মুসলমানদের ক্ষমতা হারানোর কারণ: জ্ঞান চর্চা থেকে দূরে সরে আসা (৪)
, ১২ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৪ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ২৩ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ০৯ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) আপনাদের মতামত
মুসলমানদের জন্য একটা বড় সমস্যা হচ্ছে, মুসলিম নামধারী কিছু আলেম তারা বিভিন্ন ফতওয়া দিয়ে মুসলমানদের জ্ঞান চর্চাকে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে। এটা মুসলমানদের জন্য একটা বড় ক্ষতি। যেমন- মুসলমানদের জন্য একটা আবশ্যিক জ্ঞান হলো আত্মশুদ্ধি বা তাসাউফ চর্চার জ্ঞান। এই জ্ঞান অর্জনের জন্য একজন শায়েখ বা পীর সাহেবের কাছে বাইয়াত হতে হয়। কিন্তু একটি মহল তাসাউফ চর্চার বিরুদ্ধে ফতওয়া দিয়ে মুসলমানদের বিরাট জ্ঞানশূণ্য করে রেখেছে।
আবার দ্বীনি জ্ঞান বলতে শুধু নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত অর্থাৎ প্রাথমিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু সমাজ কিভাবে চলবে, লেনদেন কিভাবে হবে সেই সম্পর্কে আলোচনা নাই। যেমন- দ্বীন ইসলামে জ্ঞানের একটি বড় শাখা হচ্ছে মুয়ামালাত, যে জ্ঞানে লেনদেন কিভাবে হবে সেটা জানা যায়। আরেকটি শাখা হচ্ছে, মুয়াশারাত। যার অর্থ আচার-আচরণ ও ব্যবহারের জ্ঞান। সমাজে দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে গেলে মুয়ামালাত-মুয়াশারাতের জ্ঞান খুব জরুরী। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, ব্রিটিশরা ক্ষমতায় এসে আমাদের শিক্ষা সিলেবাস থেকে মুয়ামালাত-মুয়াশারাতের জ্ঞান তুলে দেয়। এতে মুসলমানরা সামাজিক জ্ঞান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তখন ব্রিটিশরাই মুসলমানদের হেয় করতে রটিয়ে দেয়, “মুসলমানদের সামাজিক কোন জ্ঞান নেই, তারা সারাদিন ইবাদত বন্দেগী নিয়ে পড়ে থাকে, মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত। ” নাউযুবিল্লাহ। অথচ দ্বীন ইসলাম হচ্ছে পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। সব কিছুর জ্ঞান দ্বীন ইসলামে আছে। কিন্তু শিক্ষা সিলেবাস থেকে বাদ দেয়াতে এই সমস্ত জ্ঞান যে দ্বীন ইসলামে রয়েছে, তা মুসলমানরাই জানতে পারছে না।
এজন্য মুসলমানরা যদি আবার তাদের স্বর্ণযুগ ফিরে পেতে চায়, তবে তাদের মধ্যে আবার জ্ঞান চর্চা শুরু করতে হবে। জ্ঞানের সকল ধারায় মুসলমানদের প্রবেশ করতে হবে। তাসাউফ, মুয়ামালাত, মুয়াশারাতসহ গবেষণা-বিশ্লেষণসহ বাস্তবমুখী চর্চা করতে হবে, আদান-প্রদান করতে হবে। মুসলমানরা যদি জ্ঞান চর্চা পুরোদ্যমে শুরু করে, তবে খুব শিঘ্রই মুসলমানরা তাদের আগের অবস্থা ফিরে পাবে ইনশাল্লাহ ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পুরো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যে পরিমাণ বোমা সারাবিশ্বে ফেলা হয়েছে, গাজায় এর চেয়েও বেশি বোমা ফেলা হয়েছে। গাজায় ১৪ মাস ধরে চলছে গণহত্যা, গণহারে শিশুহত্যা এরপরেও মুনাফিক ইউরোপ-আমেরিকা কীভাবে মানবতার কথা প্রচার করে? (পর্ব-২)
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অমুসলিম-বিধর্মীদের নামে রাস্তা-ঘাটের নামকরণ এদেশের মুসলমানদের অপমান করার শামিল
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ফিলিস্তিনি সংবাদ প্রচারে বাধা দিচ্ছে ফেইসবুক এরপরেও কী বিশ্ব মুসলিম ফেইসবুক বয়কট করবে না?
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
গাজায় ইহুদীবাদী আগ্রাসন: আরব সরকারগুলো নীরব ও নিস্ক্রিয় থাকলেও ইহুদী পণ্য বর্জনের মাধ্যমে আরব মুসলিম নাগরিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে ইসলামী ভ্রাতৃত্ববোধে উজ্জীবিত হচ্ছে ইনশাআল্লাহ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
উলামায়ে ‘সূ’ আহাজারীর কুফরী মন্তব্যের বিরুদ্ধে অবিলম্বে সব ঈমানদারদের আইনী পদক্ষেপ নিতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
কনসার্ট, যাত্রা, সিনেমা ও জোকারী কায়দায় ওয়াজকারীদের বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননার অভিযোগে আইনী পদক্ষেপ নিতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইসলামী মূল্যবোধ, আদর্শ ও ইতিহাস থেকে ভালো শাসক হওয়ার শিক্ষা নিতে হবে
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
কুখ্যাত জেনাখোর এবং জেনা করার জন্য ওয়াজকারী আমীর হামজা কী? তার ওস্তাদ তারেক মনোয়ারের কাছ থেকেই হারামের (ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী) দীক্ষা পেয়েছে?
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ইতিহাস, লুটপাটের ইতিহাস
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইসকনকে নিষিদ্ধ করার আইনি প্রেক্ষিত
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
গণমাধ্যমে হেডিং হয়েছে, “..... সৌন্দর্য নিয়ে ওয়াজ; ক্ষমা চেয়ে আমির হামজা বললো ‘আমি সুস্থ না’” হক্কানী রব্বানী ওলীআল্লাহ বিরোধী হামজা গং ইলমে তাসাউফের বিরোধীতা করায় ওয়াজের গযবে- এখন জিনা করার জন্য ওয়াজ করেছে। (নাউযুবিল্লাহ)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: কুয়েতে ঋণ নিয়ে নার্সসহ দেড় হাজার ভারতীয়ের পলায়ন অবিলম্বে সব মুসলিম দেশ থেকে ভারতীয় হিন্দুদের উচ্ছেদ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)