মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী খাবার কদু-৩
, ০৯ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ৩০ ছানী ‘আশার, ১৩৯০ শামসী সন , ৩০ মে, ২০২৩ খ্রি:, ১৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
মহাসম্মানিত সুন্নতী সবজি কদু হজমে সাহায্য করে। কদুতে প্রচুর পরিমাণে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় ফাইবার আছে। দ্রবণীয় ফাইবার খাবার সহজে হজম করতে সাহায্য করে এবং হজম সংক্রান্ত সকল সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে। তাই নিয়মিত সুন্নতী সবজি কদু খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, অর্শ, পেটফাঁপা ও অ্যাসিডিটি সমস্যা সমাধানে খুবই উপকার পাওয়া যায়। অদ্রবণীয় ফাইবার পাইলসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
নিয়মিত সুন্নতী সবজি কদু খাওয়া হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কদুতে কলেস্টেরল পরিমাণ শূন্য; যা হার্টের রোগীদের সুস্থ রাখতে অত্যন্ত সহায়ক। এতে ভিটামিন-সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে রয়েছে; যা হার্টের জন্য খুবই উপকারী।
সুন্নতী সবজি কদুর বেশিরভাগ অংশ পানি দ্বারা পূর্ণ; যা খেলে দেহের উপর শীতল প্রভাব ফেলে। ফলে মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। অর্থাৎ নিয়মিত কদু খেলে মানসিক চাপ কমে। উচ্চ রক্তচাপবিশিষ্ট রোগীদের জন্য কদু আদর্শ সবজি।
সুন্নতী সবজি কদুতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকায় নিয়মিত কদু খেলে প্রসাবে কোনো সমস্যা হয় না। প্রস্রাবের জ্বালা-পোড়ার সমস্যা দূর করতে এবং প্রসাব যাতে হলুদ না হয়, সেজন্য নিয়মিত কদু খাওয়া খুবই জরুরী।
সুন্নতী সবজি কদু দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। নিদ্রাহীনতা দূর করে পরিপূর্ণ ঘুমের জন্য কদু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কদুতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস, যা দেহের ঘামজনিত লবণের ঘাটতি দূর করে। দাঁত ও হাঁড়কে মজবুত করে।
শরীরের নানা রোগ দূর করতে মহাসম্মানিত সুন্নতী খাবার কদু ব্যাপক ভূমিকা রাখে। কদু খেলে স্বাস্থ্যের যেসব উপকারিতা পাওয়া যায় তা নিচে আরো কিছু আলোচনা করা হল।
ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়:
কদুতে উপস্থিত বিশেষ কিছু উপাদান শরীরে প্রবেশ করে ত্বক ভিতর থেকে স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে। ফলে সৌন্দর্য বাড়ে। সেইসাথে তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে আসে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
প্রতিদিন কদুর রসের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীরের রোগ সংক্রমিত কম হওয়ার পাশাপাশি ছোট-বড় নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
মানসিক চাপ কমায়:
কদুর মধ্যে সেডাটিভ উপাদান থাকে যা শরীর ঠা-া করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ কারণে কদু খেলে মানসিক চাপ কমে।
শরীর ঠা-া করে:
অনেক সময়ই শরীরের ভেতরের তাপমাত্রা বেশ বেড়ে যায়, যা একেবারেই ভালো লক্ষণ নয়। তাইতো সপ্তাহে ২-৩ দিন নিয়মিত কদু খাওয়া উচিত। কারণ কদুর প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে, রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ, যা শরীরকে ঠা-া রাখার পাশাপাশি দেহের ভেতরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানও বের করে দেয়। ফলে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে:
উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের ডায়েটে কদু দিয়ে তৈরি খাবার রাখা জরুরি। কারণ এতে রয়েছে এমন কিছু পুষ্টিকর উপাদান, যা রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকলে হার্টের স্বাস্থ্যও ভালো হয়ে উঠে।
হৃদরোগের জন্য উপকারী:
কদু হৃৎপি-ের জন্যও বেশ উপকারী। প্রতি সপ্তাহে ৩ বার কদুর রস খেলে হৃৎপি- ভালো থাকে। এটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও ভূমিকা রাখে।
ওজন কমায়:
যারা ওজন কমাতে চান তারা নিয়মিত খাদ্যতালিকায় কদু রাখতে পারেন। এতে থাকা আয়রন, ভিটামিন ও পটাশিয়াম ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া কদুর পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার ও অ্যালকালি থাকায় এটি অ্যাসিডিটির সমস্যা কমায়। ফলে হজমশক্তি বাড়ে।
ঘুমের সমস্যা কমায়:
কারো ঘুমের সমস্যা থাকলে তারা কদুর রসের সঙ্গে সামান্য তিলের তেল মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে ঘুমের সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।
চুল পাকা প্রতিরোধ করে:
দূষণের কারণে আজকাল অনেকেরই অল্প বয়সে চুল পাকা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। নিয়মিত কদু খেলে এ সমস্যা কমে যায়।
অর্থাৎ মহাসম্মানিত সুন্নতী সবজি কদুকে মহান আল্লাহ পাক তিনি বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে হিফাযত থাকার উছীলা এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে আরোগ্য লাভেরও উছীলা করেছেন।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কদুকে পছন্দ মুবারক করার কারণে মহান আল্লাহ পাক তিনি কদুর মধ্যে এত বেশুমার রহমত, বরকত, নিয়ামত মুবারক দান করেছেন এবং কদু এত উপকারিতায় সমৃদ্ধ হয়েছে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকে নিয়মিত কদু খেয়ে মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার ইত্তেবা করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
-আহমদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাবারের পাত্র কাঠের বাটি বা পেয়ালা
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী চামড়ার বালিশ
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সুন্নত মুবারক পালনে কোন হীনম্মন্যতা নয়, বরং সব পরিবেশেই দৃঢ়চিত্ত থাকতে হবে
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার ইত্তেবা ও মুহাব্বত মুবারকে সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার বেমেছাল দৃষ্টান্ত মুবারক
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুতা-মোজা ঝেড়ে পরিস্কার করে পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী ফল ‘আঙুর’
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
চামড়ার মোজা পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সকল ধরণের সুন্নতী খাবার বরকতময় রোগমুক্ত শিফা দানকারী সুন্নতী খাদ্য “ভাত”
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০৩)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন খাছ সুন্নতী “টুপি
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০২)
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী ফল ‘ডুমুর’
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)