মহাসম্মানিত সুন্নতী খাবার হাইস
, ১০ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৪ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন, ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ১৯ই মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ يَقُوْلُ قَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَبْنِيْ بِأُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ الْعَاشِرَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ فَدَعَوْتُ الْمُسْلِمِيْنَ اِلٰى وَلِيْمَتِهٖ اَمَرَ بِالأَنْطَاعِ فَبُسِطَتْ فَأُلْقِيَ عَلَيْهَا التَّمْرُ وَالأَقِطُ وَالسَّمْنُ وَقَالَ حَضْرَتْ عَمْرٌو رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ وَعَنْ اَنَسٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ بَنٰى بِهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ صَنَعَ حَيْسًا فِيْ نِطَعٍ.
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল ‘আশিরাহ্ আলাইহাস সালাম উনার সঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবাতুল আ’যীম শরীফ সম্পন্ন করলেন। আমি উনার মহাসম্মানিত ওলীমা মুবারক উনার জন্য হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুম উনাদেরকে দাওয়াত করলাম। উনার মুবারক নির্দেশ মোতাবেক পবিত্র দস্তরখান বিছানো হলো। তারপর খেজুর, মাখন ও ঘি দেয়া হলো। হযরত আমর রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু তিনি হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণনা করেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল ‘আশিরাহ্ আলাইহাস সালাম উনার সঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবাতুল আযীম শরীফ গ্রহণ করলেন এবং চামড়ার দস্তরখানে “হাইস” তৈরী করলেন।” (বুখারী শরীফ : কিতাবুত ত্ব‘য়ামাহ : পবিত্র হাদীছ শরীফ নং ৫৩৮৭)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَرُوْسًا بِاُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ السَّابِعَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ فَعَمَدَتْ حَضْرَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ رَضِيَ الله تَعَالَى عَنْهَا اِلٰى تَمْرٍ وَسَمْنٍ وَأَقِطٍ فَصَنَعَتْ حَيْسًا فَجَعَلَتْهُ فِىْ تَوْرٍ فَقَالَتْ يَا حَضْرَتْ اَنَسُ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اذْهَبْ بِهٰذَا اِلٰى رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْ بَعَثَتْ بِهٰذَا إِلَيْكَ اُمِّىْ وَهِيَ تَقْرَئُكَ السَّلَامَ فَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَدْعُ لِيْ فُلَانًا وَفُلَانًا رِجَالًا سَمَّاهُمْ وَادْعُ فِيْ مَنْ لَقِيْتَ فَدَعَوْتُ مَنْ سَمّٰى وَمَنْ لَقِيْتُ فَرَجَعْتُ فَاِذَا الْبَيْتُ غَاصٌ بِاَهْلِهٖ قِيْلَ لِحَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ مَا عَدَدُهُمْ؟ قَالَ كَانُوْا ثَلٰثَ مِائَةٍ فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَضَعَ يَدَهُ الشَّرِيْفَةُ عَلٰى تِلْكَ الْحَيْسَةِ وَتَكَلَّمَ بِمَا شَاءَ اللهُ ثُمَّ جَعَل يَدْعُوْ عِنْدَهٗ عَشَرَةٌ يَأْكُلُوْنَ مِنْهُ وَيَقُوْلُ لَهُمْ أُذْكُرُوْا اللهَ وَلِيَأْكُلْ كُلُّ رَجُلٍ مِمَّا يَلِيْهِ فَأَكَلُوْا حَتّٰى شَبِعُوْا كُلُّهُمْ ثُمَّ قَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيْ يَا حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اِرْفَعْ فَرَفَعْتُ فَمَا أَدْرِيْ حِيْنَ وَضَعْتُ كَانَتْ أَكْثَرُ أَوْ حِيْنَ رَفَعْتُ.
