মুখরোচক টেস্টি সল্ট জনস্বাস্থ্যের জন্য ভয়ঙ্কর ও মারাত্মক হুমকি। বিভিন্ন দেশে টেস্টি সল্ট নিষিদ্ধ হলেও অনুমোদনের অজুহাতে এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা বিএসটিআই। জনস্বাস্থ্যবিরোধী কোন কার্যক্রমে সরকার নীরব থাকতে পারেনা।
, ২৪ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১১ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ১০ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ২৫ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মন্তব্য কলাম
বিশেজ্ঞরা বলছে, এটি মানবদেহের জন্য ভয়ানক ক্ষতিকর। মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা টেস্টিং সল্ট খাবার মুখরোচক বা মজাদার করার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। কৃত্রিম স্বাদ বর্ধনকারী উপাদানটির মধ্যে কোনো পুষ্টিমান নেই। এটি বেশি ব্যবহার করলে স্নায়ুতন্ত্রের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। বিজ্ঞানীরা একে ‘স্নায়ুবিষ’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
গবেষণায় দেখা যায় বাজারে বিক্রি হওয়া পটেটো চিপসে মাত্রাতিরিক্ত টেস্টিং সল্ট ব্যবহার করা হয়। এছাড়া চিকেন ফ্রাই থেকে শুরু করে শিশুদের সিরিয়াল, চকলেট, বেবি ফুড, সস, বিস্কুট, বিশেষ করে ক্র্যাকারস, সল্টেড ও ভেজিটেবল বিস্কুট, হরেক রকম স্যুপ, সালাদ ড্রেসিং, ফ্রাইড রাইস, ফ্রাইড প্রোন, প্রোন বল, সুইট অ্যান্ড সাওয়ার প্রোন, চিকেন ভেজিটেবল, ফিশ ভেজিটেবল, পিৎজা, স্যান্ডউইচ, নুডলস, হোটেল-রেস্টুরেন্টের রোস্ট, ফ্রাই, কারিসহ চায়নিজ সব খাবারে মাত্রাতিরিক্ত টেস্টিং সল্ট ব্যবহার করা হয়। টেস্টিং সল্ট ভালো জিনিস নয়। যারা নিয়মিত এটি খায় তাদের জন্য মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। এটি বেশি ব্যবহার করলে স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হতে পারে। এ ছাড়া মাথাব্যথা, বমিবমি ভাব, ঘুমঘুম ভাব, অনিন্দ্রা, খাবারে অরুচি, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, বুকের ব্যথা, দুর্বল লাগা, গলায় জ্বালা, পিপাসা বৃদ্ধি, কাজ করতে অনীহা, কানে ভোঁ-ভোঁ শব্দ করা, হার্টের সমস্যা, কিডনি ও ক্যান্সারসহ বিভিন্ন জটিল রোগ হতে পারে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে টেস্টিং সল্ট নামের এই বিষ ক্রমাগতভাবে জনগণের শরীরে মিশে গিয়ে মারাত্মক স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের সৃষ্টি করছে কিন্তু সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই বিষয়ে কার্যকর কোন ভ্রুক্ষেপই করছে না। অন্যদিকে, টেস্টিং সল্ট দেশে উৎপাদন ও বিপণন হয় বলে স্বীকার করেছে বিএসটিআই। তাদের বক্তব্য অনুসারে- বিএসটিআই ১৫৪টি পণ্যের দেখভাল করে থাকে। এর মধ্যে টেস্টিং সল্ট আইটেমটি নেই। আর মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য নয়। আইনগতভাবে এটি উৎপাদন ও বিপণন কাজে বাধা দেয়ার এখতিয়ার বিএসটিআইয়ের নেই। এটি আমদানি, উৎপাদন ও বিপণনে বিএসটিআইয়ের কোনো অনুমোদন নিতে হয় না। ফলে বিএসটিআই এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। অর্থাৎ বাংলাদেশে এই টেস্টি সল্ট আমদানি, উৎপাদন ও বিপনন করা হয় সরকারের চোখ ফাঁকি দিয়ে অর্থাৎ মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট নামে। বিএসটিআই এর মতে, যেহেতু বিএসটিআইএর অনুমোদন নিতে হয়না