মহাসাগরে গোটা ভারতের সমান রহস্যময় ‘গ্র্যাভিটি হোল’, যা বললেন বিজ্ঞানীরা
, ২১ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৮ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ০৭ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ২২ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পাঁচ মিশালী
প্রায় ৭৫ বছর আগে ভারত মহাসাগরের মাঝখানে একটি বিশালাকার মাধ্যাকর্ষণজাত গর্ত (গ্র্যাভিটি হোল) আবিষ্কৃত হয়েছিল। এরপর শুরু হয় এই রহস্যময় গ্র্যাভিটি হোলের সৃষ্টি ও প্রভাব নিয়ে গবেষণা। সম্প্রতি এই বিষয়ে একটি সম্ভাব্য তত্ত্ব প্রকাশ করা হয়। বিগ থিংক সাময়িকীতে ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত প্রবন্ধে বলা হয়েছে, গ্র্যাভিটি হোল মূলত কোনো গর্ত নয়। বরং এটি প্রায় ৩০ লাখ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত সমুদ্রের একটি এলাকা, যেখানে মাধ্যাকর্ষণ স্বাভাবিক গড়ের চেয়ে অনেক কম। এই বিশাল অঞ্চলটি গোটা ভারতের মূলভূখ-ের চেয়েও বড়। এখানকার পানির গড় উচ্চতা সমুদ্রের অন্যান্য অংশের চেয়ে ৩৪৮ ফুট কম। এই অংশে জড়ো হয়েছে বাতাস।
প্রাচীন অতিমহাসাগর টেথিসের অংশ থেকে এই গ্র্যাভিটি হোলের সৃষ্টি। বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে ভেবেছিলো, সমুদ্রতলের কোনো কিছুর প্রভাবে এই অসামঞ্জস্যতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে একটি নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, গ্র্যাভিটি হোল কীভাবে তৈরি হয়েছে সে রহস্য সমাধান করতে ‘গর্তের’ নিচে নয়, বরং চারপাশে নজর দেয়া প্রয়োজন ছিল। এই গ্র্যাভিটি হোলকে বলা হয় ইন্ডিয়ান ওশান জিওড লোদ (আইওজিএল)। ভারত মহাসাগরের গ্র্যাভিটি হোল ব্যাখ্যা করতে বিজ্ঞানীদের সংগ্রাম করতে হয়েছে।
জার্মান রিসার্চ সেন্টার অফ জিওসায়েন্সেসের গবেষকরা বলেছে, মাধ্যাকর্ষণের মাত্রায় এমন পার্থক্য সাধারণত বিশাল হয় না। কেউ যদি কোনো অসঙ্গতির (মাধ্যাকর্ষণের ক্ষেত্রে) মাঝখানেও দাঁড়িয়ে থাকেন, তারপরও তিনি এটি লক্ষ্য করতে পারবেন না। তবে প্রায় ৩০ লাখ বর্গকিলোমিটারজুড়ে সমুদ্রস্তর যখন পার্শ্ববর্তী সমুদ্রগুলো থেকে প্রায় সাড়ে তিনশ ফুট নিচু হয় তখন তা অবশ্যই ভয়ঙ্কর।
বহু বছরে গ্র্যাভিটি হোলের চারপাশে কীভাবে টেকটনিক প্লেটগুলোর স্থান পরিবর্তন হয়েছে তার ১৯টি পরিস্থিতি দুই গবেষক তৈরি করেন। জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স-এ প্রকাশিত তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, কেবল কয়েকটি পরিস্থিতি গ্র্যাভিটি হোল সৃষ্টির জন্য দায়ী হতে পারে। এবং সেগুলোর কোনটিতেই ওই হোলের সরাসরি নিচের কোনো বস্তুর কারণে নিম্ন মাধ্যাকর্ষণ তৈরি হয়নি। বরং তারা খুঁজে পেয়েছে, গর্তটি সম্ভবত কম-ঘনত্বের উত্তপ্ত ম্যাগমার প্লুমের কারণে সৃষ্টি হয়েছে। এটি এমন কিছু যা কেউ আগে ভাবেননি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্র্যাভিটি হোল সৃষ্টির সবচেয়ে সম্ভাব্য ব্যাখ্যা বহু বছর আগে প্রাচীন অতিমহাদেশ গন্ডোয়ানা পৃথক হওয়ার সঙ্গে স¤পৃক্ত। এটি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের সৃষ্টি হয়।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
শীতে শরীর ও ফুসফুস সুস্থ রাখবে যেসব সুপারফুড
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
চাঁদ নিয়ে রহস্যের জট খুললো, জানা গেল ২৮৩ কোটি বছর আগের ঘটনার ব্যাখ্যা
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বদলে যাচ্ছে রসায়নের শত বছরের পুরনো সূত্র
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাতাস থেকে সরাসরি পুষ্টি পেতে পারে মানবদেহ : গবেষণা
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
উৎপাদন বাড়াতে ছাঁটাই করা হয় চা গাছ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সর্দি-কাশি দূর করতে ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মধুর গুণাগুণ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সর্দি-কাশি দূর করতে ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মধুর গুণাগুণ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাংলাদেশের যে গ্রামের জনসংখ্যা চারজন!
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ডাবের পানি খেলে শরীরে কি হয়? ডাবের পানির উপকারিতা
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ধানের গোলা এখন কেবলই স্মৃতি
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
১০ হাজার ফুট ওপর থেকেও যেভাবে শিকার দেখতে পায় ঈগল
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ওজন আর রক্তচাপ কমায় বিটের রস! বাড়ায় স্মৃতিশক্তি
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)