মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২১শে শাওওয়াল শরীফ হচ্ছেন আন্তর্জাতিক পবিত্র বাল্যবিবাহ দিবস। বাল্যবিবাহ করা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক; অস্বীকার করা কাট্টা কুফরী।
দেশের ছেলে-মেয়েদের চরিত্র ও পবিত্র ঈমান রক্ষার্থে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ নয় বরং বাল্যবিবাহের পক্ষে ব্যাপক প্রচারণা চালানো উচিত- ৩
, ২০ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১১ ছানী ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ১১ মে, ২০২৩ খ্রি:, ২৮ বৈশাখ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
সম্মানিত দ্বীন ইসলামবিদ্বেষী যালিম ব্রিটিশ বেনিয়াদের প্রণীত আইনে শাস্তির মেয়াদ ১ মাসের কারাদ- এবং ১ হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিলো। আর বর্তমান বাংলাদেশ সরকার আরো জঘন্যভাবে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধী অর্থাৎ পবিত্র ও মহাসম্মানিত কুরআন শরীফ এবং পবিত্র ও মহাসম্মানিত সুন্নাহ শরীফ উনাদের বিরোধী কথিত ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন’ তৈরি করেছে। নাউযুবিল্লাহ! যা মূলত মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরই বিরোধিতা করা ও উনাদেরই বিরুদ্ধে বলা; যা কাট্টা কুফরী। নাউযুবিল্লাহ!
অতএব, সম্মানিত দ্বীন ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- অতিসত্বর বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রত্যাহার করা এবং বাল্যবিবাহকে খাছ সুন্নত মুবারক হিসেবে মেনে নেয়া।
সম্মানিত শরীয়ত বিরোধী ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন’ এই আইনকে প্রয়োগ করার জন্য দেশের সরকার ও তথাকথিত শিক্ষিত সমাজ প্রগতিবাদীরা উঠে পড়ে লেগেছে। অথচ বর্তমান সরকার প্রধানের পিতা-মাতার বিবাহ হয় বাল্য বয়সে। নিচে সেই ইতিহাসের কিছুঅংশ বিশেষ এবং সূত্র দেয়া হলো- “১৯৩০ সালের ৮ই আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রাামে ফজিলাতুন্নেছা জন্ম গ্রহণ করেন। মাত্র তিন বছর বয়সে পিতা শেখ জহুরুল হক ও পাঁচ বছর বয়সে মাতা হোসনে আরা বেগমকে হারান তিনি। ১৯৩৮ সালে চাচাত ভাই (শেখ লুৎফর রহমানের পুত্র) শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে বেগম ফজিলতুন্নেছার বিবাহ হয়। তখন মুজিবুরের বয়স ১৮ আর তার ৮। এই দম্পতির ঘরে দুই কন্যা এবং তিন পুত্রের জন্ম হয়। কন্যারা হলেন, শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহেনা। আর পুত্রদের নাম শেখ কামাল, শেখ জামাল এবং শেখ রাসেল। তিনজন পুত্রই ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট রাতে আঁততায়ীদের হাতে নিহত হন। সেই রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার সময় ঘাতকরা পরিবারের অপরাপর সদ্যস্যদের সঙ্গে বেগম মুজিবকে নির্মমভাবে হত্যা করে।” (তথ্য সংগৃহীত)
উল্লেখ্য, সে সময়ে বর্তমান আইন চালু থাকলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দাদা-দাদী, নানা-নানী উনারা শাস্তি পেতেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি দরদী দাবিদাররা কী তা ভালোভাবে নিতে পারবে? মূলত তা ভালোভাবে নেয়ার বিষয়ও নয়।
কারণ পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের বিধান অনুযায়ী ছেলে ও মেয়েকে বিবাহ করার ও বিবাহ দেয়ার জন্য কোন বয়স নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়নি। কাজেই পৃথিবীর কোন সরকার তা রাজতান্ত্রিক হোক অথবা সমাজতান্ত্রিক বা গণতান্ত্রিকই হোক অথবা নাস্তিকবাদী হোক অথবা অন্য কোনো মতবাদই হোক না কেন তাদের কাউকে এমন কোন ক্ষমতা দেয়া হয় নাই যে, তারা সম্মানিত শরীয়ত উনার উপর হস্তক্ষেপ করবে। আর বাংলাদেশের সরকারের জন্যও কোন অবস্থাতেই জায়িয হবে না, মহাসম্মানিত সুন্নতী বাল্যবিবাহের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা। বরং এ সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে অতিসত্বর বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন তুলে দিয়ে “বাল্যবিবাহ খাছ সুন্নত মুবারক” এ আইন জারি করা এবং এরপক্ষে প্রচারণা চালানো। এটাই সকল মুসলমানদের প্রাণের দাবি। কেননা, “নেক কাজ শুধুমাত্র সৌভাগ্যবান বা নেককাররাই করতে পারে।”
বাল্যবিবাহ নিয়ে কাফির মুশরিকগুলো অপপ্রচার করে সাধারণ মানুষের মনে মগজে ঢুকিয়ে দিয়েছে যে, বাল্যবিবাহ একটি অভিশাপ। নাঊযুবিল্লাহ! নাঊযুবিল্লাহ! নাঊযুবিল্লাহ!
ইহুদী-নাছারাদের নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন মিডিয়া সংবাদ প্রচার করে এভাবে যে, বাল্যবিবাহের অভিশাপ থেকে রক্ষা পেল ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী। নাঊযুবিল্লাহ! আমেরিকায় এক জরিপে দেখা গেছে, যত শিশু জন্মেছে তার ৫৯ শতাংশের মা হলো বিবাহিত অর্থাৎ কুমারী মায়ের সংখ্যা ৪১ শতাংশ। ব্রিটেনে ২০০ বছরের মধ্যে বিবাহের আগে সন্তান জন্ম দেয়া এবং লিভ টুগেদার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই বিবাহের আগে লিভ টুগেদার করছে অথবা বিবাহের চেষ্টা করছে না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে এ সংখ্যা ছিল ৩০ জনে একজন। ৩০ বছর পূর্বে বিবাহের আগের সন্তান হওয়াটা ছিল লজ্জাজনক। বর্তমানে বাংলাদেশেও এই লজ্জাজনক বিষয়টিকেও তারা প্রমোট করে যাচ্ছে। ছেলে-মেয়েদেরকে অশ্লিল-অশালীন আচার-আচরণ, কথা-বার্তা, পোশাক-আশাক পরিধানে, লিভটুগেদারে উৎসাহিত করে যাচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!
এসব কুরুচি, জঘন্য পাপাচার, অশ্লিল ও সম্মানিত শরীয়ত উনার খিলাফ কাজ থেকে সকল মুসলমানকে হিফাযত থাকতে হবে এবং এসব হারাম কাজ থেকে হিফাযত থাকার জন্য যে সকল কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন সেকল কার্যক্রমও গ্রহণ করতে হবে।
-আহমদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
জুতা-মোজা ঝেড়ে পরিস্কার করে পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী ফল ‘আঙুর’
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
চামড়ার মোজা পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সকল ধরণের সুন্নতী খাবার বরকতময় রোগমুক্ত শিফা দানকারী সুন্নতী খাদ্য “ভাত”
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০৩)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন খাছ সুন্নতী “টুপি
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০২)
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী ফল ‘ডুমুর’
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (১)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাবার ‘তালবীনা’
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সুন্নতী খাবার পরিচিতি ও উপকারিতা : দুধ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খেজুরের রস খাওয়া খাছ সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত (২)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)