মুসলমান উনাদেরকে নিজের শত্রু চিনতে হবে
, ২৩ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১১ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ২৬ ভাদ্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) আপনাদের মতামত
মহান আল্লাহ পাক তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, মুসলমান উনাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে ইহুদী, অতঃপর মুশরিকরা অর্থাৎ সমস্ত কাফিররা। এদেশে ৯৮ ভাগ মুসলমান। এখানে মুসলমান উনাদের পরিপূর্ণ অধিকার থাকবে। এখানে রাষ্ট্র দ্বীন ইসলাম নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র কোনো কাফির-মুশরিক, বেদ্বীন-বদদ্বীন করতে পারে না বা করার সাহস পাবার কথা নয়। যে সাহস করবে, তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে, মৃত্যুদ- দিতে হবে। এটাই মুসলমান সরকারের দায়িত্ব-কর্তব্য।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, দুঃখজনক বিষয়, কাফির-মুশরিকরা বার বার দ্বীন ইসলাম উঠিয়ে দেয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। নাউযুবিল্লাহ! কাফির-মুশরিকরা এদেশে থেকে এতবড় দুঃসাহস কিভাবে দেখাচ্ছে, এত বড় স্পর্ধা কিভাবে পাচ্ছে? এজন্য সরকারকে কঠিন জবাবদিহী করতে হবে এবং কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আপনি তাদের অনেককে কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন। তারা নিজেদের জন্য যা (এই বন্ধুত্ব করার আমল) সঞ্চয় করেছে তা অবশ্যই খারাপ। যে কারণে মহান আল্লাহ পাক তিনি অসন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারা চিরকাল আযাবের মধ্যে থাকবে। নাউযুবিল্লাহ! (পবিত্র সূরা আল মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-৮০)
মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে কাফিররা হলো সর্বনিকৃষ্ট প্রাণী, নাপাক, জাহান্নামী। এ বিষয়ে অসংখ্য-অগণিত পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণনা করা হয়েছে। মুসলমান উনাদের জন্য কখনো জায়িয হবে না এই সমস্ত নাপাক কাফির-মুশরিকদের সাথে বন্ধুত্ব করা, চলাফেরা করা, এদেরকে প্রাধান্য দেয়া, এদেকে উচ্চ পদের দায়িত্ব দেয়া। এদের অনুসরণ করা। যে করবে সে কখনো ঈমানদার থাকতে পারে না। ইহকালে ও পরকালে কঠিনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং জাহান্নামী হয়ে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে অনন্তকালব্যাপী। নাউযুবিল্লাহ!
মুসলমান উনাদের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হলো, এই শত্রুদেরকে চিনতে হবে এদের থেকে দূরে সরে থাকতে হবে। অন্তরে এদের প্রতি কঠিন বিদ্বেষ পোষণ করতে হবে। সন্তানদেরকেও শত্রু চিনিয়ে দিতে হবে। এই শত্রু সম্পর্কে জানার জন্য, শত্রুর ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচার জন্য সম্মানিত ওলীআল্লাহ উনাদের ছোহবত মুবারকে আসতে হবে নিয়মিতভাবে। তাহলে অবশ্যই আমরা এই শত্রুর ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচতে পারব। ইনশাআল্লাহ!
মহান মুর্শিদে আ’যম আলাইহিস সালাম ও উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানার্থে আমরা সেই তাওফীক চাই। আমীন!
-আহমদ ফাতেমা আক্তার, ঢাকা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুসলমানদের দমিয়ে রাখতেই ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ বুলি
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
এ সকল মুখোশধারীদের আসল পরিচয় অনেকেরই অজানা!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
১০ ব্যক্তি শয়তানের বন্ধু
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি ঝুঁকিয়ে দেয়া একটি ভয়াবহ চক্রান্ত
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে, তাহলেই রাজধানী হবে সমস্যামুক্ত
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুলুমতন্ত্র থেকে খালিছ ইস্তিগফার-তওবা করুন
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উপজাতিদের যেভাবে উস্কানি দিচ্ছে এনজিওগুলো
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হিন্দুদের পূর্বপুরুষরাও একসময় মুসলমান ছিলো
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাবার খাবেন কোথায়?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের রক্তাক্ত ইতিহাস, যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জায়নবাদী ইহুদী পরিকল্পনার গোপন দস্তাবেজ
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিধর্মীরা কখনোই চায়নি, এখনও চায় না মুসলমানদের উন্নতি
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)