মহান আল্লাহ পাক তিনি সূরা জারিয়াত উনার ৫৬নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি জ্বীন এবং ইনসানকে সৃষ্টি করেছি একমাত্র আমার ইবাদতের জন্য।” ইলমে তাসাউফ অর্জন করা ব্যতীত ইবাদত মূল্যহীন।
প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- যামানার মুজাদ্দিদ ও কামিল শায়েখ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছোহবত মুবারক ইখতিয়ারের মাধ্যমে ইলমে ফিকাহ্ ও ইলমে তাছাউফ উভয় প্রকার ইলম অর্জন করে মু’মিনে কামিল হওয়া।
, ২৯ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৭ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ০৫ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ২১ শ্রাবণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২
আল-ইহসান প্রতিবেদন:
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তাদের কাছে যে কিতাব আছে তার সত্যায়ণকারী স্বরূপ আমি আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি হিফাযতকারীরূপে। অতঃপর আপনি তাদের মাঝে মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব অনুসারে ফায়ছালা করুন। আপনার কাছে হক্ব আসার পর তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না। অর্থাৎ আপনার উম্মত যেন তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ না করে। আমি তোমাদের প্রত্যেকের জন্য শরীয়ত ও ত্বরীকত দিয়েছি।” এই মহাসম্মানিত আয়াত শরীফ উনার মধ্যে দু’টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে: (১) শরীয়ত (২) ত্বরিক্বত। শরীয়ত হল- যাহিরী বিধান। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি সূরা জারিয়াত উনার ৫৬নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি জ্বীন এবং ইনসানকে সৃষ্টি করেছি একমাত্র আমার ইবাদতের জন্য।” আর এই ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য যেই খুলুছিয়াত বা হুজুরী প্রয়োজন সেই খুলুছিয়াত বা হুজুরী পয়দা করার ইলম হল- ইলমে তাসাউফ বা মা’রিফাত বা ত্বরিক্বত।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, ইলমে ফিক্বাহ ও ইলমে তাসাউফ একটি অপরটির পরিপূরক। তাই কোন ব্যক্তি যদি শুধু ইলমে ফিক্বাহ অর্জন করে কিন্তু ইলমে তাসাউফ অর্জন না করে তাহলে এটা তার জন্য হবে হিজাবে আকবর অর্থাৎ সবচেয়ে বড় পর্দা। আর যদি উভয়টি অর্জন করে তবে ইহা তার জন্য হবে হিদায়েতে আকবর। অর্থাৎ সবচেয়ে বড় হিদায়েত। তরীক্বত বা ইলমে তাসাউফ ছাড়া শুধুমাত্র শরীয়ত বা ইলমে ফিক্বাহ অর্জন করার মাধ্যমে কখনই পরিপূর্ণ ইলম বা হিদায়েত লাভ করা সম্ভব নয়। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,“আর যদি তারা তরীক্বতের উপর ইস্তেকামত থাকত তাহলে আমি তাদেরকে প্রচুর পানি দ্বারা সিক্ত করতাম। অর্থাৎ যে ব্যক্তি ইলমে ফিক্বাহর পাশাপাশি তরীক্বত বা ইলমে তাসাউফ অর্জন করতে পারবে তাকে পর্যাপ্ত ইলম দানের মাধ্যমে সিক্ত করা হবে অর্থাৎ ইতমিনান করা হবে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি উম্মিদের মাঝে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি উনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক উনার আয়াত শরীফ তিলাওয়াত করে শুনাবেন, তাযকিয়া করবেন, কিতাব এবং হিকমত শিক্ষা দিবেন যদিও ইতিপূর্বে তারা স্পষ্ট গোমরাহীর মধ্যে ছিল অর্থাৎ হিদায়েতের উপর ছিল না। উনাদের পরে আরো অনেকে আসবেন যারা এখনো উনাদের সাথে মিলিত হন নি। তিনিই পরাত্রুমশীল, প্রজ্ঞাময়। এটা মহান আল্লাহ পাক উনার ফযল বা অনুগ্রহ, তিনি যাকে ইচ্ছা তাকেই দান করেন। মহান আল্লাহ পাক সবচেয়ে বড় অনুগ্রহশীল।” এই মহাসম্মানিত আয়াত শরীফ উনার থেকে যে বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়, মহান আল্লাহ পাক তিনি যুগে যুগে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে যমীনের বুকে প্রেরণ করেছেন। যেন উনারা উনাদের উম্মতদেরকে কিতাব, হিকমত অর্থাৎ ইলমে ফিক্বাহ এবং ইলমে তাসাউফ শিক্ষা দেন এবং তাদেরকে তাযকিয়া অর্থাৎ অন্তর পরিশুদ্ধ করেন। আর উনারাও সেই সম্মানিত কাজের যথাযথ আঞ্জাম দিয়েছেন এবং উনাদের পরে উনাদের ক্বায়িম-মাক্বাম হিসেবে যুগে যুগে নায়িবে রসূল, ওয়ারাছাতুল আম্বিয়া উনারা এসেছেন, আসবেন। উনারাও অনুরূপ করেছেন, করবেন। কিয়ামত পর্যন্ত এ ধারা বলবৎ থাকবে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,“হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে এ উম্মতের জন্য একজন মুজাদ্দিদ উনাকে পাঠিয়ে থাকেন। যিনি দ্বীন-ইসলাম উনার মধ্যে তাজদীদ করেন।”