টেস্টি সল্ট তৈরী করতে- তাই এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনা বিএসটিআই। আর এর মাধ্যমে স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য অধিদপ্তরের সক্রিয়তা ও দায়িত্বশীলতা কতটা নি¤œমানের। যেখানে স্পষ্ট ও প্রকাশ্যে ক্ষতিকর বিষ টেস্টি সল্ট বাজারে বিক্রি হচ্ছে এবং দেশের জনগণের স্বাস্থ্যগত মারাত্মক ক্ষতি করে যাচ্ছে সেখানে শুধুমাত্র আইনের মধ্যে না পড়ায় সরকার থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছেনা।
বলাবাহুল্য, আমাদের সংবিধানে অনুচ্ছেদ নম্বর ১৫ এ বলা রয়েছে সরকার জনগণের খাদ্য চাহিদা নিশ্চিত করবে এবং ১৮-এ বলা রয়েছে - জনগণের পুষ্টির স্তর উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতিসাধনকে রাষ্ট্র অন্যতম প্রাথমিক কর্তব্য বলিয়া গণ্য করিবেন। কিন্তু সরকার আজ সেখানে ব্যর্থ। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য নীতি-২০০৫-এ বিষাক্ত অথবা ক্ষতিকারক রাসায়নিকযুক্ত খাবার বিক্রি অথবা উৎপাদন বন্ধের জন্য বলা হয়েছে। আমদানি-রপ্তানি নীতি ২০০৬-এ সার্টিফিকেট এবং বিভিন্ন পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে। ১৯৫৯ সালের চঁৎব ঋড়ড়ফ ঙৎফরহধহপব কে পরির্বতন ও পরিবর্ধন করে যুগোপযোগী নতুন আইন ‘নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩’ সংসদে পাস হয়েছে। এই আইনে সর্বোচ্চ ৫ বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। কিন্তু এসবের কোনকিছু প্রয়োগ হচ্ছেনা। টেস্টি সল্টের মতো বিষ বাজারে অহরহ প্রচার ও প্রসার হয়ে নীরব ঘাতকের মতো জনগণের মানবদেহে প্রবেশ করছে।
উল্লেখ্য, জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরীর জন্য ক্যাম্পেইন করা সরকারের দায়িত্ব-কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। ইতোপূর্বে সরকার এডিস মশা, নিপা ভাইরাস, জিকা ভাইরাস, চিকুনগুনিয়া, পোলিও সম্পর্কে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্পেইন করেছে, সরকারি খরচে জনসচেতনতার ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু সরকার এই বিষ সদৃশ টেস্টি সল্টের বিরুদ্ধে কোন কার্যক্রম হাতে নিচ্ছেনা। যা অমানবিক। তাই সরকারের উচিত- অবিলম্বে স্বাস্থ্যে অন্যান্য ক্ষতিকর বিষয়ের এবং টেস্টি সল্ট বাজারে নিষিদ্ধ করা। টেস্টি সল্টের বিরুদ্ধে আলাদাভাবে সরকারি বাজেট বরাদ্দ করা, সতর্কতামূলক প্রচারণা চালানো। অন্যদিকে, যেসব মহল এই টেস্টি সল্ট দেশের মধ্যে উৎপাদন করছে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। জনগণের কিডনী, স্নায়ুতন্ত্র, হার্ট, লিভার ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ রক্ষা করা তথা জনস্বাস্থ্য হেফাজত করা।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইহুদী-নাছারাদের ষড়যন্ত্রে পড়েই দুনিয়াদার মালানারা বেহেশত-দোযখের ওয়াজ বাদ দিয়েছে। পর্নোগ্রাফি, মাদক থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে চাইলে বেহেশত-দোযখের ওয়াজও বেশি বেশি করতে হবে।
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পেয়াজ, সরিষা, ধান এমনকি ভরা মৌসুমে আলুর নিম্নমানের বীজে মহা ক্ষতির মুুখে চাষিরা। বহুদিন ধরে বিভিন্ন কোম্পানীর বীজে প্রবঞ্চিত হবার পর এখন খোদ সরকারের প্রণোদনার বীজেও প্রতারিত কৃষক। কৃষিপ্রধান দেশে কৃষক ও কৃষিপণ্য নিয়ে এমন ছিনিমিনি খেলা আর কতদিন চলবে?
