মুসলিম দেশ সিয়েরা লিওনে যেভাবে দ্বীন ইসলাম ও দ্বীনি শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়
, ২৭ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৩ সাদিস , ১৩৯২ শামসী সন , ৩১ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ১৫ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পাঁচ মিশালী
পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম দেশ সিয়েরা লিওনের সাংবিধানিক নাম ‘সিয়েরা লিওন প্রজাতন্ত্র’। যার উত্তরে রয়েছে গিনি, দক্ষিণ-পূর্বে লাইবেরিয়া, দক্ষিণ-পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর। দেশটির মোট আয়তন ৭১ হাজার ৭৪০ বর্গকিলোমিটার (২৭,৬৯৯ বর্গমাইল)। পরিসংখ্যান ২০২২ অনুসারে সিয়েরা লিওনের জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে আট মিলিয়নেরও বেশী।
ফ্রিটাউন দেশটির রাজধানী, বৃহত্তম শহর ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র। উল্লেখযোগ্য আরো কয়েকটি শহর হলো বো, কেনেমা, ম্যাকেনি ও কাইদু। সিয়েরা লিওন উত্তর, পূর্ব, দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চল চারটি ভৌগলিক অঞ্চলে বিভক্ত, যেগুলো আবার ১৪টি জেলায় বিভক্ত। ২৭ এপ্রিল ১৯৬১ যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে সিয়েরা লিওন। সিয়েরা লিওন জাতি ও ভাষা বৈচিত্রের দেশ।
এখানে ১৬টি জাতিগোষ্ঠী বসবাস করে। তবে ‘তেমনে’ ও ‘মেন্দে’ গোত্রই সবচেয়ে প্রভাবশালী। ‘ক্রিও’ দেশটির বেশির ভাগ মানুষের কথ্য ভাষা। দাপ্তরিক ভাষা ইংরেজি।
পিউ রিসার্চের তথ্য মতে, সিয়েরা লিওনের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিক মুসলিম। রাষ্ট্রীয়ভাবে সিয়েরা লিওন ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র।
সিয়েরা লিওনে দ্বীন ইসলামের আগমন দশম হিজরী শতকের শুরুর দিকে প্রতিবেশী মুসলিম দেশের নাগরিক ও সমুদ্রপথে আগত মুসলিম নৌ ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে। দ্বীনি মূল্যবোধ ও ইসলামী শিক্ষার প্রসার না থাকায় সিয়েরা লিওনের মুসলিমরা ইসলামচর্চায় পিছিয়ে ছিল। নামে তারা মুসলিম হলেও দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে খুব বেশি অবগত ছিল না। ১৮ শতকে সংঘটিত ফুতা জালুন যুদ্ধের পর সিয়েরা লিওনে ইসলামী জাগরণ ঘটে। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন মুসলিমদের আরো সংহত করে।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক মুসলিম দাতব্য সংস্থাগুলোর প্রচেষ্টায় সিয়েরা লিওনে ইসলাম ও ইসলামী শিক্ষার বিকাশ ঘটছে। তবে এখনো বেশির ভাগ মুসলিম শিশুরা সনাতন পদ্ধতিতে শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। তবে শিশুদের দ্বীনি শিক্ষা শুরু হয় কুরআন শরীফ পাঠের মধ্য দিয়ে।
প্রচলিত শিক্ষা কারিকুলাম অনুসারে সিয়েরা লিওনে মুসলিম শিক্ষার্থীরা ১৮ বছর বয়সে দ্বীনি শিক্ষা সমাপ্ত করে। তখন তাদের পাগড়ি প্রদান করা হয় এবং বিশেষ চেয়ারে বসিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করানো হয়। এরপর তারা মাদরাসার শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম হিসেবে নিয়োগ পায়। বলা হয়, সিয়েরা লিওন ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিকাশে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছে। তবে মুসলিম দাতব্য সংস্থার কার্যক্রম শহরাঞ্চলেই সীমাবদ্ধ বলে জানা গেছে।
সিয়েরা লিওনের প্রায় প্রতিটি গ্রামে গ্রামে ছোট-বড় মসজিদ রয়েছে। মসজিদগুলোতে দ্বীনি শিক্ষা অর্থাৎ সকালে ছাত্রদের জন্য পাঠদান করা ও বৈকালে বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য কুরআন শরীফ সহীহ শুদ্ধভাবে তিলাওয়াত করার তা’লীম প্রদান করা হয়। স্থানীয় সালিস-বিচার, বিয়ে, তালাক, জানাযা-দাফন, চিকিৎসাসেবা প্রদান, ইসলাম প্রচারের কাজগুলো মসজিদেই হয়ে থাকে। যাকাত ব্যবস্থাপনায় মসজিদগুলোর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে দেশটিতে। সব মিলিয়ে সিয়েরা লিওনকে বলা চলে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও দ্বীনি আবহে ভবিষ্যত প্রজন্মকে গড়ে তোলার মত মহামূল্যবান দায়িত্বকে মূল্যায়ন করার জন্য সনদপ্রাপ্ত দেশ। তথ্যসূত্র : মালুমাত ও উইকিপিডিয়া
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
২০২২ সালে সৌরজগতের বাইরে মিলেছে ২০০ গ্রহের সন্ধান
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আবাসন ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে ইউরোপিয়ানরা
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
হেঁটে যে রাস্তা আজও শেষ করতে পারেনি কেউ
২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
লাওসে মুসলমানদের জীবনধারা
২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
কাতারের মরুভূমিতে খোদাই করা রহস্যময় শত শত চিহ্ন
২৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
রহস্যময় পুরুষ ইলিশ! কেন তেমন দেখা মেলে না (২)
২৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
রহস্যময় পুরুষ ইলিশ! কেন তেমন দেখা মেলে না (১)
২৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ দ্বীপ
২৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মৌলভীবাজারে ৭ ফুট লম্বা কাঁদিতে ধরেছে হাজারের বেশি কলা!
২৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ দ্বীপ
২৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ক্যানসার, ডায়াবেটিসসহ বহু রোগের শেফা কালোজিরা
২৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ দ্বীপ
২৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)