মুসলমানরা সম্মিলিত হয়ে আমল করতে গেলেই বাধা দেয় একটি গোষ্ঠী (১)
, ২৫ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৫ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ০৩ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ২০ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) আপনাদের মতামত
মুসলমানরা সম্মিলিতভাবে কোন আমল করতে গেলেই একটি মহল বাধা দেয়। যেমন- সম্মিলিত মুনাজাত করা যাবে না, শবে বরাতে সম্মিলিত হয়ে ইবাদত বন্দেগী করা যাবে না। এই গোষ্ঠীটি মুসলমানদের মধ্যে বিভিন্ন ফিতনা সৃষ্টি করে মুসলমানদের দ্বিধা বিভক্ত করতে ব্যস্ত। মুসলমানদেরকে ঈমান থেকে এবং ঈমানের সার্বিক দিক থেকে বা নেক কাজ থেকে ফিরিয়ে রেখে মুসলমানদেরকে ঈমান শূন্য, আমল শূন্য করাই হলো তাদের জঘণ্যতম খায়েশ। মুসলমানদেরকে আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের থেকে দূরে সরিয়ে রাখাই হলো তাদের মূল লক্ষ্য। নাঊযুবিল্লাহ! কিন্তু কেন এই গোষ্ঠীটি পদে পদে মুসলমানদেরকে বাধা সৃষ্টি করছে? কি তাদের পরিচয়?
তাই ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে, সৌদি আরবে তৈরী ওহাবীজম প্রভাবিত হয়ে পরিচালিত হয় এই গোষ্ঠীটি। ইতিহাস বলে, সৌদি আরবে ওহাবীজমে বিশ্বাসী সৌদ শাসকদের ক্ষমতায় বসিয়েছে ব্রিটিশরা। তাই ব্রিটিশদের তৈরী করা ‘ডিভাইড এন্ড রুল’ বা ‘বিভাজন করো এবং শাসন করো’, নীতিকে সেই ওহাবীজম বা সালাফিজমে বিশ্বাসী গোষ্ঠীটি মুসলমানদের মধ্যে থেকে বাস্তবায়ন করছে। অর্থাৎ মুসলমানদের মধ্যে ভ্রান্ত আক্বীদা তৈরী করে মুসলমানদের মধ্যে দ্বিধা বিভক্তি তৈরী করছে। আর সেই সুযোগে মুসলমানদের উপর যুলুম নির্যাতন ও ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করেছে কাফিররা।
বর্তমান সময়ে পৃথিবীতে মুসলমানদের জনসংখ্যা অনেক বেশি। অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর জনসংখ্যা মুসলমানদের থেকে কম। কিন্তু মুসলমানরা জনসংখ্যায় অধিক হলেও তারা দ্বিধাবিভক্ত। এক্ষেত্রে সম্মিলিতভাবে করার আমল যেমন- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ অর্থাৎ পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, শবে বরাত, শবে মিরাজ, শবে ক্বদরসহ বিভিন্ন ইসলামী দিবসগুলো মুসলমানদের মধ্যে একতাবদ্ধতা আরো দৃঢ় করবে। কিন্তু সৌদিপন্থী ওহাবীদের ফতওয়ার কারণে সেই একতাবদ্ধ হওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
যেমন, তারা বলে, শবে বরাতের রাতে মসজিদে গিয়ে ইবাদত বন্দেগীর দরকার নাই। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসবে, মসজিদে গিয়ে ইবাদত করতে গিয়ে নিষেধ করা আছে কি? যদি নিষেধ না থাকে না, তবে বাধা দিবেন কেন? মসজিদ তো ইবাদত বন্দেগীর জায়গা।
আবার বলতে পারেন, সম্মিলিত মুনাজাতের কথা তো নাই।
পাল্টা প্রশ্ন আসবে, সম্মিলিতভাবে দুয়া মুনাজাত করতে নিষেধ আছে কি? যদি নিষেধ না থাকে তবে আপনি বাধা দেয়ার কে?
-জিয়াউদ্দিন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
১০ ব্যক্তি শয়তানের বন্ধু
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি ঝুঁকিয়ে দেয়া একটি ভয়াবহ চক্রান্ত
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে, তাহলেই রাজধানী হবে সমস্যামুক্ত
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুলুমতন্ত্র থেকে খালিছ ইস্তিগফার-তওবা করুন
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উপজাতিদের যেভাবে উস্কানি দিচ্ছে এনজিওগুলো
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হিন্দুদের পূর্বপুরুষরাও একসময় মুসলমান ছিলো
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাবার খাবেন কোথায়?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের রক্তাক্ত ইতিহাস, যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জায়নবাদী ইহুদী পরিকল্পনার গোপন দস্তাবেজ
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিধর্মীরা কখনোই চায়নি, এখনও চায় না মুসলমানদের উন্নতি
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ব্রিটিশ স্টাইলের শাসকগোষ্ঠী দিয়ে উন্নয়ন নয়, লুটপাটই হবে
১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুসলমানরা তাদের সন্তানদের কি শেখাচ্ছে, কি শেখানো উচিত? (২)
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)