবি ছাড়া সহজেই বিশ্বমানের কার্যকরী সম্মানিত ইসলামী শরীয়তসম্মত সরকারী ছাড়পত্র (পাসপোর্ট) ও পরিচয় পত্র (আইডি কার্ড) তৈরি করা সম্ভব। মুসলিম শাসকদের উচিত ছবি পরিহার করে অঙ্গুলির ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) সম্বলিত সরকারী ছাড়পত্র (পাসপোর্ট) ও পরিচয় পত্র (আইডি কার্ড) তৈরি করা ও তা তৈরিতে এবং সমগ্র মুসলিম বিশ্বে প্রচলনে সর্বাত্মক সহায়তা করা।
হারাম ছবি সম্বলিত সরকারী ছাড়পত্র (পাসপোর্ট) ও পরিচয় পত্র (আইডি কার্ড) ব্যবহারে বিশ্বের মুসলমানদের বাধ্য করার প্রতিবাদে নসীহত মুবারক প্রদানকালে তিনি এসব ক্বওল শরীফ উল্লেখ বলেন।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কাফিররা কল্যাণকর সকল কিছুই গ্রহণ করেছে, করছে মুসলমানদের কাছ থেকে। কিন্তু তারা মুসলমানদের গৌরবমাখা বিষয়গুলো পরিকল্পিতভাবে চুপিয়ে রাখে। নাউযুবিল্লাহ! মুসলমান খলীফা উনারা পূর্বে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে অঙ্গুলির ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পদ্ধতি ব্যবহার করতেন। এমনকি এই ভারত উপমহাদেশেও প্রথম অঙ্গুলির ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) বিশারদ ছিলেন একজন মুসলিম। বর্তমানে এই নিয়ে উল্লেখযোগ্য গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে- অপরাধ সনাক্ত করার ক্ষেত্রে অঙ্গুলি ছাপের (ফিঙ্গারপ্রিন্টের) কোনো বিকল্প নেই। দিন দিন ছবির ব্যবহারের উপর একটি নেতিবাচক অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। ছবি ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিবর্তন করা, ছবি প্রতিস্থাপন করা- এসব একটি সাধারণ বিষয়ে পরিণতি হয়েছে। তাছাড়া মূল বিষয় হচ্ছে- সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে ছবি তোলা ও তোলানো সম্পূর্ণরূপে হারাম ও কবীরা গুনাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ছবির ব্যবহারে ছুরতান বা বাহ্যিকভাবে উপকার দেখলেও প্রকৃতপক্ষে কোনো উপকার নেই; বরং রয়েছে গুনাহ আর অশান্তি। কাজেই ছবি পরিপূর্ণভাবে পরিহার করতে হবে। কেননা সর্বপ্রকার ছবি তোলা, আঁকা, রাখা সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে হারাম। সুতরাং ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এই বাংলাদেশসহ সকল মুসলিম দেশে ছবি ব্যতীত শুধু অঙ্গুলির ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) সম্বলিত সরকারী ছাড়পত্র (পাসপোর্ট) ও পরিচয় পত্রের (আইডি কার্ডের) ব্যবহার চালু করতে হবে যা ফরয।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- সর্বাবস্থায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইতায়াত বা অনুসরণ-অনুকরণ করা। অর্থাৎ মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক মুতাবিক চলে শতভাগ সুন্নতী জিন্দেগী বাস্তবায়ন করার সাথে সাথে সুন্নতী পোশাক পরিধান করে হাক্বীক্বী মুত্তাক্বী হওয়ার কোশেশে মশগুল থাকা।
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের পরিপূর্ণ মিছদাক হচ্ছেন উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহ!
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রত্যেক মুসলমান জ্বিন-ইনসান পুরুষ-মহিলা সকলের জন্য ফরযে আইন হচ্ছে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে সর্বাধিক মুহব্বত করা, উনাদের প্রতি সর্বোচ্চ হুসনে যন বা সুধারণা পোষণ করা এবং উনাদেরকে অনুসরণ করা। সুবহানাল্লাহ!
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বিশেষ আইয়্যামুল্লাহ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২২শে জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা আসতে আর মাত্র ৬ দিন বাকি। এ মহান দিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র মহাসম্মানিত আযীমুশ্শান নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং নিজেই বাল্যবিবাহ মুবারক করেছেন। যা মূলতঃ মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র ওহী মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী-
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের বিশুদ্ধ আক্বীদাহ হলো- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই অর্থাৎ উনার মহাসম্মানিত নূরুল কুদরত মুবারক বা নূর মুবারকই মহান আল্লাহ পাক উনার সর্বপ্রথম সৃষ্টি। সুবহানাল্লাহ! উক্ত মহাসম্মানিত নূর মুবারক উনার থেকেই কায়িনাতের সমস্ত কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে। এমনকি আগুন, পানি, মাটি, বাতাস ইত্যাদি উপাদানসমূহও উনার থেকে এবং উনার বহু পরে সৃষ্টি হয়েছে।
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ মহাসম্মানিত মহাপবিত্র ১২ই জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! মালিকুত তামাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ” মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সেহেতু প্রতি আরবী মাসের এ মুবারক তারিখটি হচ্ছেন- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ এবং সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ সুমহান বেমেছাল ফযীলতপূর্ণ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১১ই জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ঈমানদার হিসেবে দাবিকারী প্রত্যেকের জন্য ফরয হচ্ছে- সম্মানিত শরীয়ত উনার প্রতিটি বিষয়ে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত অনুযায়ী আক্বীদা পোষণ করা এবং প্রতিটি আমল পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী করা।
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ৯ই জুমাদাল ঊলা শরীফ- আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনার মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! যিনি আখাছ্ছুল খাছ হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুসলমানদের প্রত্যেক ক্বওম বা সম্প্রদায় থেকে কেন একটি দল বের হয় না এজন্য যে, তারা সম্মানিত দ্বীনী ইলমে ফক্বীহ হবে এবং স্বীয় ক্বওমের নিকট প্রত্যাবর্তন করে তাদেরকে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার মহাসম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আদেশ নিষেধ মুবারক উনার ব্যাপারে সতর্ক করবে; যাতে তারা সতর্ক হতে পারে বা পরিত্রাণ পেতে পারে।’
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ সুমহান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা আখাছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক উনার আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! তাই উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ বা আগমণ দিনটিও যমীনবাসীদের জন্য সুমহান ঈদ বা খুশির দিন। সুবহানাল্লাহ!
১০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)