মুক্তিযুদ্ধের দলিলাদি প্রমাণ করে, দ্বীন ইসলাম কায়েম রাখার ভিত্তিতেই স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছে
, ০৮ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ৩১ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ৩১ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ১৭ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) আপনাদের মতামত
বাংলাদেশের আলো বাতাসে হৃষ্টপুষ্ট, কিন্তু বিদেশীদের উচ্ছিষ্টভোগী কিছু নাস্তিক মহল আছে যারা প্রচার করে থাকে, ‘মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য’। এই প্রচারণার ভিত্তিতেই তারা বাংলাদেশের সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের কথা বলে থাকে। অথচ ১৯৭১ সালে সংগঠিত মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তি কখনোই ধর্মনিরপেক্ষতা ছিলো না; তখন ধর্মনিরপেক্ষতার নামগন্ধও ছিলো না। এ সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি বক্তব্য শক্তিশালী দলিল হিসেবে পেশযোগ্য। ১৯৭১ সালে ৪ঠা জানুয়ারি দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় ‘গণপ্রতিনিধিদের শপথ: শোষণমুক্ত সুখী সমাজের বুনিয়াদ গড়ার সংকল্প’ শিরোনামে একটি খবর ছাপা হয়। খবরটি হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে রেসকোর্স ময়দানে গণপ্রতিনিধিদের শপথ অনুষ্ঠানের খবর। যে শপথে বঙ্গবন্ধু বলেন- “আমরা জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে আওয়ামী লীগ দলীয় নব নির্বাচিত সদস্যবৃন্দ শপথ গ্রহণ করিতেছি, পরম করুণাময় ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালার নামে। ... আমরা শপথ করিতেছি- জাতীয় সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে এই দেশের আপামর জনসাধারণ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ও নেতৃত্বের প্রতি যে বিপুল সমর্থন ও অকুণ্ঠ আস্থা জ্ঞাপন করিয়াছেন, উহার মর্যাদা রক্ষাকল্পে আমরা সর্বশক্তি নিয়োগ করিবো” (সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ৪ঠা জানুয়ারী, ১৯৭১; বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র, দ্বিতীয় খ-, পৃষ্ঠা: ৬১২)
বঙ্গবন্ধুর শপথ থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতিহারের উপর যে বিপুল গণসমর্থন এসেছিলো, সেই গণসমর্থন রক্ষা করতেই ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ হয়। কি ছিলো ১৯৭১ সালে নির্বাচনী ইশতিহারে? নির্বাচনী ইশতিহারে কি বলা হচ্ছে- “...আমরা এই শাসনতান্ত্রিক নীতির প্রতি অবিচল ওয়াদাবদ্ধ যে, পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ নির্দেশিত ইসলামী নীতির পরিপন্থী কোনও আইনই এদেশে পাশ হতে বা চাপিয়ে দেয়া যেতে পারে না।” (সূত্র: আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতিহার ১৯৭০, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ: সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও নির্বাচিত দলিল, পৃষ্ঠা: ২৬৫)
অর্থাৎ ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে, পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের নির্দেশিত ইসলামী নীতির পরিপন্থী কোনও আইন হবে না -এই নীতির উপর ভিত্তি করেই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো, স্বাধীন হয়েছিলো বাংলাদেশ।
-সালেহ মুহম্মদ মুন্সি।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বিধর্মীদের সাদৃশ্যপূর্ণ আমল কবুলযোগ্য নয়
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম’ পুনঃস্থাপন করতে হবে
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মুসলিমদের ঈমানী দুর্বলতা ও হীনম্মন্যতার কুফল
১৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ উনার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের উদ্দেশ্যেই কাফির গোষ্ঠীদের দ্বারা সন্ত্রাসবাদীদের উত্থান
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উলামায়ে ছূ বা দুনিয়াদার মৌলভীরা কিয়ামতের পূর্বে মূর্তিপূজারী হবে, যা কিয়ামতের আলামত; যে সকল উলামায়ে ছূ পূজায় পাহারা দিচ্ছে তারা কাফির হয়ে গেছে
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পাবর্ত চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র রোধে জাতীয় ঐক্য গড়তে হবে
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ধর্মব্যবসায়ীদের মন্দির পাহারা দেয়া সম্পর্কে দ্বীন ইসলাম কি বলে?
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশে পূজা পালন করা নিয়ে আমার কিছু কথা
১১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
কথিত তন্ত্র মন্ত্র ব্যর্থ, মুক্তির পথ দ্বীন ইসলাম তথা খিলাফত
১০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
কথিত তন্ত্র মন্ত্র ব্যর্থ, মুক্তির পথ দ্বীন ইসলাম তথা খিলাফত
১০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শিল্প কারখানায় উচ্চ পদ থেকে ভারতীয় কর্মকর্তাদের ছাঁটাই করতে হবে
০৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
শিল্প কারখানায় উচ্চ পদ থেকে ভারতীয় কর্মকর্তাদের ছাঁটাই করতে হবে
০৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)