মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী খাবার দুধ (حَلِيْبُ) “হালীব”-১
, ০২ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১১ ছানী, ১৩৯২ শামসী সন , ০৯ জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ২৫ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম

দুধ শব্দের আরবী: (حَلِيْبُ) হালীব। তবে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে দুধ বুঝাতে লাবান শব্দটিও ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ قَالَ دَخَلْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَا وَخَالِدُ بْنُ الوَلِيدِ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ عَلَى حَضْرَتْ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ الثَّالِثَةِ عَشَرَ عَلَيْهَا السَّلَامُ فَجَاءَتْنَا بِإِنَاءٍ مِنْ لَبَنٍ فَشَرِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا عَلَى يَمِينِهِ وَخَالِدٌ عَلَى شِمَالِهِ فَقَالَ لِي الشَّرْبَةُ لَكَ فَإِنْ شِئْتَ آثَرْتَ بِهَا خَالِدًا فَقُلْتُ مَا كُنْتُ أُوثِرُ عَلَى سُؤْرِكَ أَحَدًا ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَطْعَمَهُ اللَّهُ الطَّعَامَ فَلْيَقُلْ اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيهِ وَأَطْعِمْنَا خَيْرًا مِنْهُ وَمَنْ سَقَاهُ اللَّهُ لَبَنًا فَلْيَقُلْ اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيهِ وَزِدْنَا مِنْهُ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْسَ شَيْءٌ يَجْزِي مَكَانَ الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ غَيْرُ اللَّبَنِ.
অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আমি এবং হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালিদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র হুজরা শরীফ উনার মধ্যে তাশরীফ মুবারক নিলাম। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি এক পাত্র দুধ আমাদের নিকট পাঠালেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (তা হতে) পান করলেন। উনার ডান পাশে আমি ছিলাম এবং উনার বাম পাশে ছিলেন হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালীদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে বললেন, এখন আপনার পান করার পালা। তবে আপনি চাইলে আপনার উপর হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালীদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে অগ্রাধিকার দিতে পারেন। আমি বললাম, আপনার উচ্ছিষ্ট পানীয় মুবারকে অন্য কাউকে অগ্রাধিকার দিবো না। তারপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে আহার করান তিনি যেন বলেন-
اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيهِ وَأَطْعِمْنَا خَيْرًا مِنْهُ
“আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফীহি ওয়া আত্বয়িমনা খইরাম মিনহু”
(অর্থাৎ আয় মহান আল্লাহ পাক! আমাদেরকে এ খাদ্যে বরকত দান করুন এবং আমাদেরকে এর চাইতে উত্তম খাবার আহার করান)।
আর মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে দুধ পান করান তিনি যেন বলেন,
اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيهِ وَزِدْنَا مِنْهُ
“আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফীহি ওয়া যিদনা মিনহু”
(অর্থাৎ আয় মহান আল্লাহ পাক! আমাদেরকে এ দুধে বরকত দান করুন এবং আমাদেরকে এর চাইতেও বেশি দান করুন)।
এরপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, একই সঙ্গে পান ও আহারের জন্য যথেষ্ট হওয়ার মত দুধের বিকল্প কোন খাবার নেই। ” (তিরমিযী শরীফ কিতাবুদ দাওয়াত: পবিত্র হাদীছ শরীফ নং ২৪৫৫, ইবনে মাজাহ শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ নং ৩৩২২)
গরুর দুধ খাওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান:
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ رَضِيَ الله تَعَالَى عَنْهُ أنَّ النبي صلى الله عَلَيْهِ وَسَلَّم قَالَ إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ لَمْ يَضَعْ دَاءً إلا وضع له شفاءً فَعَلَيْكُمْ بِأَلْبَانِ الْبَقَرِ فَإِنَّهَا تَرم مِنْ كُلِّ الشَّجَرِ.
অর্থ: “হযরত ত্বরিক ইবনে শিহাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এমন কোন অসুস্থতা রাখেননি যার কোন প্রতিকার বা চিকিৎসাও রাখেননি। তাই আপনাদের জন্য রয়েছে গরুর দুধ (আপনাদের গরুর দুধ পান করা উচিত), কারণ তারা সব ধরনের তৃণলতা খেয়ে পুষ্টি লাভ করে থাকে। ” (মুসনাদে আহমাদ শরীফ ৪র্থ খ- ৩১৫ পৃষ্ঠা : পবিত্র হাদীছ শরীফ নং ১৮৮৫১, মিশরের ছাপা) (অসমাপ্ত)
-আহমদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী ফল “আনার বা ডালিম
১১ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নতী ও জান্নাতী ফল “আঙ্গুর”
১১ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন ঘুম বা বিশ্রামের জন্য সুন্নতী চকি
১০ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জুতা-মোজা ঝেড়ে পরিস্কার করে পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক
১০ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খেজুর পাতার চাটাইয়ে এবং দাবাগাত করা চামড়ার উপর নামায আদায় করা খাছ সুন্নত মুবারক
০৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র শাওওয়াল শরীফ মাসে ৬টি রোযা রাখা খাছ সুন্নত মুবারক এবং বেমেছাল ফযীলত মুবারক লাভের কারণ (৪র্থ )
০৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী চামড়ার বালিশ
০৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সুন্নত মুবারক পালনে কোন হীনম্মন্যতা নয়, বরং সব পরিবেশেই দৃঢ়চিত্ত থাকতে হবে
০৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সুন্নত মুবারক পালনের অসামান্য ফযীলত
০৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন এলকোহলমুক্ত বিশুদ্ধ সুগন্ধি সুন্নতী আতর
০৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র শাওওয়াল শরীফ মাসে ৬টি রোযা রাখা খাছ সুন্নত মুবারক এবং বেমেছাল ফযীলত মুবারক লাভের কারণ (৩য়)
০৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী ফল ‘আঙুর’
০৫ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)