মহাসম্মানিত মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ হলেন ২২শে মুহররমুল হারাম শরীফ ‘ইয়াওমুল ফিল’
, ২২ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১১ ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ১০ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ২৬ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
যিনি খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَذَكِّرْهُمْ بِاَيَّامِ اللَّهِ اِنَّ فِي ذٰلِكَ لَاٰيٰتٍ لِّكُلِّ صَبَّارٍ شَكُوْرٍ
অর্থ: “আর আপনি মহাসম্মানিত আইয়্যামুল্লাহ শরীফ তথা মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ দিন মুবারক সম্পর্কে তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিন, জানিয়ে দিন। নিশ্চয়ই এতে প্রত্যেক ধৈর্য্যশীল ও শুকুরগুজার বান্দা-বান্দী, উম্মতের জন্য সম্মানিত আয়াত তথা নিদর্শন, উপদেশ, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি, মা’রিফাত-মুহব্বত মুবারক নিহিত রয়েছে।” সুবহানাল্লাহ! (মহাপবিত্র সূরা ইবরাহীম শরীফ : মহাপবিত্র আয়াত শরীফ ৫)
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِأَصْحَابِ الْفِيلِ
অর্থ: আপনি কি দেখেননি অর্থাৎ আপনি তো অবশ্যই দেখেছেন আপনার রব তায়ালা মহান আল্লাহ পাক তিনি হস্তীবাহিনীর সাথে কিরূপ ব্যবহার করেছেন?
উক্ত মহাসম্মানিত মহাপবিত্র আয়াত শরীফ উনার তাফসীর শরীফ, সংশ্লিষ্ট মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ এবং ইসলামের ইতিহাস থেকে জানা যায়, সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্ত্বালিব আলাইহিস সালাম) উনার সময়ে আবরাহা এসেছিলো মহাসম্মানিত মহাপবিত্র কা’বা শরীফ ধ্বংস করার জন্য। নাউযুবিল্লাহ! যা ছিল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের ৫০ দিন পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২২শে মুহররমুল হারাম শরীফ মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ)। সুবহানাল্লাহ!
কিন্তু সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্ত্বালিব আলাইহিস সালাম) উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বদদো‘আর কারণে আছ্হাবুল ফীল তথা হস্তি বাহিনী অর্থাৎ আবরাহা ও তার দলবল খোদায়ী গযবে পরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়, ধ্বংস হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ!
উক্ত প্রেক্ষিতে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত মহাপবিত্র নুরুস সালাম মুবারক তথা মহাসম্মানিত মহাপবিত্র জবান মুবরকে এ প্রসঙ্গে তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
“মহাসম্মানিত মহাপবিত্র ২২শে মুহররমুল হারাম শরীফ দিনটিই বিশেষ একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ। হস্তি বাহিনীর ধ্বংসের দিবস যা ইয়াওমুল ফীল বা হস্তি বাহিনীর ধ্বংসের দিবস।”
এই দিবস মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার বিজয়ের দিবস, খুশি মুবারক প্রকাশের বিশেষ দিন এবং কাফির-যালিম আবরাহা বাহিনীর ধ্বংসের দিবস, সে মুতাবিক উক্ত ২২ শে মুহররমুল হারাম শরীফ হলো বিশেষ আইয়্যামুল্লাহ শরীফ যাকে ‘ইয়াওমুল ফীল তথা হস্তি বাহিনীর ধ্বংসের দিবস’ হিসেবে নামকরণ মুবারক করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
আমরা সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্বালিব আলাইহিস সালাম) উনার মুবারক বদদোয়ার প্রেক্ষিতেই মহাসম্মানিত মহাপবিত্র ক’াবা শরীফ পেয়েছি। আর উনার মুবারক উছীলাতেই কা’বার ক’াবা মালিকুত তামাম ছহিবুন নিয়াম নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে লাভ করতে পেরেছি। এ কারণে এটা মহান খুশি মুবারক প্রকাশের এক বিশেষ উপলক্ষ্য মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্বালিব আলাইহিস সালাম) উনার মুবারক স্বপ্নের কারণে উনার মুবারক উছীলায় আমরা দুই যাবিহ আলাইহিমাস সালাম উনাদের আওলাদ কা’বার ক’াবা মালিকুত তামাম ছহিবুন নিয়াম নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নবী ও রসূল হিসেবে লাভ করেছি। সুবহানাল্লাহ!
আমরা সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্বালিব আলাইহিস সালাম) উনার থেকে কাফির, যালিমদের জন্য বদদোয়া করার তরতীব মুবারক উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক শিখতে পেরেছি যে, কিভাবে কাফিরদের জন্য বদদোয়া করতে হয় এবং কিভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার সাহায্য পেয়ে বিজয় লাভ করা যায়।
প্রেক্ষিত কারণেই মুবারক এই দিবসে বদদোয়ার উছীলায় আছহাবুল ফীল ধ্বংস হওয়ায় উনারা যেমন ফালইয়াফরাহূ শরীফ- খুশি মুবারক প্রকাশ করেছিলেন তেমনি আমরা উনাদের এ সমস্ত নিয়ামতরাজি প্রকাশের দরুন উক্ত দিবস মুবারককে মহাসম্মানিত মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ হিসেবে পালন করতেছি এবং খুশি মুবারক প্রকাশ করতেছি। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই এই দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক। এ সম্মানিত দিবস উপলক্ষে পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল করে উনাদের পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করে ইবরত-নছীহত গ্রহণ করে তা আমলে বাস্তবায়ন করা ঈমানী জযবার বহিঃপ্রকাশ। বদদোয়া করার তরতীব শিক্ষা গ্রহণের অপূর্ব সুযোগ। সুবহানাল্লাহ!
-শেখ মুহম্মদ আব্দুর রহমান মাছূম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিক্বাহ বা ফতওয়ার সকল কিতাবেই গান-বাজনা, বাদ্য-যন্ত্র ইত্যাদিকে হারাম ফতওয়া দেয়া হয়েছে
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ঈমানদীপ্ত ঐতিহ্য (৪২)
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
কদমবুছী করা খাছ সুন্নত মুবারক
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
যে সমস্ত উলামায়ে সূ’ ও তাদের শাগরেদ নামধারী মুসলমানরা মুশরিকদের মন্দির ও পূজায় পাহারা দিয়েছে তাদের ব্যাপারে শরঈ ফায়ছালা (৩)
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রত্যেক মুসলমান পুরুষের জন্য দাড়ি রাখা ফরয
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মূর্তি, প্রতিমা, ভাস্কর্য, ম্যানিকিন ও ছবি নাজায়িয ও হারাম
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যে সমস্ত উলামায়ে সূ’ ও তাদের শাগরেদ নামধারী মুসলমানরা মুশরিকদের মন্দির ও পূজায় পাহারা দিয়েছে তাদের ব্যাপারে শরঈ ফায়ছালা (২)
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)