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- ইলমে তাসাউফ অর্জন করা ব্যতীত ইবাদত মূল্যহীন। প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- যামানার মুজাদ্দিদ ও কামিল শায়েখ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছোহবত মুবারক ইখতিয়ারের মাধ্যমে ইলমে ফিকাহ্ ও ইলমে তাছাউফ উভয় প্রকার ইলম অর্জন করে মু’মিনে কামিল হওয়া।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
যখন মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার উম্মতের কোনো ব্যক্তির কল্যাণ চান, তখন তার অন্তরে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মুহাব্বত মুবারক ঢেলে দেন। সুবহানাল্লাহ! হযরত ছাহাবায়ে করিাম রদ্বযি়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদরে মুহাব্বত মুবারক অন্তরে থাকা কল্যাণরে কারণ।
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হে ঈমানদাররা! তোমরা ছদিক্বীন বা সত্যবাদী অর্থাৎ আল্লাহওয়ালা উনাদের ছোহবত ইখতিয়ার করো। প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই কামিল শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করা, ছোহবত ইখতিয়ার করা, তরীক্বার সবক্ব আদায় করা ফরযে আইন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো এবং প্রত্যেক ব্যক্তি যেন লক্ষ্য করে, আগামী দিনের (পরকালের) জন্য সে কি (নেকী) পাঠিয়েছে। ” হায়াত, মাল-সম্পদ এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার হক্ব যারা আদায় করবেনা, তাদেরকে কিয়ামতের দিন অসহায় বকরীর ন্যায় উপস্থিত করা হবে।
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রত্যকে মুসলমান পুরুষ-মহলিা, জ্বীন-ইনসান সকলরে জন্যই ইখলাছ র্অজন করা এবং ইখলাছরে সাথে প্রতটিি আমল করা ফরয। সুবহানাল্লাহ! কনেনা ইখলাছ ব্যতীত কোন ইবাদত মহান আল্লাহ পাক উনার নকিট কবুল হয় না। ইখলাছ হাছিল করতে হলে অবশ্যই একজন কামিল শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে ইলমে তাছাউফ অর্জন করতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার উম্মতের প্রতি সবকিছুর পূর্বে নামাযকে ফরয করেছেন এবং ক্বিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাযেরই হিসাব গ্রহণ করবেন। ’ নামায অস্বীকার করা কুফরী এবং নামায না পড়া চরম নাফরমানী ও ফাসিকী। স্বেচ্ছায় নামায তরককারী ব্যক্তি জাহান্নামে কঠিন আযাবের সম্মুখীন হবে। নাউযুবিল্লাহ!
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র সুন্নত মুবারক উনাদের মাঝেই সর্বোত্তম তাক্বওয়া। যিনি যত বেশি পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার পাবন্দ হবেন, তিনি তত বেশি মর্যাদা বা সম্মানের অধিকারী হবেন। সুবহানাল্লাহ! কাজেই জিন-ইনসানরা যদি মহান আল্লাহ পাক উনার অসন্তুষ্টি থেকে পরিত্রাণ পেতে চায় এবং কাফির-মুশরিকদের যুলুম-নির্যাতন থেকে বাঁচতে চায়, তাহলে তাদের জন্য ফরয হলো-
২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
“ইলম হচ্ছে আমলের ইমাম”। দ্বীনি ইলম অর্জন করা ফরয। এই ফরয আদায় না করলে এর জন্য পরকালে জবাবদিহি করতে হবে। এজন্য তাকে শাস্তিও পেতে হতে পারে।
২৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রতি উত্তম আচরণকারীগণই ছালিহীন হিসেবে পরিগণিত হবেন। একইভাবে ছালিহীন হতে হলে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রতি উত্তম আচরণ করতে হবে, উনাদের প্রতি সর্বোচ্চ হুসনে যন পোষণ করতে হবে।
২৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
কুফরী থেকে বাঁচতে হলে খালিছভাবে নেক আমল করতে হবে। তাই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- কুফরি শিরকী থেকে বেঁচে থাকার জন্য দায়িমীভাবে আমলে ছলেহ করা।
২৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রত্যেক সালিক বা মুরীদের জন্য নিজ ত্বরীক্বার পবিত্র শাজরা শরীফ সম্পর্কে অবহিত হওয়া বা জানা আবশ্যক। যে ব্যক্তি মুরীদ হয়েও তার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার “পবিত্র শাজরা শরীফ বা সিলসিলা” সম্বন্ধে অবগত নয়, সে ব্যক্তির মুরীদ হওয়া অর্থহীন।
২৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহান আল্লাহ পাক উনার যকিরি সমস্ত কামযি়াবীর সোপান। তাই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- ইলমে তাছাউফের তারতীব অনুযায়ী গাইরুল্লাহ হতে বিমুখ হয়ে একাগ্রতার সাথে মহান আল্লাহ পাক উনাকে স্মরণ করা বা উনার যিকির করা এবং মহান আল্লাহ পাক উনার দিকেই খালিছভাবে রুজু হওয়া।
২৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে হাক্বীক্বীভাবে মুহব্বত করা ব্যতীত কেউ কস্মিনকালেও ঈমানদার হতে পারবে না।
২৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)