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমানের সংজ্ঞা কতজন মুসলমান জানে? প্রকৃত মুসলমান না হয়ে শুধু বাহ্যিক মুসলমান দাবি কী অন্যায় নয়? মুসলমান মাত্রই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করতে হবে।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ডিজিটালাইজেশনের নামে শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। দেশের ইন্টারনেট জগতে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় শিশু-কিশোররা আক্রান্ত হচ্ছে অশ্লীলতায়। শিখছে অনৈতিকতা, বেহায়াপনা, হিংস্রতা। সরকারের উচিত- দ্রুত দেশের ইন্টারনেট জগতে কন্টেন্ট ফিল্টারিংয়ের ব্যবস্থা করা। বিশেষ করে শিশু কিশোরদের ইন্টারনেট আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুশাসন প্রচার প্রসার করা।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রতিবছর ২৫ লাখ বাংলাদেশী রোগী ভারতে গিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা অপচয় করে এর পেছনে রয়েছে ভারতের মেডিক্যাল টুরিজমের ফাঁদ, এদেশের হাসপাতালের হিন্দুবাদী ডাক্তারদের ষড়যন্ত্র এবং কিছু লোকের অজ্ঞতা ও তথাকথিত স্ট্যাটাস প্রবণতা এবং হিন্দু বিদ্বেষী ঈমানী চেতনা না থাকা
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালন করা কী অপরাধ? সংবিধান কী পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের সুযোগ দেয়নি? পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে কী বেপর্দা ও ছবির বিরুদ্ধে বলা হয়নি? তাহলে কী রাষ্ট্রযন্ত্রের উচিত নয়- ছবি না তুলে, বেপর্দা না হয়ে দ্বীনদার মুসলমানরা যাতে সাংবিধানিক সুযোগ পায় সে অধিকার সংরক্ষিত করা। প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করা।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতিবছর ২৫ লাখ বাংলাদেশী রোগী ভারতে গিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা অপচয় করে এর পেছনে রয়েছে ভারতের মেডিক্যাল টুরিজমের ফাঁদ, এদেশের হাসপাতালের হিন্দুবাদী ডাক্তারদের ষড়যন্ত্র এবং কিছু লোকের অজ্ঞতা ও তথাকথিত ষ্ট্যাটাস প্রবনতা এবং হিন্দু বিদ্বেষী ঈমানী চেতনা না থাকা ভারতের সেবাদাস- পতিত সরকার ভারতের কুপরামর্শে- দেশের চিকিৎসাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ, স্বচ্ছ ও সমৃদ্ধ হতে দেয়নি অবিলম্বে চিকিৎসা খাতকে সমৃদ্ধ এবং দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে ইনশাআল্লাহ (প্রথম পর্ব)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (তৃতীয় পর্ব)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘ইসলামভীতি মোকাবেলায় জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস’ হলেও কার্যকরী কিছুই হচ্ছে না ইসরাইলকে সহযোগিতা করতে আমেরিকায় ইসলামোফোবিয়ার বিস্তার আরো বাড়ানো হচ্ছে
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা দরকার ইনশাআল্লাহ (প্রথম পর্ব)
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খাদ্যদ্রব্যে অতিরিক্ত ভেজাল মিশ্রণে হুমকির মুখে ৪৫ কোটি মানুষ। ভেজাল খাবারে দেশব্যাপী চলছে নীরব গণহত্যা। ভেজাল দমনে সম্মানিত ইসলামী মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)