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে যখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘আহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আ’যীম শরীফ অনুষ্ঠিত হয়, তখন (আমার সম্মানিতা আম্মাজান) হযরত উম্মু সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা তিনি গিয়ে খেজুর, মাখন/ঘি এবং পনির মিশ্রিত করে “হাইস” নামক এক প্রকার খাবার তৈরী করে একটি পাত্রের মধ্যে রাখেন। তারপর বলেন, হে হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু। আপনি এই সম্মানিত খাবার মুবারক নিয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত খিদমত মুবারকে গিয়ে বলুন, এই সম্মানিত খাবার মুবারক আপনার জন্য আমার সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম তিনি পাঠিয়েছেন এবং তিনি আপনার মহাসম্মানিত খিদমত মুবারকে সম্মানিত সালাম মুবারক পেশ করেছেন। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অনেকের নাম মুবারক উল্লেখ করে ইরশাদ মুবারক করেন, আমার নিকট আপনি অমুক অমুক এবং যাঁদের সাথে আপনার সাক্ষাৎ হয় উনাদেরকে ডেকে আনুন। তারপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যাঁদের নাম মুবারক উল্লেখ করেছেন এবং আমার সাথে যাদের সাক্ষাৎ হয়েছে উনাদেরকে ডেকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত খিদমত মুবারকে ফিরে আসলাম। অতঃপর দেখলাম যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ লোক দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে গেলেন। হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু উনাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, উনাদের সংখ্যা কত ছিলেন। তিনি বলেন, উনারা ৩০০ জন ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
(হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু তিনি বলেন) এরপর আমি দেখলাম যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাহ মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক) সেই খাবারের পাত্রের মধ্যে রেখে মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ইরাদা বা ইচ্ছা মুবারক অনুযায়ী কিছু বাক্য মুবারক পাঠ করলেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খাবার খাওয়ার জন্য উনার নিকট ১০ জন ১০ জন করে লোক ডাকলেন এবং উনাদেরকে বললেন, আপনারা “বিসমিল্লাহ শরীফ” বলে প্রত্যেকেই পাত্রের নিজ নিজ দিক থেকে খাবার মুবারক গ্রহণ করুন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর উনারা প্রত্যেকেই তৃপ্তি সহকারে খেলেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে বললেন, হে হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু। আপনি ঢাকনা মুবারক তুলুন। অতঃপর আমি ঢাকনা মুবারক তুললাম। আমি জানি না যে, যখন পাত্র মুবারকে খাবার রাখা হয়েছে তখন বেশি খাবার মুবারক ছিলো, নাকি যখন ঢাকনা মুবারক তুললাম তখন বেশি খাবার মুবারক ছিলো। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ পাত্র মুবারকে যখন খাবার মুবারক রাখা হয়েছে তখন যে পরিমাণ খাবার মুবারক ছিলো এবং যখন ঢাকনা মুবারক তুললাম তখনও ঠিক সেই পরিমাণই খাবার মুবারক ছিলো।” সুবহানাল্লাহ! (আস সীরাতুল হালাবিয়্যাহ শরীফ ৩/৪০৯)
পবিত্র মদীনা শরীফে এখনও অতিথি আপ্যায়নে মিষ্টান্ন হিসেবে মহাসম্মানিত সুন্নতী খাবার হাইস পরিবশেন করা হয়।
বর্তমানে পবিত্র মদীনা শরীফে প্রচলিত হাইস তৈরীর পদ্ধতি :
উপকরণ : ১. খেজুর, ২. পনির, ৩. মাখন/ঘি
তৈরীর পদ্ধতি-১ খেজুর, পনির ও মাখন/ঘি একসাথে মিশ্রিত করে কাঁইয়ের মতো করা হয়। আধা কাপ পানি দিয়ে কিছুক্ষণ চুলায় জাল দেয়া হয়। মিশ্রণটি হালুয়ার মতো হলে নামিয়ে ফেলা হয়। কিছুটা ঠা-া হওয়ার পর নাড়ুর মতো গোল গোল করে পরিবেশন করা যায় অথবা ছুড়ি দিয়ে কেটে চৌকোণাকৃতির করা যায়।
তৈরীর পদ্ধতি-২ মাখন/ঘি একটি কড়াইতে গলানো হয়। তাতে আধা কাপ যবের গুড়া বা ময়দা দিয়ে লালচে রং আসা পর্যন্ত ভালোভাবে নাড়তে হয়। এ সময় খেজুরগুলোর বিচি বের করে ম- তৈরী করা হয়। ম-টি মাখন ও ময়দার মিশ্রণের সাথে দিয়ে ভালোভাবে মিশ্রিত করে ফেলা হয়। চুলা থেকে নামিয়ে হাইস ঠা-া করা হয়। অতঃপর কেটে অথবা গোল করে পরিবেশন করা হয়।
তৈরীর পদ্ধতি-৩ প্রথমে মাখন বা ঘি দিয়ে আটা/যবের গুড়া হালকা ভাজতে হবে। বিচি ছাড়ানো খেজুর পানিতে সিদ্ধ করে সেই পাত্রেই ধীরে ধীরে আটা দিতে হবে এবং সাথে সাথে হাতে ব্লেন্ড করতে হবে অথবা দ্রুত নাড়তে হবে। সবগুলোর মিশ্রণ ভালোভাবে হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলতে হবে। হাইস হালকা অবস্থায় অথবা পুরোপুরি ঠা-া করেও পরিবেশন করা যায়।
উপকরণ
১. খেজুর (১ কেজি),
২. মাখন অথবা ঘি (২০০ গ্রাম),
৩. পানি (৫০০ মিলি),
৪. যবের আটা (৫০০ গ্রাম)।
-আহমদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
জুতা-মোজা ঝেড়ে পরিস্কার করে পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী ফল ‘আঙুর’
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
চামড়ার মোজা পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সকল ধরণের সুন্নতী খাবার বরকতময় রোগমুক্ত শিফা দানকারী সুন্নতী খাদ্য “ভাত”
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০৩)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন খাছ সুন্নতী “টুপি
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০২)
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী ফল ‘ডুমুর’
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (১)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাবার ‘তালবীনা’
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সুন্নতী খাবার পরিচিতি ও উপকারিতা : দুধ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খেজুরের রস খাওয়া খাছ সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত (২)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)